(১)
: হোন মফিজের বাপ, তোমার ছেলেকে তারাতারি কইরা কও, আমার মেয়ের নামে যেই কেসটা দিসে, তা যেন আজই উঠাইয়া আনে, না হইলে বহুত খারাপি আছে কপালে কিন্তু।
: মেম্বার সাব, লজ্জায় আমার ছেলে ঘরের বাহির হতে পারেনা, হারাদিন শুধু কান্দে।,,... খাওয়া দাওয়া সব ছেড়ে দিসে। আমরা ও মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারি না।//
: তোমার ছেলে কান্দুক আর না খাইয়া মইরা যাক তা আমার দেহার বিষয় না।
আমি যা কইছি তা যে করে, আবার আইতে যাতে না লাগে...বুঝছ মিয়া... কথা গুলো বলে হনহন করে চলে গেল মেম্বার সাব।
(২)
: তুই তো সবাই হুনছত, মেম্বার কি কইয়া গেল, যদি কেসটা না উঠাইয়া আনস, তাহলে আমাগো বিপদ হতে পারে।
: বাবা তুমি ও কইতাছ হেই কথা ।
: বাবারে তাগো অনেক জোর. আমাগো কথা না হয় বাদই দিলাম, তোর একটা কিছু হলে। হেষে হারা জীবন না...............
: যেই মেয়ে রাস্তা ঘাটে আমারে টিটকারী মারে, আমারে কু-প্রস্তাব দেয়, সেইদিন কলেজে যাবার সময় আমার হাত ও ধরল,
: বাবারে সবই তো জানি, তারপরেও আমরা অসহায়.. তাগো লগে আমরা পারুম না.. চিন্তা কইরা দেখ.......
: চিন্তা করার কি আছে,তুমিই বল বাবা, সে আবার জোর করে আমারে বিয়া ও করতে চায়. আমি লজ্জায় কারো কাছে মুখ পযর্ন্ত দেখাতে পারি না।
: আমাগো ও তো একই অবস্থা ... তারপরও ...
: এই অন্যায়ের কি কোন বিচার হবে না ।
: নির্বাক..........নির্বাক.....................