মানুষ যাকে দুঃখ বলে জানে তা যেমন আমার কাছে দুঃখের , আর আমার নিজস্ব সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সৃষ্ট কিছু দুঃখ সেও আমার জন্য দুঃখের-অপরিমিত। তাই জানা-অজানা দু’রূপ দুঃখের পরিধি বিশালাকার মহাসমুদ্র সম হবেনা কেন! তবুও তাকে আমি লালন করতে জানি বা জানতাম। আমারই চঞ্চলতায় এই দুঃখ রূপ বারিধি কেন্দ্রীভূত হয় মুহূর্তে, হয় ভাটায় স্তিমিত আর এতটাই স্বচ্ছ যে তাতে অনেকেরই প্রতিকৃতি অবলোকন করতে পারা যায়-কেও তখন বুঝতেই পারেনা কি সীমাহীন কষ্টের রহস্য লুকায়িত রয়েছে এই অলিখিত জলাধারে। অথচ আমার স্থিরতায়, আমার নিশ্চুপতায় এই অকূল পাথারে নেমে আসে প্রচন্ড জোয়ার-সে জোয়ারের অসহ টানে তান্ডব নৃত্যে নাচতে থাকে আমার এ দুঃখ পারাবার, আমি না পারি তার অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে, না পারি স্তব্ধ সময়কে পার করতে। তাই তার উন্মাদনায়, তার কল্লোলে তীর ভাঙ্গতে থাকে আমার জীবন তটে।উচ্ছ্বোলিত এই সাগরের সৃষ্ট গর্জনকে শান্ত করতে আমাকে হতে হয় অশান্ত-সৃজন করতে হয় বেঁচে থাকার ভিন্ন কিছু সূত্র-করতে হয় নিজেকে বেগময়-চলমান। আজ আমার চলছে সে নিশ্চুপতার কাল, স্তব্ধতার বেলা।
নিজেকে, নিজের অস্তীত্ত্বকে টিকিয়ে রাখতেই আমার এই ছুটে চলা, নব উন্মাদনায় তাই পুনঃ যাত্রা শুরুর চেষ্টা করলাম-সফলতা বা বিফলতা যাই ঘটুক, সময়কে পার করতে আমার এই চলা, চলতে হবে বলে...........