somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বি.এন.পি ও একজন নৈতিক সমর্থক

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলে নি, হেডলাইন দেখে কেউ বিভ্রান্তিতে ভুগবেন না । যখন খুব ছোটো ছিলাম পরিবারের সব বড়রা দেখতাম মোটামুটি রাজনীতির সাথে যুক্ত । তা হোকনা রাস্তায় মিছিলের সামনে অথবা বাসায় বিকেলে চায়ের কাপে । তখন থেকেই শুনতাম । ভালই লাগতো । দেশ অনেক বড় জিনিস তখন থেকেই বুঝতাম কিছুটা । আস্তে আস্তে ঘটনাচক্রে জড়িত হয়ে গেলাম শিবিরের সাথে । দীর্ঘ সময় ছিলাম তাদের সাথে । ভালো ছাত্র ছিলাম তাই বোধয় কোন কালো রুপ দেখিনি । বই পড়তাম খুব ছোটবেলা থেকেই । অভ্যাসটা বাসা থেকেই গড়ে উঠেছে । এক খালা পড়ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে , তাই রাজনীতির টার্ম গুলো বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি । মার্কসবাদ , পুজিবাদ , সমাজতন্ত্র, মুক্তবাজার , ইসলামী মোটামুটি সব ব্যাপারে একটা হালকা ধারনা পেলাম সেখান থেকে । পরিবার ছিল বেশ রক্ষণাত্মক ।দাদা-নানাদের প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা ।
আমি আমার চিন্তাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম । আমি চাচ্ছিলাম আসলে বুঝতে আমি কি চাই ।
আওয়ামীলীগ দেশের সব থেকে বড় মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারী দল । আমি জানতাম না আসলে কিভাবে স্বাধীনতার সাথে ইসলাম বিরোধিতার ব্যাপারটা জড়িত হয় । পরে জানলাম । জামাত-ই-ইসলামি । এদের বর্বর পিশাচতার কারনেই তখন থেকে এদেশের একটা অংশ ভাবতে শুরু করে যে, ইসলাম সম্ভবত এদেশের স্বাধীনতার অন্তরায় ছিল । ভাবা যায়, এরা নিজেদের ভাবে ইসলাম পন্থী আর এদের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে সম্পূর্ণ সেকুলার পন্থী একটা অংশ । আর স্বভাবতই এরা ঢুকে পরেছে তৎকালীন দল আওয়ামীলীগ এ । যদিও এখানে ভারত ফ্যাক্টর ছিল । কারন, স্বাধীনতার সময় ভারত আমাদের ব্যাপক সহায়তা করে । ভারতের তখনকার পররাষ্ট্রনীতিতে রাশিয়ার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ । তৎকালীন সময়ে পুঁজিপতি আমেরিকার সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়া । আর সোভিয়েত ছিল তখন মার্ক্সবাদী তথা সেখানে কঠোর সমাজতন্ত্র চালু ছিল । তাই স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমরা দেখতে পাই আওয়ামীলীগে সেকুলারিজম এর এক নতুন রুপ যা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র । দলের নিচু থেকে উঁচু সব পর্যায়ে দেখা যায় এসব বাম ঘেঁষা নেতাদের আধিপত্য । সেখান থেকে আসে বাহাত্তরের সংবিধান আর "ধর্মনিরপেক্ষতা" টার্মটি । যাই হোক, কেন আসলে আমি ধর্ম নিরপেক্ষতা পছন্দ করি না তার ব্যাখ্যা পড়ে আরেকটি পোস্টে শীঘ্রই করবো ।

তো বাকি থাকে বি.এন.পি. ।
ভেবেছিলাম এই দলটা করা যায় । কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকলেও এটা অন্তত সেকুলার না । ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি তুলে না । এখানেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে ।২০০১ সালে বি.এন.পি তে যোগ দিলো জামাত । এমন একটি দল বিতর্ক যার জন্ম থেকে শুরু । সরকার গেল । আমিও বড় হলাম ।
লাস্ট ৩ বছর কাউকে বলতে পারিনি বি.এন.পি নৈতিকভাবে আমার ভালো লাগে । কারন , বন্ধু-বান্ধব সবাই বলত রাজাকারের সাথে আঁতাত । মানে আমিও রাজাকার । কেন ? একদিকে সেকুলার আওয়ামীলীগ সমর্থন করা সম্ভব না আর অন্যদিকে জামাতের সাথে একতাবদ্ধ তাই বি.এন.পি সমর্থন করা যাচ্ছে না । আমি আমার বয়স হিসেবে একজন তরুন বলতে নিজেকে । তো সেই তরুন সমাজের একজন হয়ে আমার প্রতি অনুরোধ কি হবে ওই ভোটগুলো না ? খুব কি ক্ষতি হয়ে যাবে ? দেশের এই বিশাল তরুন সমাজ তো পা দিয়ে ঠেলে দিয়েছে জামাত । আমরা জামাত ঘৃণা করি । প্লিজ, একবার কি সাহস করে ওদের ছাড়া দাঁড়ানো যায় না রাজপথে, সমাবেশে , মিছিলে, মিটিং এ , নির্বাচনে ?? তাহলে তো বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমার বি.এন.পি ভালো লাগে । শুধুই বি.এন.পি । জামাত-শিবির যুদ্ধাপরাধী ছাড়া বি.এন.পি ।

মনের কথা গুলো লিখে দিলাম । আমি বিশ্বাস করি এটা শুধু আমার না । সব সত্যিকারের বি.এন.পি জাতীয়তাবাদী শক্তির কলঙ্ক জামাত-শিবির । আসুন , আমারা সবাই এটা উপলদ্ধি করি ।।

বি.এন.পি পন্থী ব্লগাররা কোথায় ? আজ জাগতে হবে তাদের । জাগাতে হবে জাতিকে । প্লিজ, আর থাকবেননা লুকিয়ে ? সময় এবার বের হওয়ার । প্লিজ ।।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×