somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুরি ও অপচয় ঠেকাতে তৈরি হচ্ছে প্রিপেইড গ্যাস মিটার

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কে যে বুদ্ধি দিয়েছে গ্যাস এর ব্যাপারে- প্রিপেইড গ্যাস মিটার। তা মনে করে হাসতে হাসতেই আমি শেষ। চুরি ও অপচয় ঠেকাতে তৈরি হচ্ছে প্রিপেইড গ্যাস মিটার। আর তা কার্যকর করছে তিতাস এবং পেট্রোবাংলা। কথায় আছে যেই না ছেলে তার আবার ফ্যাশন! দেশে সিএনজি এর প্রচলন করে দেশটাকে একবারে শূন্য করে দিচ্ছে গ্যাস দিনের পর দিন। অপরদিকে নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন শুরু না করে। সবকিছু আড়াল করার জন্যই এই ধরনের হট-কারি সিদ্ধান্ত তিতাস গ্রহণ করেছে বলেই মনে হচ্ছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা আর কি!

আরে ভাই সেইসব তিতাস এর বোদ্ধা সহ সরকারের এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে বলতেই ইচ্ছে করছে সে মুরগির গল্পটি। এক লোক মুরগি এনে এক হাত দিয়ে বর্ণনা করে বলছে-ভাই এতো বড় মুরগি এনেছি ১০০ টাকায়। যার কাছে বলছে সে প্রশ্ন করলো-সত্যিই এত বড় মুরগি আপনি এনেছেন ১০০ টাকায়। চালাক লোকটি তখন থতমত থেকে চালাকি উত্তর দিলো- ভাই আমি তো আরেক হাত নিচেই রাখি নাই। হা হা হা সেরকম আর কি। বড় পুকুর চুরি করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো তিতাসের লোকজনের সাথে যোগসাজশে। তা নিয়ে খবর নেই। এখন উনারা এসেছেন আবাসিক এবং নির্দিষ্ট আয়ের লোকজন কে গিনিপিগ বানানোর চিন্তা ভাবনা। তাদের ক্রয় ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলার জন্য। বাড়িওয়ালাদের অবশ্য সমস্যা নাই। উনাদের কথাই তো থাকবে-আর কি সব তো চাপামু ভাড়াটিয়ার উপর। ঢাকার মোহাম্মদপুর আর লালমাটিয়ার আবাসিক গ্রাহক-গন এর উপর দিয়ে চালানো হবে এই ষ্টিমরোলার। হতে পারে তা হয়ত সাশ্রয়ী মূল্য রাখবেন। কতটা ভোগান্তি ভুগতে হবে তা সময়ের কাছেই চেয়ে রাখলাম প্রমাণের জন্য। আগে চুরি বন্ধ করেন। দেখবেন অনেক গ্যাসই সাশ্রয়ী হয়ে যাচ্ছে। কয়দিন পর তো মনে হয় নদীর পানিও কিনে খেতে হবে। আধুনিক ছেলের বিজ্ঞাপনের মতো বলতেই হয়- আধুনিক সরকার না!

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেছেন-জ্বালানির সুষ্ঠু ব্যবহার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু জ্বালানি খাতের সুবিধা থেকে গ্রামের মানুষ এখনো বঞ্চিত। তাদেরও এই সুবিধা দেওয়া দরকার। কি সুবিধা দিবেন তা না হয় ভবিষ্যতের জন্যই রেখে দিলাম। কিন্তু এই গ্রামের মানুষ এই শতাব্দীতে গ্যাস পাবে কি না। তার জন্য এই আমজনতা একপ্রকার নিশ্চিত-না। তবে মন্ত্রী আপনি বলেছেন বেশ!

পল্লীবিদ্যুত অঞ্চলে যারা থাকেন তারা বলতে পারবেন- আসলেই কি পরিমাণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। ভাগ্যিস এই সরকার বর্তমান বিরোধী দল সরকারে থাকাকালীন সময়টার মতো খালি খাম্বা লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নাই। কথিত আছে সিএনজি এর প্রচলন এবং সে সিএনজি চালিত স্কুটার সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদার কারণেই একেকটি ১লাখ টাকার সিএনজি পাচলাখ টাকায় বিক্রি হতো। আর সিএনজি চালিত গাড়ি দিয়ে এখন সে গাড়ির ভোক্তা কি করেন। তা তো কিছুটা হলেও জানা। ভাই আজিমপুর থেকে মিরপুর যেতে আপনার লাগবে দুইশ টাকা তাও আবার স্কুটারে! গাড়িটি কিন্তু সিএনজি যার আধুনিক ব্যাবহার হলো- কেউ কেউ তো এক কেজি কাঁচামরিচ আনার জন্য মিরপুর থেকে নিউমার্কেট পাঠান তার সিএনজি চালিত ব্যাক্তিগত গাড়িখানা। সে সবের কৃচ্ছতা আনয়ন করেও তো অনেক গ্যাস অপচয় বন্ধ করা যায়, তাই নয় কি?

সে সব দিকে সচেতনতা না বাড়িয়ে আর সিএনজি চালিত প্রাইভেট গাড়িগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস এর সরবরাহের বিধিনিষেধ না করে। সচেতন না করে গ্যাস এর অপচয় রোধে। যে সমস্ত মিল ফ্যাক্টরিগুলো তিতাস এর লোকজনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় একই সাথে ১০০০ গ্রাহকের এক মাসের গ্যাস দুতিন দিনে চুরি করছে, তা না ঠেকিয়ে। সাধারণ আবাসিক, যারা একটি নির্দিষ্ট আয়ের লোকজন তাদের উপর একটি হট কারি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে কি সঠিক হবে কি না? তা একটু ভেবেই নেয়া দরকার সংশ্লিষ্ট লোকজনের। তবে কথা হচ্ছে উনারা তো আমার চেয়েও অবশ্যই বুদ্ধিমান আর জ্ঞানী। তবে কামের বুদ্ধিমান আর সঠিক বুদ্ধি-দাতা যদি না থাকে। তবে যে কি হতে পারে সামাজিক অবক্ষয়ের। তা সময়ের উপরই ছেড়ে দিলাম।

দিন বদলাবেন আর আধুনিক বানাবেন। একটু রয়ে সয়ে বানান। নাহলে তো সে তৈমুর লং এর মতো হাত আপনাদেরও পূরবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত। গ্যাস এর অপব্যবহার ঠেকাতে আবাসিক এলাকার লোকজনকে বদলাবেন। তা ঠিক আছে। অন্য দিক দিয়ে চুরির আর অপব্যবহার ঠেকানোর বন্দোবস্থা করেন। তাহলেই মনে হয় তা হবে সঠিক এবং কার্যকরী। আগে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সঠিকভাবে স্থাপন করার কার্যাদি ঠিক করেন। তারপর না হয় সাধারণ জনগণের উপর তা চাপিয়ে বেড়াবেন। গ্যাস বিল দিতেই মানুষের লম্বা লাইন দিতে হয়। আর গ্যাস আনতে গিয়ে যদি প্রি-বিল দিতে হয়। তার জন্য মানুষের না খেয়ে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত। তিতাসের সবই ভালো। খালি একটু দুর্নীতিবাজ আর কি। হা হা হা।

এই একভাগ আগে ঠিক করেন মাননীয়রা সবাই। বাকি নিরানব্বই ভাই এমনিই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। জনগণের উপর পরীক্ষা না চালিয়ে আগে তিতাস এবং পেট্রোবাংলার উপর সমীক্ষা চালানো বলেই সময়োপযোগী হবে বলেই মনে হচ্ছে এই অধম আমজনতার।

৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×