খুব ভালো লাগলো 'অপুর সংসার'
অপর্ণা চরিত্রে শর্মিলা ঠাকুর অপ্রতিদ্বন্দ্বি। স্বভাবসুলভ অভিনয়। পুরো সিনেমাটা দর্শককে আটকে রাখে।
সিনেমার প্রথমাংশে অপুর লেখালেখি, ছাপোষা জীবন, বকেয়া বাড়িভাড়া। কলকাতায় সদ্য আইএ পাশ একজন যুবক। দেখতে অসাধারণ। একদিন তার কাছের বন্ধু পুলুর সাথে খুলনা মামার বাড়ি বেড়াতে যায় অপু, মামাতো বোন অপর্ণার বিয়ের অনুষ্ঠানে। এখানে অপর্ণাদের (শর্মিলা ঠাকুর) গ্রামের বাড়িটি এত সুন্দরভাবে চিত্রায়িত করেছেন সত্যজিৎ, অবাক হতে হয়। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী। সেই নদী দিয়ে অবিরাম ছোট বড় নৌকা ভেসেই চলছে, আর বাড়িতে ভেসে আসছে মাঝির দরাজ কন্ঠে গাওয়া গান। আহ! অদ্ভূত!
শর্মিলার সাথে যে ছেলের বিয়ে ঠিক হয় বিয়ে করতে আসার পর জানা যায় ছেলে পাগল। অপর্ণার বাবা এ বিয়ে দিতে চাইলেও তার মা বাধ সাধে। পরে পুলু এবং বাড়ির অন্যন্যদের অনুরোধে অপু, অপর্ণাকে বিয়ে করে এবং কলকাতায় নিয়ে আসে।
কলকাতায় অপুর বোহেমিয়ান জীবনকে ভালোবাসার ছকে আনে অপর্ণা। এই চিত্রগুলো অসাধারণভাবে দেখিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। অপুর জানালার ছেড়া পর্দা থেকে নতুন পর্দা এবং জানালায় টবে রাখা গাছ, একটা দৃশ্যই বিবাহিত জীবনের পরিবর্তনটা বুঝিয়ে দেয় স্পষ্ট। এখানে কলকাতায় এসে প্রথম স্বামীর ঘরে ওঠার পর অপর্ণার কান্নার দৃশ্যটা খুবই ভালো লেগেছে। পর্দার ছেড়া অংশটুকুকে অপর্ণার চোখের জলের সাথে মিশিয়ে পরিচালক এক অদ্ভূত অভিজাত্য তৈরি করেছেন। তারপর অপুর সিগারেটের প্যাকেটে রাখা অপর্ণার চিরকুট খাবার পরে একটা করে কথা দিয়েছো রোমান্টিকতার স্বাদ এনে দিয়েছে পুরোপুরি।
অভাব এবং ভালেবাসায় টেনেটুনে ভালো্ই চলছিলো অপুর সংসার। এরপর অপর্ণা দুই মাসের জন্য তাদের বাড়িতে চলে যায়। তখন সে গর্ভবতী। স্বামীকে ছেড়ে প্রথমবার বাড়ি যাওয়া। ট্রেনের কামড়া থেকে অপর্ণার সপ্তাহে দুটো চিঠি লিখতে বলার আকুতি, ট্রেণের সাথে সাথে অপুর দৌড়ানো পুরো আবেগটাকেই ধারন করেছে।
সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অপর্না মারা যায়। এই আঘাত সহ্য করতে পারেনা অপু। শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। অনেকদিন ধরে যত্নে লেখা তার উপন্যাস ছুড়ে ফেলে দেয় সে। অভিমানে ৫ বছর নিজের ছেলে কাজলকেও দেখতে যায়না সে। শুধু মাঝে মাঝে কাজলের নানা বাড়িতে টাকা পাঠায় তার ভরন পোষনের জন্য। ছেলের কাছ থেকে নিজেকে আড়ালে রাখার কারন সে পুলুর কাছে বলে যে কাজল আছে বলেই অপর্ণা নেই, এটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা।
তবুও নিজের ছেলে বলে কথা। পুলুর কাছে নিজের ছেলের কথা শুনে তাকে দেখতে অপর্ণাদের বাড়িতে যায় অপু। কাজল প্রথমে বাবাকে মেনে নেয়না সহজভাবে। অপু যখন তাকে বলে আমি তোমার বাবা তখন ছোট্ট ছেলে ইট ছুড়ে মারে বাবার দিকে।
কিছুদিন পর অপু বিদায় নিয়ে চলে যাবার সময় পেছনে তাকিয়ে দেখে কাজল দাড়িয়ে আছে।
তারপর কাজলকে কাধে উঠিয়ে বাপ বেটা হাসিমুখে কলকাতার দিকে....
এভাবেই শেষ হয় অপুর সংসার। সময় সুযোগ পেলে দেখবেন। আশা করি দারুন লাগবে।
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা
আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো
চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?
চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন