somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মরণীয় হ্যালো...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নতুন বছরটা খুব মজার একটা ঘটনা দিয়েই শুরু হলো। সারা রাত জেগে থাকার পর প্রথম সুর্যোদয় দেখার সাধটা মিটিয়েই ঘুমাতে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে পড়ছিলাম সকাল দশটার কিছু পরে। সকালের নাস্তা খাওয়ার অভ্যাসটা কোন রকমে আঁকড়ে ধরে আছি, এজন্য সকালে না খেলে তেমন সমস্যা হয় না এখন। বছরের প্রথম দিনটাও সকালের নাস্তা না করেই পার করে দিলাম। তবে খাওয়ার জন্য বাইরে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু যাবো যাবো করতে করতে সাড়ে বারোটা বেজে যাওয়ায় চিন্তা করলাম, একবারে দুপুরেই খাব। এদিকে মিলও চলে নাই। তাই বাইরে তো যাওয়াই লাগবে। সময়টা পার করলাম কিভাবে টেরই পেলাম না। একে তো ফেসবুক,মেসেঞ্জার আর ব্লগ আছেই, তার সাথে নেট-এ পেপার পড়ার অভ্যাসটাও হয়ে গেছে। গান তো চলে ২৪ ঘন্টাই, সাথে মোবাইল তো আছেই, একটু পর পর কল করা আর রিসিভ করা। কখন যে টাইম পার হয়ে যায় এসবের সাথে, টেরই পাই না। প্রায় এক মাসের মত হয়ে গেলো, কোডিং করাও হয়ে ওঠে না তেমন।


দুপুরে গোসল সেরে খাওয়ার জন্য বের হলাম আমরা তিনজন। হোটেলে গেলাম, দুপুরের খাবারও খুব মজা করে খেলাম। এমনিতেই সকালে খাই নি, এজন্য যা খাচ্ছিলাম তাই খুব ভাল লাগতেছিল। খাওয়া শেষ করে আমরা রাজিব ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ৩১ ডিসেম্বরে রাজিব ভাইয়া সহ মোট ছয়জন দিনাজপুরে ঘুরতে গিয়েছিল। ওখানে ওরা অনেক মজা করেছে। ওরা সীতার কোট, শালবন-এর মত জায়গা থেকে ঘুরে আসছে আর ওদের ছবি আর ভিডিও দেখে আমারই এখন ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। রাতে বনে ঘোরার অভিজ্ঞতাটা কখনও হয়নি। ওরা অনেক রাত করেই বন থেকে বের হয়েছে। পুরা ট্যুরের ছবি দেখার জন্য উন্মুখ ছিলাম আমি। রাজিব ভাইয়ার কাছে কিছু ছবি ছিল, পেনড্রাইভে করে আনবে বলেই আমরা অপেক্ষা করছিলাম তার জন্য, আর আমি মোবাইলে কথা বলছিলাম।

কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইয়া চলে আসলো। আমাদের মোস্তফা ভাই অপেক্ষা করতে করতে যে কখন পাশের মেনস্‌-শোরুমে ঢুকেছে খেয়ালই করি নি। রাজিব ভাই আসার পর সেও ঢুকলো। আমিও কথা শেষ করে একই পথ ধরলাম। যেয়ে দেখি, মোস্তফা ভাই-এর একটা টি-শার্ট পছন্দ হয়েছে। সে বিল পে করলো, কিন্তু টাকা খুচরা না থাকাতে আমাদের কিছু সময় ওইখানেই থাকা লাগলো। আমরা চারজন ছাড়া কেউই ছিল না ওখানে। হঠাৎ মজার একটা ঘটনা ঘটলো। একটা মেয়ের কন্ঠ, সে বলছে, "হ্যালো... হ্যালো..."। আমরা সবাই এদিক ওদিক তাকাতে থাকলাম। সবাই তো হতবম্ব, কোথা থেকে আসছে এই কন্ঠস্বর! তখন সবার নিজেদের মোবাইলের কথা খেয়াল হলো। আমি তখন বুঝলাম, এটা তো আমার অনেক পরিচিত কন্ঠস্বর। তারপর মোবাইল বের করে কথা বললাম। সবাই তো খুব হাসাহাসি শুরু করে দিল, এমনকি আমিও খুব হাসছি। আসলে মোবাইলে কখন যে চাপ পড়ে কল চলে গেছে, আর তারপর এত কিছু। এত ক্লীয়ারলী হ্যালো শোনা যাচ্ছিল যে, পরে বুঝলাম, স্যামসাং-এ হ্যান্ডস-ফ্রী ছাড়াই অনেক জোরে কথা শোনা যায়।


অতঃপর আমরা অনেকটা হাসিমাখা মুখেই বের হলাম শোরুম থেকে। আশিক ভাইয়ের রুমে ফিরে আমরা ছবি দেখা শুরু করলাম। আর সাথে এক একটা মজার কাহিনী শুনলাম। হাসতে হাসতে যা অবস্থা হয়েছিল ! এইরকমের একটা ট্যুর দেওয়ার কথা বলেছি অনেককেই, কিন্তু খুব জলদি হবে বলে মনে হচ্ছে না। আর এমন মজার "হ্যালো... হ্যালো..." কাহিনীর পুনরাবৃত্তিও মনে হয় হবে না। আশা করি, অন্তত ঘুরতে যাওয়াটা হোক পরীক্ষার পরে এবং সেটা হোক আরও স্মৃতিজড়িত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জেন্ডার ও সেক্স

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

প্রথমে দুইটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি।

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার ঘটনা। দুজন নারী প্রার্থী। দুজনই দেশের নামকরা পাবলিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারকে সবাই কৃত্রিম সন্মান দেখায়েছে, বেনজিরকে মিথ্যা স্যার ডেকেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



এমপি আনার ৪/৫ শত ক্যাডারকে লালন পালন করতো, সবাই তাকে "ভাই" ডাকতো; কত কলেজের শিক্ষক, প্রিন্সিপাল, থানার দারোগা উনাকে স্যার ডেকেছে; পার্লামেন্ট ভবনে উনাকে কত আদর করে খাবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামীলীগে শুধুমাত্র একটি পদ আছে, উহা সভাপতি পদ!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১


বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারের মৃত্যু এবং মানুষের উষ্মা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৯


সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আনোয়ারুল আজীম আনার নামে একজন বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে হাপিত্যেশ করে দেওয়া হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বকুল ফুল

লিখেছেন নীল মনি, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪

বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরে থাকে আমার এই ঘর। আমি মাটির ঘরে থাকি। এই ঘরের পেছন দিকটায় মা'য়ের হাতে লাগানো বকুল ফুলের গাছ৷ কী অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এই ফুলকে ঘিরে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×