অনেকটা অপরাধবোধ থেকে লিখতে বসলাম।যদিও এই পাপের কোন ক্ষমা আছে কিনা জানা নেই,শেষ কি হবে জানি নাহ আমার এই পাপের ফল।আমাকে তার কষ্ট পাওয়ার মূল্য কি ভাবে দিতে হবে জানি নাহ। এটা ছিল কোন কোন এক শুভ্র মেয়ের না পাওয়ার কাহিনী। আমি হলাম সেই মানুষ যাকে সে চেয়েছিল। অতিত এ যাওয়া ঠিক হবে না,আসলে সে এখনও আমাকেই চাই।
মেয়েটির সাথে আমার পরিচয় একটা পার্ট- টাইম অফিস এ।আমার তাকে খুব এ ভাল লাগত।তবে আমার অনেককেই ভাল লাগত। তাই এটা আমার জন্যে নতুন কিছু নাহ। তবে আমি মাঝে মাঝে টার দিকে তাকালে হারিয়ে যেতাম। অদ্ভুত এক ভূত আমার ঊপোড় ভড় করত। তবে অনেকেই ছিল যাদের দেখলে আমার এমন হতো। যদিও আমি কোন মেয়েকে আসলেই ভালবাসতে পাড়বো কিনা নিশ্চিত ছিলাম নাহ তাই ভালোবাসার চেষ্টাও করতাম নাহ ।আমার আসলে কাওকে কষ্ট দেয়ার কোন ইচছে ছিল নাহ। তবে আমার কিছু কাজে মনে হয় মেয়েটি ভেবেছিলো যে আমি টাকে পছন্দ করি ।টার সাথে আমি রেগুলার কথা বলতাম তবে সব এ কাজের কথা,আমাদের পার্ট-টাইম কাজের বেপারে।আর সে খুব ভাল মেয়ে হওয়াই আমি কখনই চাইতাম নাহ আমাদের ভেতর কোন সম্পর্ক হোক কারণ আমি সম্পর্ক কত দূর নিতে পারব জানতাম নাহ।
এক দিন সকালে সে হটাৎ আমাকে ফোন দিয়ে বলল যে আমার বাসায় একটু পর আসবে।আমি বললাম হটাৎ আমার বাসায় যে?সে বলল কাজ আছে।সে আসলে,আমি তাকে বাসার নিয়ে যেতে চাইলাম কিন্তু সে বলল বাইরে কোথাও বসার কথা।আমার বাসার পাশেই একটা ফাঁকা বিল এবং বালু প্রান্তর আছে।আমি তাকে সে খানে নিয়ে গেলাম।সে অনেক্ষন আমার বেপারে কথা বলল,আমি কাওকে ভালবাসি কিনা জানল।তার কথাও বলল। শেষে সে আমার কাছে পরামর্শ চাইল যে সে একজন কে ভালবাসে এবং আজ তা বলতে চাই। কিন্তু কিভাবে বলবে? আমি বললাম আমি জানি নাহ কারণ তত খনে আমি বুঝে গেছি যে সে আসলে আমাকেই কথাটা বলতে চায়।শেষে সে বলল যে তার একটা প্লান আছে। তা হল I LOVE U তে যেহেতু ৬ টা অক্ষর আছে সেহেতু সে ৬ টি গোলাপ দিয়ে তার ভালবাসার কথা জানাবে।আমি বললাম ok. তাকে বাস এ তুলে দিতে গেলাম।রিচকশা তে করে বাস স্ট্যান্ড এ জাওয়ার পথে রিচকশা থামিয়ে সে ৬ টি গোলাপ কিনল। পরবর্তীতে সে যখন BUS ঊঠোল তখন আমার হাতে ফুলের টোরা টা দিয়ে বলল –এটা তোমার জন্যে। আমি কিছু বোঝার আগেই BUS ছেড়ে দিলো। আমি অবাক হয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলাম!
পরবর্তীটে তাকে ২ দিন আর ফোনে পাইনি। শেষে যখন পেলাম তখন ফোনে এ এবং সরাসরি অনেক বোঝালাম যে আমি আসলে কেমন।এটা সম্ভব নাহ। FUTURE খুব এ INSECURE.কিন্তু সে আমার কথা শুনল নাহ। আমার মনে হোলো একে না বললেও কষ্ট পাবে আবার হা বললেও ২ দিন পরে BREAK UP হলেও কষ্ট পাবে। তার উপর আমার কিছু ভাই বলল হা বলতে।ADJUST না হলে পরে BREAK UP করতে। আমার অজান্তেই তাই তার সাথে ভালবাসাবাসি শুরু হয়ে গেল।আমি ভেবেছিলাম যেহেতু মেয়েটি খুব কষ্ট পাবে তাই দেখি যদি ওকে ভালবেসে ফেলতে পারি তাহলেতো সব কিছুর সমাধান হয়েই যাবে......।আমিতো নিচের লেখা আমার কবিতার মত------
ইচ্ছে করে মুক্ত হব,মুক্ত পথের সঙ্গি হব।
আসেপাশের বাধন ভেঙ্গে,ইচ্ছেমত মন হারাব।
পারবেনা কেও আমায় ছুতে,ছাই হয়ে হারিয়ে যাব।
মুক্ত পাখি মুক্ত আখি,মুক্ত পথের মুক্ত সাথি।
বাচব আমি আমার মত,মরব আমি ইচ্ছেমত......
আত্তার কথায় অবিরত..................
কিন্তু না,এটা যে আমি!it’s impossible actually for me to make a relationship. So এক মাস পরে আমি তাকে বলেই দিলাম যে it’s not working actually.আমি তোমাকে ভালবাসতে পারছি নাহ। তুমি খুব ভাল একটা মেয়ে,তাই আমি তোমাকে ঠকাতে চাই নাহ।সে খুব এ কষ্ট পেল এবং আমাকে রেখে রিচকশা করে চলে গেল । আমি একা একা অনেক ক্ষণ বসে রইলাম আর ভাবলাম এটা কি আমি ঠিক করলাম?কিন্তু কোন answer পাই নাই।তবে আমি তাকে কোন ভাবেই use করি নি।may be mentally করেছি?
আজও সে এই আশাই বসে আছে যে আমি ফিরে যাব তার কাছে।আমাকে মাঝে মাঝে phone দেই। আমিও দেই তবে খুব কম। মাঝে মাঝে দেখা করতে বলে,আমি নানা উছিলায় যাই নাহ।তার ফোন আসলেই আমার নিজেকে খুব অপরাধি মনে হই। কিন্তু যোর করে কাওকে সহানুভুতি দেখিয়ে কি ভালবাসা উচিত? কাজটা কি ঠিক হবে?তাকে অনেক বলেছি কিন্তু কোন লাভ হই নি।
MY FAVORITE MUSICIAL TAHSAN –এর একটা গান এর মত হয়ে গেছে আমাদের দুজনার-----‘ যত দূরে যাই সরে
জানি ততোই চাও মোরে!’
আমি আজ ও সেই অপরাধে অপরাধী ভাবি নিজেকে। সে নিশ্চয়ই আমার কিছু ATTITUADE দেখে ভেবেছিল আমি টাকে LIKE করি। কিন্তু কি করে বোঝাই যে আমি তোমার যোগ্য নই। আমি এখনও serious হতে পারি নি ভালবাসার বেপারে।আবার এটাও সত্যি যে আমি playboy গিরি ও কার সাথে করি নি জীবনে। যা হাল্কাপাতলা পাগলামি করেছি টা কি এই বয়সে খুব এ সভাবিক না?তবে কেন তুমি স্বাভাবিক হতে পার নাহ?আমাকে এ কোন game-এ জরালে?আমার পক্ষে তোমাকে ভালবাসাও সম্ভব নাহ আবার তোমাই হতে মুক্ত হয়াও অসম্ভব.........।।
আলোচিত ব্লগ
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি
অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?
যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।
ছবি - সংগৃহীত।
ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি
শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?
ছবি সূত্র: গুগল
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন