somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দখল

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে আবার রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ভিক্ষা দেবার কথাটা মনে পড়ল। খুনী, সন্ত্রাসীদের কী সুন্দরভাবে ক্ষমা করে সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের মাধ্যমে গলায় রঙ্গীন বরন পুষ্পমাল্য প্রদানপূর্বক বরণ করে নেবার সচিত্র বিবরণ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। যেহেতু আইন মোতাবেক এটা বৈধ ছিল, তাই আমাদের কিছু করার ছিল না। কিন্তু কাজটা কি ঠিক ছিল? আইন মোতাবেক বৈধ হলেই কি সবকিছু আসলেই বৈধ হয়ে যায়? মিথ্যা মামলায় কোন নির্দোষ ব্যাক্তি দোষী প্রমাণিত হলেই সে আসলেই অপরাধী হয়ে যায়?

যেহেতু বাবা আই সি সি বলেছেন সেহেতু সবই বৈধ। এর মধ্যে কোন অপপ্রয়োগ থাকলেও সেটা বৈধ। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখন গর্ববোধ করব।

আমরা তো আসলে ফকিন্নি। দয়া করে কুটো কাটা যা দেয় তাই লাভ। উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ আমাদের নিয়তি। বাবা ইন্ডিয়া যাহা বলিয়া থাকে তাহাই কার্যে পরিণত করিতে হইবে কোন বাছ বিচার না করিয়া অপরিণত বালকের ন্যায়। আই সি সি'র আই এখন ইন্ডিয়া শব্দটিকে ধারণ করছে বলেই ধারনা করছি।

কতটা মেরুদন্ডহীন হলে নিজেদের এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি অনুষ্ঠানের কর্তৃত্ব অন্যের হাতে চলে যায়? কতটা ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে আমাদের কর্তৃত্বের দন্ড এভাবে নেতিয়ে পড়ে অন্যের সামনে? এবং এর সবই হচ্ছে স্বেচ্ছায়।

আমাদের নাকি গর্ব করা উচিত। কয়েকজনের বক্তব্যে তাই দেখলাম। আর একটু এগিয়ে পাসপোর্টটা বদলে নিলেই একেবারে সম্পূর্ণ গর্বে গর্বিত হয়ে একদম গর্ভবতী হয়ে যাই কিন্তু! দন্ড যখন নেতিয়ে আছে তখন আর কি করা। অন্যের দন্ডের বিরুদ্ধে দন্ড খাড়া করে প্রতিরোধ করতে না পারলে দন্ড গ্রহন কর এবং গর্বে গর্ভবতী হও।

এর থেকে অনুষ্ঠান না হওয়াই ভাল ছিল। চড় খাওয়ার থেকে কোন কিছু না খেয়ে থাকা উত্তম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৪
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×