somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ ঃ সেনা অভিযান বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ কর্তৃক আয়োজিত ২৯ অক্টোবর ২০০২ তারিখের গোলটেবিল আলোচনার ধারণাপত্র উত্থাপক ঃ অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, বিচারপতি কে এম সোবহান, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৭ অক্টোবর ২০০২ তারিখ থেকে বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনের নামে যে সেনা অভিযান চলছে তাতে কয়েক হাজার ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হলেও তালিকাভুক্ত, পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজনও এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি। চল্লিশ হাজারের বিশাল বাহিনী নিয়ে কিছু অস্ত্র উদ্ধার এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হলেও অভিযান চালাতে গিয়ে সামরিক বাহিনী যে ধরনের আচরণ করছে, বিভিন্ন সংবাদপত্রে যতটুকু প্রকাশিত হয়েছে, তাকে এক কথায় সংবিধানের গুরুতর লংঘন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সন্ত্রাস দমনের জন্য সামরিক বাহিনী নামিয়েছেন এটা প্রমাণ করার জন্য যে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সন্ত্রাস নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে খালেদা-নিজামীর চার দলীয় জোট সরকার যে সন্ত্রাস দমনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে তার প্রমাণ হচ্ছে গত এক বছরের খবরের কাগজ এবং চলমান সামরিক অভিযান। যদিও বলা হয়েছে সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য সামরিক বাহিনী নামানো হয়েছে, অভিযানকারী সেনা সদস্যদের আচরণে তার কোন নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং পত্রিকায় এমন খবরও বেরিয়েছে যে, অভিযান চলাকালে পুলিশের এক সার্জন সামরিক বাহিনীর জুনিয়র এক কর্মকর্তাকে সেল্যুট না দেয়ায় তাঁকে সমূহ লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। (দ্রষ্টব্যঃ সংবাদ, ২৩ অক্টোবর ২০০২) আইন ও সালিশ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সামরিক অভিযানে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করেছে। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সামরিক অভিযান চালানোর সময় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান কিংবা ফৌজদারি আইন কিছুই যে মানছে না এসব খবর প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে ২৩টি অনুচ্ছেদ আছে। কোন কোন অনুচ্ছেদের ভেতর একাধিক উপ-অনুচ্ছেদও আছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ হচ্ছে ‘বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ।’ ৩৫(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে‘কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাইবে না।’ ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে‘কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবে না।’
গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে কিংবা রিমাণ্ডে এনে নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। তবে খালেদা-নিজামীর জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের নির্যাতনের সব রেকর্ড তারা ভেঙে ফেলেছে। তারপরও গত এক বছরে নির্যাতনের যে রেকর্ড পুলিশ গড়েছিল এক সপ্তাহের অভিযানে সামরিক বাহিনী সে রেকর্ড ভেঙে নতুন এক রেকর্ড গড়েছে। ২৪ অক্টোবর জনকণ্ঠের প্রধান সংবাদ শিরোনাম ছিল ‘আরও একজন মারা গেছে গাইবান্ধায়, ৭ দিনে ৭ জন।’ এই মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেনা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু খালেদা-নিজামী সরকারের ধারাবাহিক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সামরিক বাহিনীর হেফাজতে যাদের মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা বলেছেন নির্যাতনের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জের নিহত বিএনপি নেতা রতন মোল্লার পরিবার শুধু নয়, সেখানকার সিভিল সার্জনও বলেছেন সেনা সদস্যদের নির্মম নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সাভারের আফজাল হোসেনের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে নির্যাতনে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।*
সেনা হেফাজতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, হাসপাতালের চিকিৎসক, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, কিংবা সিভিল প্রশাসন যতই নির্যাতনের কথা বলুক না কেন সেনা কর্মকর্তারা অভিযানের শুরু থেকে বলছেন, গ্রেফতারকৃতদের উপর কোন দৈহিক নির্যাতন চালানো হয়নি, সেনা হেফাজতে নিহতদের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে ‘হার্ট এ্যাটাক’

(*২৩ অক্টোবর দৈনিক সংবাদ-এ সাভারের আফজালের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে‘সাভারে সেনা হেফাজতে নিহত আফজাল হোসেনের (৩০) মৃত্যুর কারণ নির্মম নির্যাতন। সাভার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পুলিশের তৈরি সুরতহালে নির্যাতনের কথা উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার দুপুর ১২টায় সেনাবাহিনী আফজালকে ধরে নিয়ে যায়। সেনা হেফাজতে নেয়ার পর তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। রাতে সে মারা যায়। সেনাবাহিনী সোমবার রাতে ঘটনাটি সাভার থানা পুলিশকে জানালে রাতে পুলিশ সেনা হেফাজত থেকে লাশ উদ্ধার করে।
‘পুলিশের সুরতহালে বলা হয়েছে, সোমবার রাত সোয়া তিনটায় সাভার ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালের মৌরচুয়ারি (ফ্রিজ) রুম থেকে আফজালের লাশ বের করা হয়। তার বাঁ কাঁধের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডান বাহুতে আঘাত ও রশি দ্বারা বাঁধার চিহ্ন রয়েছে। হাঁটুর নিচে আঘাত ও রক্তাক্ত ছিদ্র রয়েছে।
(‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, আফজালের সর্ব শরীরে নির্যাতনের আলামত দেখা গেছে। দু পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ছিল থেঁতলানো। মঙ্গলবার সকালে সাভার থানা পুলিশের প্রহরায় ডিএমসি মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
‘ফরেনসিক বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, প্রচণ্ড আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’)

‘হার্ট এ্যাটাক’ কোন অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সেনা হেফাজতে না নিলেও একজন ব্যক্তি হার্ট এ্যাটাকে মারা যেতে পারেন। কিন্তু কাউকে যদি ঠাণ্ডা মাথায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সেটাকে কোন অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যায় না। ‘কাস্টডিতে মৃত্যু’ এবং ‘কাস্টডিতে হত্যা’ কখনও এক হতে পারে না। মানবাধিকার লংঘনের নৃশংসতম অভিব্যক্তি হচ্ছে‘কাস্টডিতে হত্যা’, যার নজির চলমান সেনা অভিযানে স্থাপিত হয়েছে।
হত্যার প্রসঙ্গ ছাড়াও সেনা হেফাজতে নেয়ার পর দৈহিক নির্যাতনের যে সমস্ত ঘটনা প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, যেভাবে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হচ্ছে, জব্দ তালিকা ছাড়া জিনিষপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এমন কি অর্থ আÍসাতের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে (দ্রষ্টব্যঃ জনকণ্ঠ, ২৩ অক্টোবর ২০০২)  সেনা কর্মকর্তারা কি বলতে পারবেন কোন আইনে তা করা হচ্ছে? জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব ও প্রাক্তন উপমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, বর্তমান জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্য ও প্রাক্তন মন্ত্রী শেখ সেলিমকে গ্রেফতারের পর চোখ হাত বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের নামে যে ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে তাতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রকট হয়ে উঠেছে। সামরিক বাহিনী কি এটা প্রমাণ করতে চায় যে তাদের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের জন্য কারও কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে না, সামরিক বাহিনী কি সকল আইনের উর্ধ্বে? খালেদা-নিজামীর সরকার কী উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীকে সিভিল প্রশাসন ও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে চান তা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে খালেদা-নিজামীর সরকার দলীয় সন্ত্রাসের যাবতীয় ঘটনা অস্বীকার করে সন্ত্রাসীদের শুধু প্রশ্রয়ই দেয়নি, সিভিল প্রশাসনকেও নিষ্ক্রিয় করেছে, কিংবা দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে। সিরাজগঞ্জের গণধর্ষিতা কিশোরী পূর্ণিমা সুবিচারের আশায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিল, পনের জন ধর্ষকের নাম বলেছিল যারা সরকারী দলের ক্যাডার। ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদের নামে ওয়ারেন্ট জারি করে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল কিন্তু বিএনপির স্থানীয় সাংসদের নির্দেশে এই মামলার পুনর্তদন্ত হয়। যার ফলে সিরাজগঞ্জের যে সব আইনজীবী ও জননেতা পূর্ণিমার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের এই মামলায় আসামী বানানো হয়। এই ভাবে জোট সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদের রক্ষার জন্য সিভিল প্রশাসনকে বাধ্য করেছে এবং এভাবেই সিভিল প্রশাসনকে অকেজো করে সামরিক অভিযান ও সামরিক শাসনের ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে।
যে কোন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বহির্শত্র“র আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার সময়ও অসামরিক সিভিল প্রশাসনকে সাহায্যে জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়। অন্য পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনী নামাতে হলে সংসদে আলোচনা করতে হয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়। সংসদ, সিভিল প্রশাসন এবং সর্বোপরি জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে এবার যেভাবে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে এবং অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী যে ধরনের বাড়াবাড়ি করছে তা শুধু গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই পরিপন্থী নয়, সেনাবাহিনীকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেশের মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে স্বৈরশাসন নিরঙ্কুশ করার চক্রান্ত বলে আমরা মনে করি।
বাংলাদেশে অতীতে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেনাবাহিনী সিভিল প্রশাসনের অধীনে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাফল্যও উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে সেনাবাহিনীর অন্য কোন ভূমিকা, বিশেষভাবে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা কখনও সেনাবাহিনীকে দেখতে চাই না, যে সেনাবাহিনী পালন করা হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়।
সন্ত্রাস দমনের কথা বলে সেনাবাহিনী নামানো হলেও প্রথম দশ দিনে তালিকাকভুক্ত, পুরস্কারঘোষিত একজন সন্ত্রাসীকেও তারা গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রেফতারকৃতদের তালিকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের অনেকেই রয়েছেন, বাম দলসমূহের নেতা-কর্মীরাও রয়েছেন; অথচ এ পর্যন্ত জামাতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি কিংবা ইসলামী ঐক্যজোটের একজন সন্ত্রাসীও গ্রেফতার হয়নি। সেনাবাহিনী কি এমন কোন ধারণা আমাদের দিতে চায় যে জামাত, ঐক্যজোট কিংবা জাপাতে কোন সন্ত্রাসী নেই?
বাংলাদেশের বর্তমান সেনানায়কদের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না আমাদের সেনাবাহিনীর এক গৌরবময় অতীত রয়েছে। সেই অতীত হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশাল অবদান আমরা ভুলিনি। আবার এই মুক্তিযুদ্ধেই ৯০ হাজারের বেশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা বাংলার বুকে শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল । পাকিস্তানি সৈন্যরা বারশ মাইল দূর থেকে উড়ে এসেছিল বলেই তারা গণহত্যা ও নারী নির্যাতনসহ যাবতীয় ধ্বংসযজ্ঞ সাধনে ইতস্তত বোধ করেনি, বরং জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামী ইসলামীর স্থানীয় নেতাদের প্ররোচনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় আরও উৎসাহিত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কেউ যদি হানাদার বাহিনীসুলভ আচরণ করতে চান, অঙ্কুরেই তার বিনাশ প্রয়োজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যেমন সেনাবাহিনীর, বাংলাদেশের সংবিধানের মর্যাদাও তাদের রক্ষা করতে হবে। সেনা অভিযান পরিচালনার সময় তাদের মনে রাখতে হবে, কোন অবস্থায় সামরিক বাহিনীর কোন সদস্য যেন সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ধারাসমূহ লংঘন না করেন। আমরা সকলেই চাই দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের নির্মূলন। সন্ত্রাসের দমনের নামে যখন সেনাবাহিনী কাউকে কাস্টটিডতে নিয়ে নির্যাতন করে তাতে সেনাবাহিনীর শুধু নয়, দেশেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সেনা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার মতো বর্বরতা এখনই বন্ধ করতে হবে।


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

সততা হলে প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে

লিখেছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। ক্রেতাদের মনে যে প্রশ্নগুলো থাকা উচিত:

(১) ওজন মাপার যন্ত্র কী ঠিক আছে?
(২) মিষ্টির মান কেমন?
(৩) মিষ্টি পূর্বের দামের সাথে এখনের দামের পার্থক্য কত?
(৪) এই দোকানে এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×