গত দুই বছর দিল্লিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি। এ সময়ে পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্যই ছিল যে কোনো কিছুর বিনিময়ে দিল্লিকে তুষ্ট রাখা। আর এটা করতে গিয়ে ভারতকে সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে বর্তমান সরকার।
এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
প্রতিদানে কিছুই পায়নি সরকার।
অবশ্য পায়নি বললে ভুল হবে। বাংলাদেশ পেয়েছে অনেককিছু ।
১.সীমান্তে অনেক বেশি বাংলাদেশীর লাশ
২.বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে ১৭০ নিরীহ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও শিশু।
৩.দিল্লিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির কারণে অন্য প্রতিবেশী দেশসহ বাকি বিশ্ব থেকে দিন দিনই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
৪.সৌদি আরবসহ ২৫টি দেশে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়েছে।
৫.বাংলাদেশের প্রতি চীনের আস্থাহীনতা
৬. পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ৬৮ বার বিদেশ সফর
৭.শেখ হাসিনা গত দুই বছরে ২১ বার বিদেশ সফর করেছেন। এসব সফরে বিদেশের মাটিতে তিনি কাটিয়েছেন ১০১ দিন।
৮.ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী সন্ত্রাস দমন চুক্তি সই । চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে সেভেন সিস্টারের বিদ্রোহ দমনে বাংলাদেশকে সহযোগী শক্তি হিসেবে পেয়েছে ভারত।
৯.গত এক বছরে প্রায় অর্ধশত উলফা নেতাকে ভারতের হাতে হস্তাস্তর করেছে বাংলাদেশ।
১০.ট্রানজিট প্রদান। ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, আশুগঞ্জ বন্দরকে পোর্ট অব কল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি।
১১. ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও তার বোঝা।
১২ . তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যার সমাধান, সীমান্ত চিহ্নিতকরণ, বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, ছিটমহল হস্তান্তর, সমুদ্রসীমা নির্ধারণসহ বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে মৌখিক আশ্বাস
১৩. বিনা টেন্ডারে ২৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব ভারতের কাছে হস্তান্তর।
১৪. ভারতকে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান।
১৫. সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সময়ক্ষেপন।
আরও আরও অনেক ফিরিস্তি দেয়া যায়। আওয়ামীলীগের ভারতপ্রেমের অনেক ফিরিস্তি।
অামরা আশা করি আগামী তিন বছরে এই প্রেম গভীর হবে। এত হভীর যে সেই জোয়ারে আমাদের সব দুঃখ কষ্ট ভেসে যাবে। আবার আমরা ভারতকে ক্ষমতায় নিয়ে আসব এই প্রেমকে অমর করে রাখার জন্যে। কি আপনাদের কি মনে হয়?
আওয়ামীলীগের ভারত প্রেমের দুই বছর..........
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন