সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীর ই-মেইল পড়ার দায়ে জেলে যেতে হয়েছে। লিওন ওয়াকার নামের ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর জি-মেইল অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিলেন তার স্ত্রীকে না জানিয়েই। খবর নিউ ইয়র্ক ডেইলি-এর।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, নিজের স্ত্রীর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তার অ্যাকাউন্টে ঢোকেন লিওন ওয়াকার। আর মেইলে ঢুকেই জানতে পারেন তার স্ত্রী ক্লারা ওয়াকার অন্যজনের সঙ্গে প্রেম করছেন। স্ত্রীকে না জানিয়ে তার ই-মেইল খোলার জন্য চটে গিয়ে মামলা করেন ক্লারা। এখন সেই মামলার জন্য ডিভোর্সের পাশাপাশি ৫ বছরের জন্য জেলেও যেতে হবে তাকে।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, অকল্যান্ড-এর আদালত আইডেনটিটি চুরি, এবং ব্যবসায়িক গোপনীয়তা চুরির দায়ে লিওনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। আর এই মামলার রায়ে এই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও এবারে লিওনকে জেলে যেতে হচ্ছে।
আদালত লিওন ওয়াকারকে জেলের সাজা দিলেও আইন বিশেষজ্ঞ ফ্রেডরিক লেন জানিয়েছেন, এই প্রথমবারের মতো কোনো পারিবারিক মামলার রায় দিয়েছে আদালত। এটা খুবই মজার বিষয় দাঁড়িয়েছে যে, এখানে আইনের সরাসরি কোনো ব্যাখা নেই।
ফ্রেডরিক লেন আরো জানিয়েছেন, এই মামলায় লিওনের পক্ষে সুবিধা হলো, ই-মেইল দেখার ঘটনা ঘটার সময় তারা একই ছাদের নীচে বাস করছিলেন এবং নিয়মিত সেই ল্যাপটপ ব্যবহারও করতেন তিনি। আর তাই এক্ষেত্রে ক্লারার খুব বেশি প্রাইভেসি থাকার কথা নয়।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং ই-মেইল বিষয়ক বিভিন্ন কারণে ডিভোর্সের হার বেড়ে গেছে।