কারণ একটাই, স্কুল ফুটবলে এ লতিফ চ্যারিটেবল স্কুল অপ্রতিরোধ্য। ফাইনালেও হাজির হয়েছিল সেই গতি নিয়ে। তবে অনেক সুযোগ তৈরি করে গোল বের করতে পারেনি নির্ধারিত সময়ে। শেষমেশ টাইব্রেকারে তাদের আনারুল ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম ও তৌফিকুর রহমানের গোলে নিশ্চিত হয়েছে শিরোপা। এখানে তাদের সাফল্য শতভাগ হলেও প্রতিপক্ষ রেসিডেনসিয়াল একেবারেই আনকোরা। তানজিম, আশফাক ও রাহাতের গোল মিসের পাশে আছে কেবল হিমেলের একমাত্র গোল। তাই রানার্সআপই তাদের নিয়তি, তবে সান্ত্বনা হলো রেসিডেনসিয়াল অধিনায়ক রাইসুল ইসলাম রিমুর টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি পাওয়া। যদিও তার দাবি, ‘আমরাই আসলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ওরা অছাত্র খেলিয়ে ম্যাচ জিতেছে।’ তাদের কোচ ফারুক হোসেনের কথায়ও মিশে আছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, ‘এ লতিফ চ্যারিটেবলের গোলরক্ষক, তৌফিকুর রহমান ও মাসুম ওই স্কুলের ছাত্র নয়। এ অভিযোগ আমরা কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো ফল পাইনি। এভাবে স্কুল টুর্নামেন্ট চালালে তো স্কুলের ছাত্ররা মোটেও উৎসাহী হবে না।’ অভিযোগ দেরিতে করা হয়েছে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির কো-চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আসলাম।
অভিযুক্ত চ্যারিটেবল স্কুলের মাসুম টুর্নামেন্টে ১৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার নিয়ে বলছে, ‘আমি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। আমার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা।’ এমন প্রতিভাকে আবার আগলে রখার চেষ্টাও করেছেন স্কুলের শিক্ষকরা। এঁদের মধ্যেই একজন অভিযোগের জবাবটা দিয়েছেন এভাবে, ‘কেউ যদি খেলার জন্য স্কুলের ছাত্র হয়, তাতে ক্ষতি কি।’ ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের আর এর সুবাদে চ্যাম্পিয়ন স্কুলের নামটা জেনেছে অনেকেই।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৩৯