somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কুল স্মৃতি (বালতি স্কুল): ২য় পর্ব

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্ব : আমার আগের পোস্টে।

চট্টগ্রামের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে পড়তাম একসময়। স্কুল জীবনের কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আশা করি ভালো লাগবে।


৫। টিফিনঃ টিফিনের জন্য আমাদের স্কুলটা মোটামোটি খুবই ফেমাস ছিলো , খুব ভালো ভালো খাওয়া দিত। এমন কি ফলের মৌসুমে ফলও, আম, আপেল, কমলা, কলা, রুটি, বন, বিস্কুট,আরো অনেক কিছু। একবার হেড স্যারের মাথায় আসলো, ছাত্রদের আনারস খাওয়াতে হবে। ব্যাস, চলে আসলো হাজার খানেক আনারস। কিন্তু এইভাবে দিলে কেমনে খাবে ছাত্ররা? তারপর ৫-৬ জন মানুষ লাগিয়ে দিলো, আনারস ছিলার জন্য। তার একটানা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কাজ শেষ হয় না। দুপুর ১টার সময় টিফিন, কিন্তু সেইবার আমরা টিফিন পেলাম বিকাল ৪টার পর।:):)


৬। সিনেমা হল পাহারা দেওয়া :):):) যখন জলসা সিনেমা হলে (এখন আর সেই সিনেমা হল নাই, মার্কেট করে ফেলেছে)নতুন সিনেমা আসতো, তখন দুপুর হলেই দেখা যেত, স্কুলের কোনো টিচার সিনেমা হল গেটে পাহারা দিত, যাতে ১ ঘন্টা টিফিনের ফাকে কেউ সিনেমা হলে না ঢুকে যায়X(X(। আর টিফিন পিরিয়ডের পর প্রত্যেকদিন ২য় দফা রোলকল করা হতো। কেউ পালিয়েছে কিনা, সেটা হেডস্যারকে রিপোর্ট করতে হতো।:((:((


৭। আজব শাস্তিঃ আর একজন শিক্ষক ছিলেন, সমরেন্দ্র স্যার, গণিত পড়াতেন, অসম্ভব কড়া, কঠিন শাস্তি দিতেন। হয়ত দেখা গেল, কানে ধরে স্কুলের মাঠের মাঝখানে দাড় করিয়ে রাখতেন ৩০ মিনিট, কিংবা ক্লাশ ক্যাপটেনকে কি দিয়ে কানে ধরিয়ে সারা স্কুলের এমাথা ওমাথা ঘুরানো হতো, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী। খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম, কিন্তু এখন এইসব কথা মনে পড়লে মজাই লাগে।


ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×