somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যার আইজাক নিউটন (Sir Issac Newton)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্যার আইজাক নিউটন
জন্ম: ২৫শে ডিসেম্বর,১৬৪২,ইংল্যান্ড
মৃত্যু: ২০শে মার্চ, ১৭২৭, লন্ডন, ইংল্যান্ড
তিনি ১৬৪২ সালের বড়দিনে জন্মগ্রহণ করেন।তার জন্মের কয়েক মাস পূর্বেই পিতার মৃত্যু হয়।জন্মের সময় তিনি ছিলেন দুর্বল শীর্ণকায় আর ক্ষুদ্র আকৃতির।প্রথম তিন বছর তার বিধবা মায়ের সাথে কাটে।এর পর তার মা এক ভদ্রলোকের প্রেমে পড়ে তাকে বিবাহ করলে তিনি দাদীর কাছে লালিত পালিত হতে থাকেন।১২ বছর বয়সে নিউটনকে গ্রামের স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হয়।শিক্ষকরা তার অসাধারণ মেধার জন্য ভালোবাসতেন।
ছোটবেলার কাহিনী:
স্কুলের অধ্যক্ষের শালা প্রায়ই স্কুলে দেরী করে আসত।একদিন নিউটন বললেন, স্যার আপনার জন্য একটা ঘড়ি তৈরী করে দিচ্ছি, তাহলে ঘড়ি দেখে ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারবেন।নিউটন ঘড়ি তৈরী করলেন।ঘড়ির উপর থাকত একটা পানির পাত্র।প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পারি সেই পাত্রে ঢেলে দেওয়া হতো।তার থেকে ফোটা পানির ঘড়ির কাটার উপর পড়ত এবং ঘড়ির কাটা আপন বেগে এগিয়ে চলতো।
এরপর নিউটনের পিতা মারা গেলেন।ক্ষেত জমিজমা দেখাশোনার জন্য তাকে স্কুল ছাড়ানো হলো।
তার চাচা উইলিয়াম ভাইপোর জ্ঞানতৃষ্ঞায় মুগ্ধ হয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসেন।তিনি নিউটনকে স্কুলে ভর্তি করে দেন।এর এক বছর পর নিউটন ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হলেন।উল্লেখ্য তার চাচা ট্রিনিটি কলেজের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তিনি ১৬৬৫ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
আবিষ্কার:
কলেজ ছাত্র থাকা কালীন অবস্থাতেই তিনি গণিত শাস্ত্রের উপর কিছু জটিল তত্ত্ব আবিষ্কার করেন-
1. বাইনোমিয়াল থিওরেম (Binomial Theorem)
2. ফ্লাকসনস (Fluxions)বা ইন্ট্রিগ্যাল ক্যালকুলাস (Intregal Calculas)
3. পদার্থের ঘনত্ব (The methods for Calculating the area of curves or the volume of solids)
১৬৬৬ সালে এক চিঠিতে নিউটন লিখেন, আমি পদ্ধতি উদ্ভাবনের সাথে সাথেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সমন্ধে চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করেন।তখন তার বয়স মাত্র চব্বিশ।
তিনি চাদ ও অন্য গ্রহ নক্ষত্রের গতি নির্ণয় করার চেষ্টা করেন।কিন্ত তার উদ্ভাবিত তত্ত্বের মধ্যে কিছু ভুল ত্রুটি থাকার জন্য তার প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ ও ভুল থেকে যায়।
তার এই সব কাজ ও মৌলিক তত্ত্বের জন্য ১৬৬৭ সালে হতে ফেলো নির্বাচন করে।তারপর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রিনিটি কলেজের গণিতের অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
এরপর তিনি আলোর প্রকৃতি ও তার গতিপথ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং এই কাজের প্রয়োজনেই তিনি তৈরী করলেন প্রতিফলক টেলিস্কোপ (Reflecting Telescope)।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে তাকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ইংল্যান্ডের রয়াল সোসাইটির সদস্য নির্বাচিত করা হলো।
এর পর তিনি আবিষ্কার করেন আলোর বর্ণতত্ত্ব (Theory of colour)।
এর পর তিনি গতিসুত্রের তিনটি সূত্র আবিষ্কার করেন। তিনি ১৬৪৭সালে প্রকাশ করলেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ- Mathematical Principles of Natural Philosophy.যেখানে তিনি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন।এই বইটি ল্যাটিন ভাষায় লেখা আর তিনটি খন্ডে বিভক্ত।
প্রথম খন্ডে নিউটন গতিসূত্র সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
দ্বিতীয় খন্ডে তিনি গ্যাস, ফ্লুইড, বস্তুর গতির কথা আলোচনা করেছেন।
তৃতীয় খন্ডে মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব সমন্ধে খুটিনাটি আলোচনা করেছেন।
এরপর মাঝখানে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
১৭০৩ সালে নিউটন রয়্যাল সোসাইটির সভাপতি হলেন।আমৃত্যু তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।১৭০৫ সালে তাকে নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করা হলো।
মৃত্যু:
১৭২৭ সালে নিউটন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন।চিকিত্সাতে কোন সুফল পাওয়া গেলো না।অবশেষে ২০শে মার্চ মহাবিজ্ঞানী নিউটন এই দুনিয়া হতে চিরনিদ্রায় শুয়ে পড়লেন । সাতদিন পর তাকে ওযেষ্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে তাকে সমাহিত করা হলো।
মৃত্যুর আগে তিনি লিখে গিয়েছিলেন,
“পৃথিবীর মানুষ আমাকে কিভাবে জানি না কিন্ত আমি নিজের সম্পর্কে মনে করি যে আমি একটা ছোট ছেলের মত সাগরের তীরে খেলা করছি আর খুজে পেয়েছি সাধারণের চেয়ে সামান্য আলাদা পাথরের নুড়ি বা ঝিনুকের খোলা।সামনে আমার পড়ে রয়েছে অনাবিষ্কৃত বিশাল জ্ঞানের সাগর ।“আরো জানতে পরতে পারেন "বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষির জীবনী।
উইকিপিডিয়া থেকে
http://en.wikipedia.org/wiki/Isaac_Newton
বাংলায়
বাংলা উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×