somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

percentage কম নাকি??? =p~ =p~ =p~

২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন আমি ক্লাস টেন এ ,মনের মাঝে বাংলা ছবির ক্লাইম্যাক্স এক দিন পরে টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।গোপন সুত্রে যাহা জানিতে পারলাম যে টেস্ট এ সবাই পাস কিন্ত যাদের percentage এ ঘাপলা আছে তাদের নাকি ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দিবে না। আমার মাথায় অন্য চিন্তা আমি টেন এ স্কুল যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব ই নিয়মিত থাকলেও ক্লাস থেকে স্কুল এর মাঠ ই আমার বেশী ভাল লাগতো। আমি মাঠে বসে পোলাপান ক্রিকেট খেলত আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, এমন না যে আমার খুব খেলতে ইচ্ছে করছে, পোলাপান ছুটাছুটি করছে টা দেখে ই আমার ভাল লাগতো।

মনে মনে অনেক ভয় পাইলাম এক সময় আমার সিনেমা পার্টনার আনাস ( মাঝে মাঝে ওরে নিয়া এক সাথে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখতাম ) বলল আমাদের স্কুল এর পিওন এর সাথে নাকি ওর ভাল যোগাযোগ আছে , পিওন রে ৫০ টাকা দিলে percentage পুরা ১০০ হবে , দরকার হলে বন্ধের দিন ও দিয়া দিবে। আমার নৌকার পাল এ বাতাস লাগল , মার ব্যাগ থেকে টাকাটা ছু মন্ত দিয়ে গায়েব করে অনিয়মিত ছাত্র থেকে নিয়মিত ছাত্র হলাম , মনে মনে খুব খুশি হলাম , আর আমি যে খুব বুদ্দিমান এটা ভেবে পরের দিন রেজাল্ট আনতে গেলাম একটা কথা শুনে খুব অবাক হলাম সবাই নাকি পরীক্ষা দিতে পারবে , কারণ সবার percentage ই ঠিক আছে। এই কথা শুনে খটকা লাগল সব পরীক্ষা দেয় কি করে আমি তো মাঝে মাঝে স্কুল এ যেতাম , অনেক ছেলে আছে যারা ভিডিও গেম এর দোকানকে ই নিজের স্কুল মনে করত। পরে যা জানলাম তা হল সাবাই নাকি ২০ টাকা দিয়া ই সব percentage পাইসে । মনে খুব কষ্ট পাইসি ,আনাস রে এই কথা বলায় ও বলল” দোস্ত মন খারাপ করিস না চল একটা সিনেমা দেখি , আমি টাকা দিবো “ আনাসের টাকায় সিনেমা দেখব তাই না করতে পারলাম না, যাক ৩০ টাকা বাচলে যে কাজে ব্যয় করতাম তা তো হয়ে ই গেল।

রেজাল্ট যে দিন দিল তার কিছু দিন পরে গেলাম প্রবেশ পত্র আনতে, ঐ দিন এক হুজুর স্যার অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলছে,যা আমার কানে এখন ও বাজে।এই যেমন নামাজ পড়বা , বড়দের সালাম দিবা, সিনেমা হল এর দিকে পা দিবা না।অনেক কথা , অনেক উপদেশ দিলেন , এগুলা আমার কানে বাজলে কি হবে মনে তো আর বাজে না ,কথা আছে না ভালবাসার টানে পাশে আনে না কি জানি ??? স্যার ভুল জাইগায় ঢিল মারসে ,তাই মন ফ্রেশ করতে এক দিন ১২ টার শো দেখতে গেলাম ।আমি সব সময় সামনে বসে উপরের দিকে তাকিয়ে সিনেমা দেখতে ভালবাসতাম, কারণ আমি যে গুলা ই দেখসি সব ই থার্ড ক্লাস এ বসে দেখা, তাই টিকেট কিনতে হাতে টাকা দিয়ে বললাম মামা একটা থার্ড ক্লাস এ দেন দেখি, আচমকা কে জানি আমার হাত ধরল পরে দেখি আমাদের হুজুর স্যার, আমি ভাবসি স্যার আজ আমারে ফাটাইব , কিন্ত স্যার আমাকে এমন ভাবে সব কিছু বুঝাই বললেন আমি তখন আস্ফত একটা কথা ই বলতাম মানুষ এতো ভাল হয় কি করে, স্যার আমাদের বাড়ি ও এক বার গেসিলেন কিন্ত কখনও ই আমার দুর্বলতা গুলা আমার বাবা কে বলে দেন নি।

ভাবছিলাম উল্টাপাল্টা কিছু লিখব এখন যখন স্যার এর প্রসঙ্গ এসে ই গেসে তাই স্যার নিয়ে ই কিছু লিখি।আমাদের স্কুল এ একটা নিয়ম ছিল যে যোহর এর নামাজ স্কুল এ সবার এক সাথে পড়তে হবে, না পড়লে মাইর কারে কয়?? তিনি এসে এই নিয়ম বন্ধ করে বললেন যার ইচ্ছা হবে সে ই শুধু নামাজ পরবে জোর করে নামাজ হয় না, যতক্ষণ কারো মন নিজ থেকে সারা না দিবে ততখন হাজার নামাজ পরে ও লাভ নাই। স্যার এর তিন ছেলে , দুই জন বুয়েট থেকে আর এক জন চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করে অনেক দিন ধরে ই দেশ এর বাইরে , হয়ত দেশ এর বাইরে যাওয়াটা স্যার এই কারনে ই পছন্দ করতেন না ।তাই তিনি একটা কথা সব সময় বলতেন তা হল যা করবে নিজের দেশে থেকে করবে ,আমার এই দেশ টা বড় ই অভাগা এই মা এর কাছে অনেক ঋণ আমাদের পারলে তোমরা একটু চেষ্টা করে দেখ এই ঋণ এর বোঝা কমান যায় কিনা।স্যার এর বেশী ভাগ কথা আমি না মানলে ও এই কথা টা যেন আমার মনে বাজে তা ই আমি চাই।
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×