somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থানের জন্য বেশি সহাযক, কারিগরি উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য মালেশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। কেউ কেউ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, কেউ কেউ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আবার কেউ কেউ ডাক্তার হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মেডিকেল কলেজে চলে ভর্তির প্রস্তুতি। এই যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুদ্ধংদেহি মনোভাব চলে আসে। গ্রেডিং পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বাদশ ফলাফল প্রকাশিত হয়। গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রতিবছর পাসের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বাড়ছে। দেশে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠলেও সীমিত আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের সেখানে ভর্তির সামর্থ্য নেই। তাছাড়া অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানসম্পন্ন বলে বিবেচিত হলেও তাদের ভর্তি ও টিউশন ফি মাত্রাতিরিক্ত।

আমাদের দেশে পাস করা শিক্ষার্থীর তুলনায় মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড়ই অভাব। সঙ্গত কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষে ছুটে যায় নামিদামি কোচিং সেন্টারগুলোয়। সেখানেও অনেক বিপত্তি, আসন সংখ্যা সীমিত থাকার দরুন এককালীন মোটা অঙ্কের অর্থ অবিভাবকদের গুনতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অবিভাবকদের পক্ষে কোচিংয়ের অর্থ জোগান দেওয়া কষ্টকর হলেও সন্তানের কথা চিন্তা করে অসাধ্য বোঝা বহন করতে হয়। এভাবেই শিক্ষার বাণিজ্যিকরণের ব্যাপ্তি দিনে দিনে বেড়েই চলছে।

অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না বলে আশংকা করা হচ্ছে। দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ এমনিতেই সীমিত। প্রতিবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে তা আরও সীমিত হয়ে পড়ছে। যদিও গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কম, তা সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত বলে সংশিষ্টরা মনে করছেন। দেশে মানসম্মত সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও অনেক কম। এই সুযোগে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

দেশে উচ্চশিক্ষার মান কমছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানের দিক থেকে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সে তালিকার ওপরের দিকে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায় না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের দেশে একদিকে যেমন বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তেমনি পাস করার পর বেকার নামক যন্ত্রণাকে সঙ্গী করে অনেক যুবক যুবতীকে অভিভাবকের বোঝা হয়ে থাকতে হচ্ছে সঙ্গত কারনেই|

বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কর্মসংস্থানের জন্য বেশি সহায়ক বলে বিবেচিত। এ দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিবেচনায় এ ধরনের শিক্ষাই বেশি উপযোগী। বিদেশেও এর চাহিদা রয়েছে |

বর্তমানে খুব আকর্ষনীয় দুইটি ইন্জিনিয়ারিং বিষয় হচ্ছে Aircraft Engineering Technolog এবং Marine Engineering Technology আমাদের দেশে শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন খুব সীমিত তাই যে সব মেধাবী শিক্ষার্থী এই বিষয়ে আগ্রহী তারা দেশের বাইরে গিয়ে এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে পারে। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় মালেশিয়া হল বর্তমানে এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার সেরা পছন্দ। খরচ আনুপাতিক হারে সামজস্যপূর্ন। এই বিষয়ে তথ্যর প্রয়োজনে ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। ই-মেইল আইডি: [email protected]

পূর্বে প্রকাশিত পোষ্টে আলোচনা করেছিলাম মালেশিয়ায় প্রশিক্ষন গ্রহন পূর্বক বৈধভাবে কাজকরার সুযোগ অনেকের মেইলের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে মালেশিয়ার ডিপি-১০ ভিসা পদ্বতি নিয়ে ধারনা দেওয়ার প্রত্যাশা রইলো।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×