somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি ৭১ এর ঘাতকদের প্রতিনিধি: রাজাকার কামরুল

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): বিএনপিকে ৭১ এর ঘাতকদের প্রতিনিধি বলে উল্লেখ করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কেউ বাঁচাতে পারবে না। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে।
Click This Link
*****************************************
এই কামরুলই রাজাকার পরিবারের সদস্য : একাত্তরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন, চোরের মায়ের বড় গলা! নিজে রাজাকার তাই বাংলাদেশের সবাইকে রাজাকার মনে করাই স্বাভাবিক। কথায় বলেনা, সব পাগলই বাকী সবাইকে পাগল মনে করে। দেখুন বিস্তারিত নিউজটি-
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। এ অভিযোগ সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠিত হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষা করতেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতাবিরোধী কাজে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাডভোকেট কামরুল।
নেজামে ইসলাম পার্টি ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইউনানী চিকিত্সক ও ঢাকা তিব্বিয়া হাবিবিয়া ইউনানী কলেজের অধ্যক্ষ হাকিম খুরশিদুল ইসলামের চার ছেলে। তারা হচ্ছেন যথাক্রমে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও মোরশেদুল ইসলাম। ১৯৫৭ সালে হাকিম খুরশিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম এ কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পর্যায়ক্রমে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ হন। একই সঙ্গে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি তত্কালীন পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে একটি বিশেষ সম্পাদকীয় লেখেন।
মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে কামরুল ইসলাম বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলাম ও ভাবী ফয়জুন নেছা রানুর স্নেহাশীষে বড় হতে থাকেন। বেগম ফয়জুন নেছা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার দেশকে বলেন, ১৯৬১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাদের পরিবারে আসি। এ সময় কামরুল ছিল ১০-১১ বছরের কিশোর। আমার স্বামীই তার ভাই-বোন নিয়ে ১৩-১৪ জনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন তিনিই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুলের বয়স ছিল ২১ বছর। ওই সময় আমরা সবাই এক বাসাতেই ছিলাম। যুদ্ধে তার স্বামী হাকিম আজিজুল ইসলাম ও দেবর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অতকিছু বলতে পারব না এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যায়- এমন সত্য প্রকাশ উচিত হবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতার পরপরই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আমাদের বাসায় হামলা করে এবং আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হামলাকারী মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যায়। এর একদিন পরেই মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা আমার স্বামীর পরিধেয় বস্ত্র ও চশমা আমার কাছে পাঠায়। পরে আমার দেবর কামরুল ইসলাম ও মামুন নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট বহু খোঁজাখুঁজির পর একটি পরিত্যক্ত গর্ত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করেন।
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার ৪৮/১, আজগর লেনে অবস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বাড়ির আশপাশের লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বড় ভাই হাকিম আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন। আজিজুল ইসলাম ২০০৫ সালে মারা যান। পিতা হাকিম খুরশিদুল ইসলামের রেখে যাওয়া জায়গায় তারা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৫ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে এ বাড়িটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন এবং তার কাজে সহযোগিতা করতেন। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এর আগে ১৯৮৫ সালে এলএলবি পাস করে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৬৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত পার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী কামালউদ্দিন কাবুলের কাছে পরাজিত হন। মূলত এ সময় থেকেই তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির পক্ষে সোচ্চার হন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সাম্প্রতিক কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, অতীতে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ভূমিকা যাই থাকুক, বর্তমানে তিনি এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী। এলাকার সব উন্নয়নমূলক কাজেই তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজে হাকিম আজিজুল ইসলামের এক সময়ের সহকর্মী জানান, আজিজুল ইসলাম সাহেব ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কলেজে যোগ দেয়ার আগে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রেস ব্যবসা করতেন এবং একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। হাকিম আজিজুল ইসলামের প্রেসেই কামরুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মতো রাজাকারের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাকিম আজিজুল ইসলামের স্ত্রী ফয়জুন নেছা রানু আমার দেশকে বলেন, আমরা সবাই এদেশেরই মানুষ। সব দেশেই সব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করে না। কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করে থাকে। ভিন্নমত পোষণ করাটা কোনো অপরাধ নয়। বরং এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমানে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে যা করা হচ্ছে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। বিচারের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রধান আবদুল মতিন স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এ ধরনের অভিযোগ সরকারের অনেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে। কাজেই এখন উচিত হবে এগুলো খোঁজাখুঁজি করে জাতিকে বিভক্ত না করা। একই সঙ্গে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। কেননা কেউ এ দেশে গ্রিনকার্ডধারী নন। ইচ্ছা করলেই কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমার দেশকে তিনি বলেন, আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি। তিনি রাজাকার কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী ছিলেন—এ ধরনের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর প্রথম ব্যাচের সদস্য হিসেবে আমি ভারতের দেরাদুন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের ওই ব্যাচে হাসানুল হক ইনু, আফম মাহবুবুল হক ও শরীফ নুরুল আম্বিয়াসহ অনেকেই ছিলেন। কাজেই আমার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়।
Click This Link
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×