somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিং এর সংজ্ঞা। ইভটিজিং কেন হয়? কারা বেশি ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে? ইভটিজিং কি বন্ধ হবে না?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইদানিং আমাদের বাংলাদেশে ইভ টিজিং শব্দটা বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এর কারণটা কি ? পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখিও হচ্ছে এটা নিয়ে। তাই আজকে ইচ্ছা করলাম এটার উপর আমার সংক্ষিপ্ত জ্ঞানের পরিধি অনুসারে একটু লেখালেখি করি। তাই আমার লেখাটাকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার জন্য আমি ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষের হয়ে লিখতেছি।

ইভটিজিং এর সংজ্ঞা ঃ- কোন ছেলে রাস্তায়, স্কুলে, কলেজে বা যে কোন অলিতে গলিতে কোন মেয়েকে দেখার পর মুখ দিয়ে শিষ দেয়া, এমন কোন বাজে মন্তব্য করা যা শুনলে মেয়েটির খুব খারাপ লাগবে, হাসি ঠাট্টা করা অর্থ্যাৎ তাকে উক্ত্যক্ত করার নামই হল ইভটিজিং।
শুধু ছেলেরে ক্ষেত্রে সংজ্ঞাটি প্রযোজ্য নহে। একই ভাবে কোন মেয়ে রাস্তায়, স্কুলে, কলেজে, প্রাইভেট পড়া অবস্থায় বা যে কোন অলিতে গলিতে কোন ছেলেকে দেখার পর মুখ দিয়ে শিষ দেয়া, এমন কোন বাজে মন্তব্য করা যা শুনলে ছেলেটির খুব খারাপ লাগবে, হাসি ঠাট্টা করা অর্থ্যাৎ তাকে উক্ত্যক্ত করার নামই হল ইভটিজিং।

আধুনিক সংজ্ঞা ঃ- কৈশোর-যৌবনের mwÜনে আড় চোখে দূর থেকে মেয়েদের দিকে দৃষ্টি দেয়াকে ইভ টিজিং এর অপরাধ বলে জানতাম। সময়ে তার পরিধি অনেক বেড়েছে। ইন্টারনেট ঘেটেঘুটে বুঝতে পারলাম মেয়ে-উত্ত্যক্ত করার সংজ্ঞা এখন শুধু শিষ দেয়া, কাছে বা দূরে দাঁড়িয়ে অপ্রিয় বাক্য ছুড়ে দেয়া, পথ আগলে দাঁড়ানো বা অযাচিত প্রেম নিবেদনের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশে এর পরিধি অযাচিত ভাবে মেয়েদের শরীরে হাত দেয়া, গায়ের ওপরে এসে পড়া, অপহরণ করা, এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ধর্ষন করাকেও এর সংজ্ঞার মাঝে ফেলা হয়।

ইভটিজিং যে যে কারণে হয় ঃ- ইভটিজিং ছেলে এবং মেয়েদের উভয় পক্ষের কারণে হয়। তাই প্রথমে ছেলেদের কারণগুলি উল্লেখ করা হল:-
ছেলেদের ক্ষেত্রে কারণগুলিঃ-
০১। বয়স : বলা হয় যে ১৩ থেকে ১৯ পর্যন্ত এই বয়সের ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে ভালো লাগে। মেয়েদেরকে টিপ্পুনি কাটতে ভালো লাগে, যে কোন ভাবে তাদেরকে হারাতে পারলেই তারা যেন খুশী।
আবার মেয়েরাও ছেলেদের কে দেখলে শিষ দেয়, কটু মন্তব্য করে এই বয়সে।
০২। মিডিয়া : আমাদের বর্তমান টিভি চ্যানেল, ডিস এন্টিনা হাতের নাগালে আসার কারণে যুবক শ্রেণী প্রতিনিয়ত ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশা দেখতেছে তাই মেয়েদেরকে উক্ত্যক্ত করা এটা কোন ব্যাপার মনে করেনা তারা। তারা এটাকে মনে করে প্রেম খেলা বা একটু মজা (Just Fun)|
আবার মেয়েরাও বান্ধবীদের সাথে চ্যালেঞ্জ ধরে ছেলেদেরকে উক্ত্যক্ত করে।
০৩। পরিবেশ ঃ- গ্রামের তুলনায় শহরের পরিবেশ একটু খোলামেলা। তাই গ্রামের ছেলে মেয়েদের তুলনায় শহরের ছেলে মেয়েরা ইভ টিজিং এর শিকার হচ্ছে বেশী। শহরের ছেলেমেয়েরা বেশী আধুনিকতা পছন্দ করে বিধায় তারা বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
একইভাবে মেয়েরা ছেলেদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করে থাকে।
০৪। বাজে আড্ডা ঃ- ছেলেদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় ২/৩জন ছেলে একসাথ হলে তার পাশ দিয়ে একজন মেয়ে বাজে মন্তব্য শুনা ব্যতিত হেঁটে যেতে পারাটা কষ্ট সাধ্য।
০৫। ধর্মীয় অনুশাসন না মানা ঃ- যথাযথভাবে ধর্মীয় নিয়ম কানুন গুলো না মানার কারণে এ অবস্থার শিকার হতে হয়। কেননা কোন ধর্মেই এই নেক্কার জনক বিষয়টিকে সমর্থন করেনা।
০৬। সঠিক গাইড লাইনের অভাব ঃ- ছোট কাল থেকে মা বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে যারা তারাই এই কাজে বেশি লিপ্ত হয়। কারণ তাদের বাবা-মায়েরা চাকুরীর পিছনে দৌড়াতে দৌঁড়াতে ছেলেমেয়েদের খোঁজ খবর রাখতে পারে না। তাই তারা বিপথে চলতে থাকে।
০৭। মোবাইল ফোন ঃ- মোবাইল ফোনের অবাধ ব্যবহারের ফলে ছেলেরা মেয়েদেরকে একটু বেশি জ্বালাতন করে। নির্দিষ্ট বয়সের পূর্বেই মোবাইল হাতে আসার কারনে তারা মোবাইলের সঠিক ব্যবহার না করে বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করাটাই তাদের মোবাইলের একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
একজন মেয়ে অনেকগুলো ছেলের সাথে কথা বলে কিন্তু তার পরিবার এ ব্যাপারটি কিছুই জানে না। প্রাথমিক অবস্থায় এটা তার কাছে Uneasy মনে হলেও পরে সে এটাকে খেলা মনে করে থাকে।
[এই সমস্যাগুলো মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য]

০৮। রাজনৈতিক শক্তির অপব্যবহার ঃ- আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কিছু ছেলেকে এমন সাহস জোগায় যে তারা যে কোন কাজ নির্ভয়ে করতে পারবে। কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। যার ফলে তারা মেয়েদেরকে একটু বেশীই উক্ত্যক্ত করে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে কারণগুলিঃ-
১। বয়স ২। মিডিয়া ৩। পরিবেশ ৪। বাজে আড্ডা ৫। ধর্মীয় অনুশাসন না মানা
৬। সঠিক গাইড লাইনের অভাব ৭। মোবাইল ফোন (বিস্তারিত উপরের অংশ প্রযোজ্য)

০৮। বেপর্দা ঃ- মেয়েদের ক্ষেত্রে, তারা অতি আধুনিক হয়ে টাইপ পিট জামা পরিধান করে যা ¯^vfvweK ভাবে একজন ছেলেকে তার প্রতি আকর্ষণ করে। যার ফলে সে ইভ টিজিং এর শিকার হয়। শুনতে খারাপ লাগলে ও সত্য, ছেলেরা যদি শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ৭৫ ভাগ কাপড় দিয়ে ঢাকে, তবে বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের শরীরের ১০০ ভাগের মধ্যে ২৫ ভাগ মাত্র কাপড় দিয়ে ঢাকে।
০৯। নিয়ন্ত্রণহীন চলাফেরা ঃ- আমি বলবো হতো ছলেরো ময়েদেরে টজি করে, তবে ময়েরোই তাতে ছলেদেরে আগ্রহী করে তোলে। বাংলাদশেরে মত ধর্ম ভীরু একটা দশেে যদি একটা ময়েে ওড়ানা ছাড়া হাতাকাটা বডি ফটি টপস পরে তাদরে স্তন জোড়া সবার চোখে সদৃশ করে তোলে, তার কোমররে নচি হতে পায়রে গোড়লীর উপর পর্যন্ত টাইট-ফটি জন্সি পরে সবার সামনে ঘুরে বড়োয়, তবে কনে একটা ছলেে সে ব্যপার নয়িে কথা বলবে না? ময়েটো যদি তার শালীনতা বজায় রাখতো তবে কোন ছলেে তাকে টজি করার সুযোগ পতেোনা।

তবে হ্যাঁ কছিু ছলেে যে বখাটে তা আমি অস্বীকার করবোনা। কন্তিু সবাই যে বখাটে তা আমি কখনো স্বীকার করবোনা।

ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে যারা ঃ- সাধারণতঃ উঠতি বয়সের যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাই বেশী ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে।

ইভটিজিং কি বন্ধ হবে না ঃ- এই প্রশ্নের উত্তরটি এক বাক্যে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ উপরে বর্ণিত কারণগুলি বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, ধর্মীয় অনুশাসন এবং অতি আধুনিকতা এই দুইটি জিনিসের প্রতি একটু গুরুত্ব দিলেই ইভ টিজিং বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী বলে মনে হয়।
এ ছাড়াও প্রত্যেকে ¯^-¯^ অবস্থান থেকে বিপরীত লিঙ্গকে নিজ পরিবারের সদস্য বলে মনে করলে ইভ টিজিং বন্ধ হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।






(সৌজন্যেঃ ইউসুফ আলী, সোনারবাংলাব্লগ)
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×