বিপ্লব, বিজ্ঞান বিপ্লব। এই বিপ্লব শুরু হয়েছে প্রকৃতির সাথে মানুষের। আজও সেই বিপ্লব চলছে দেশে দেশে। প্রকৃতির নানা কর্মকান্ড মানুষের মনে জাগিয়ে তুলছে হাজারো প্রশ্নের। প্রশ্নের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতিকে গভীরভাবে দেখার প্রয়াস পায়। মানুষ অভিভূত হয়ে যুক্তির খোঁজে কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়। যুক্তি মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্য বা বাস্তবতা আবিস্কৃত হবার পর প্রকৃতিকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। আজকের বিশ্বে উন্নত অর্থনীতি ও সমৃদ্ধশালী দেশের জন্য বিজ্ঞান ও গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। সচেনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আমাদের মনে নতুন আশার আলো তৈরি করেছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষ তাদের জীবনধারা পরিবর্তন করছে। সময়ের সাথে সাথ বিদায় নিয়েছে একটি বছর ২০১০। আগমন হয়েছে নতুন বছর ২০১১। ২০১০ সাল বিজ্ঞানের জন্য ছিল একটু অন্যরকম। নানা বির্তককে ছাপিয়ে পৃথিবীর বুকে হয়েছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল পরীক্ষা লাজ হেড্রন কলাইডার । কৃত্রিম জীবনের আবিষ্কার ছিল হুলস্থল ব্যাপার। কৃত্রিম কিডনী বা ফুসফুসের, নবায়নযোগ্য শক্তির উদ্ভাবনের মত আরো অনেক গবেষণা আলোড়িত করেছে বিশ্ববাসীকে। উইকিলিকসের মত মত ওয়েবসাইট অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নতুন করে প্রশ্নের তৈরি করেছে সাইবার জগতে।
আশার বাণী শোনাতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণাতেও। সোনালী আঁশ পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার তার ইঙ্গিত করেছে। নতুন বছরেও বিজ্ঞানের এই গতিময়তা অবাহত থাকবে সেই শুভ কামনায় শুভ নববর্ষ ২০১১।