লাইটস্ক্রাইব প্রযুক্তটি অনেক আগেই এসেছে।আমরা অনেকেই এই প্রযুক্তটির সাথে পরিচিত।আবার অনেকেই আছেন যারা এর সাথে এত পরিচিত নয়।শুধুমাত্র তাদের জন্যই আমার এই লিখনী।
উন্নতমানের লাইটস্ক্রাইব প্রযুক্তি একটি অত্যাধুনিক সুবিধা, যা দিয়ে আপনি ডিভিডি কিংবা সিডি রাইট করে তার বিপরীত(যে পাশে ডাটা রাইট করা হয় তার উল্টো পাশে) পাশে ইচ্ছে মত লেখা ছবি বা ডিজাইন বার্ন বা রাইট করা যায়।তবে যে কোন ডিস্কের ক্ষেত্রে তা হবে না।ডিস্ক সারফেসে ছবি বা ডিজাইন রাইট করার জন্য ডিস্কটিকে লাইটস্ক্রাইব সাপোর্টেড ডিস্ক হতে হবে।লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক গুলোর দাম সাধারন ব্ল্যাঙ্ক ডিস্ক-এর চেয়ে বেশী।লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক-এর সারফেসে লাইট সেনসিটিবিটি কেমিক্যালের আবরন দেয়া থাকে যা দেখতে অনেকটা সাদা পাউডারের মত মনে হয়।তবে এর সারফেসে শুধু গ্রেস্কেল বা সোপিয়া মোডে ছবি,লেখা বা ডিজাইন বার্ন করা যায়।আমাদের দেশে এখনও রঙ্গিন লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক আসেনি।বাজারে ভারবাটিম,মিতসুবিসি ও অন্যান্য কিছু কোম্পানির লাইটস্ক্রাইব ডিস্ক পাওয়া জায়।
লাইটস্ক্রাইব ডিস্কের সারফেসে ইমেজ বার্ন করার পর সাবধানে রাখটে হয়।ত নাহলে হাতের স্পর্শে বার্ন করা ইমেজের ক্ষতি হতে পারে।সময়ের সাথে ডিস্কের ওপরে বার্ন করা ইমেজের গাড়ত্ব ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে।
লাইটস্ক্রাইব ডিস্কে রাইট করার জন্য নতুন নেরো বার্নিং সফটওয়ারে লাইটস্ক্রাইব কভার বার্ন অপশনে যেতে পারেন।তারপর ড্রইভে ডিস্ক উল্টো করে ঢুকিয়ে নেরো কভার ডিজাইন বা লাভেল দিয়ে তা ডিস্ক সারফেসের মাপের সাথে মিলিয়ে বার্ন করা যায়।ডিস্ক সারফেসের ইমেজ বার্ন করার জন্য ডাটা রাইটের চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগবে।ইমেজ বার্ন করা সারফেসে কখনো হাত বা ভেজা কিছু লাগানো যাবেনা এবং রাইট করার সময় কন্ট্রাস্ট রেশিও বাড়িয়ে দিতে হবে, এতে বার্ন করা ইমেজ গাঢ় হবে।
লাইটস্ক্রাইব নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে যান....