চারটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে হেরে আওয়ামীলীগ এর ধারণা হয়েছে তার পরাজয়ের মূল কারন হল বিএনপি হেফাযতের অপপ্রচার. তাছাড়া আওয়ামী লীগ মনে করে যে সে যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছে কিন্তুু জনগনকে সেই ম্যাসেজ টা ঠিক মত দেওয়া হয়নি. এই ধারণা থেকে এই বিল বোর্ড থেরাপি . তবে সেটা অভার ডোজ হয়ে গেছে বলেই মনে হয়েছে. রাজনৈতিক প্রচার - প্রচারণায় ব্যনার পোস্টার এর ব্যবহার অনেক দেখেছি,বিল বোর্ড এরই এবারই প্রথম। একে চিকা মারার ব্যয়বহুল সংস্করণ বলা যেতে পারে।
তবে সমস্যা টাকার অংক নিয়ে । এর ব্যয়ের পরিমান আসলে কত? বিএনপি বলেছে ষাট কোটি টাকা। আড়াইশ বিল্বোর্ডের খরচ ষাট কোটি হলে একেকটা চব্বিশ লাখ। মনে হয় বিএনপি হিসাব টিশাব না করেই অঙ্ক টা বলে ফেলেছে। তারেক রহমান বা কোকো দেশে থাকলে এই ভুল্টা হতনা। বিল বোর্ডের আয় ব্যয়ের হিসাব তাদের ভালো জানার কথা।
অনলাইনে অনেক্কেই দেখলাম বিল্বোর্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ। যারা বিল্বোর্ড দেখে খেপেছেন তারা আসলে নিজেরাও জানেন যে এই দেশে কোন রাজনৈতিক দলের জন্য এই পরিমান টাকা কোন বিষয় না. এমন কি চাইলে হেফাজতে ইসলামীর পক্ষে ও সম্ভব. যারা বলছেন এত টাকা পাইল কই" তারা কেউই সত্য যুগের বাসিন্দা নন.এই বংগ দেশে এরকম অসঙ্খ্য প্রশ্ন নিয়ে আমাদের দিন যাপন কর্তে হয়. যেমন শফি সাহেব হেলিকপ্টার পাইলেন কই, তারেক রহমান বছরের পর বছর সপরিবারে লন্ডনে থাকেন কিভাবে? ইত্যাদি. এখন প্রশ্ন হল এই বিল বোর্ড থেরাপি যে কারনে দেয়া হয়েছে সেটা কার্যকর হবে কিনা? দুই নং ইস্যু হল সব দলের জন্য এই সুবিধা থাকবে কিনা?. তিন নং প্রশ্ন. হল তথ্য গুলো সঠিক কিনা?
বাড়াবাড়ি অনেক স্বাভাবিক প্রবনতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে. যখন কেউ মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে তখন সে স্বাভাবিক বিবেচনা বোধ হারিয়ে ফেলে. অতি আত্মবিশ্বাস থেকেও এরকম সমস্যা হতে পারে। আওয়ামী লীগ এর যে কোন একটি সমস্যায় ভুগছে। তবে সর্কার সবকিছুতেই ব্যর্থ, বিএনপির এই বক্তব্যেরো কোন ভিত্তি নেই. এটা আওয়ামী লীগের বিল বোর্ডের মতই একধরনের বাড়াবাড়ি.