somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পলিটিক্যাল জোকস - ১

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একদিন এক নামকরা রাজনীতিবিদ বের হলেন হাঁস শিকারে। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর তিনি একটা হাঁস শিকার করলেন। কিন্তু হাঁসটা গিয়ে পড়ল বেড়া দেওয়া ক্ষেতের ভেতর। বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকতে যাবেন এমন সময় হাজির জমির মালিক। সব শুনে মালিক বললেন,
: ‘হাসটা যেহেতু আমার ক্ষেতে পড়েছে সেহেতু হাঁসের অর্ধেকটা আমার।’
ক্ষেপে গিয়ে রাজনীতিবিদ বললেন,
: ‘হাঁসটা আমাকে না দিলে দুদিনের মধ্যে তোমার ক্ষেতের সবকিছু আমি নিলামে ওঠাব।’
জমির মালিক বললেন,
: ‘তাহলে ব্যাপারটা আমাদের এলাকার নিয়ম অনুযায়ী তিন থাপ্পড়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হোক। আমরা একজন আরেকজনকে তিনটা করে থাপ্পড় দেব। শেষ পর্যন্ত যে হার মানবে সে হাঁসটা পাবে না।’
রাজনীতিবিদ ভাবলেন, বেয়াদপ কৃষককে কষে তিনটা থাপ্পড় মারা যাবে, হাঁসটাও পাওয়া যাবে। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। দুজন হাঁসটা নিয়ে গ্রামের মোড়লের কাছে গেলেন। কৃষকের কাছ থেকে সব শোনার পর থাপ্পড় পর্ব শুরু হলো। প্রথমে কৃষক তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে রাজনীতিবিদের গালে কষে তিনটা থাপড় দিলেন। অনেক কষ্টে সহ্য করে এরপর রাজনীতিবিদ প্রস্তুতি নিলেন কৃষকের গালে থাপ্পড় মারার জন্য।
তখন কৃষক বলে উঠলেন,
: ‘আমি হার মানছি। হাঁসটা নেতা সাহেবকেই দেওয়া হোক।’


স্বৈরাচার এক শাসক নিজের ছবি দিয়ে স্ট্যাম্প বের করার পর একদিন খোঁজ নিতে গেলেন।
: কী, স্ট্যাম্পটা কেমন চলছে?
: স্ট্যাম্প তো চলছে না স্যার। সবকিছু ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো আঠা দেওয়া হয় নাই।
: কী! ডাক তাকে। আঠার দায়িত্বে কে ছিল?
আঠার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে বললেন,
: স্যার আঠা তো ভালোই দিয়েছি কিন্তু লোকজন তো আঠার দিকে থুতু দেয় না, থুতু দেয় উল্টো দিকে।


এক নেতা যখন ভোটে দাঁড়ালেন, প্রচুর পোস্টার ছাপালেন। প্রেসের লোক এসে বলল, : ‘স্যার, এত পোস্টার ছাপালেন, বিলটা তো পাইলাম না।’
নেতা বললেন,
: ‘খাড়াও মিয়া, খালি সংসদে যাই, তারপর তো শুধু বিলই পাস করমু।’


এক লোকের খায়েশ হয়েছে তিনি সংসদ নির্বাচন করবেন। দাঁড়িয়েও গেলেন ভোটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ভোট হলো। গণনা শেষে দেখা গেল, তিনি মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন। লোকটির স্ত্রী তো রেগে আগুন। বলল,
: ‘আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম, তুমি নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়েকে ভালোবাস। তা না হলে তৃতীয় ভোটটা দিল কে?’


দুই ভোটার কথা বলছে-
প্রথম জন : গেছিলাম ভোট দিতে, দিতে পারলাম না। কে জানি আগেই আমার ভোটটা দিয়া গেছে।
দ্বিতীয় জন : তাতে কী! আমারটাও কে জানি দিয়া গেছিল, আমি আরেকজনেরটা দিয়া আসছি।
প্রথমজন : আমারে কি বেকুব ভাবছস? আমিও একই কাজ করছি!


দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বিষয়ে কথা বলছেন, ব্রিটেন ও ভারতের দুই রাজনৈতিক কর্মী।
ব্রিটেনের রাজনৈতিক কর্মী বলেন,
: ‘গত বছর আমি দলের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে আমাদের এক কর্মিসভায় বক্তৃতা দেই। আমি বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও মূল্য দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম মাসে আমি কোন উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় মাসেও আমি তেমন কোন উন্নতি দেখলাম না, তবে আমি আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখলাম।
তৃতীয় মাসে দেখা গেল, পার্টির বড় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় আমাদের কথাও কিছু কিছু শোনা হচ্ছে।
এবার তৃতীয় বিশ্বের এক রাজনৈতিক কর্মীর পালা। তিনি বললেন,
:“ গত বছর আমিও আমাদের পার্টির এক কর্মী সমাবেশের বক্তব্য রাখি। কর্মিসভায় সিনিয়র নেতাদের সামনে আমিও আপনার মতোই জোর গলায় বলি, পার্টির নীতি নির্ধারণে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ কথা বলার পর প্রথম দিন আমি কিছু দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও আমি কিছু দেখলাম না, তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম হাসপাতালে শুয়ে আছি। ডান চোখটা তখনও মেলতে পারছিলাম না।”


অনেকদিন পর দুই বান্ধবীর দেখা। বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তার পর এক বান্ধবী আরেক বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে বলল-
: এবার তোর নিজের কথা বল। স্বামী-সংসার নিয়ে কেমন আছিস?
: আর বলিস না, গত পাঁচ বছর খুব সুখেই কাটিয়েছি। এবার বুঝি সেটা শেষ হতে চলল।
: কেন? স্বামীর সঙ্গে কি খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে?
: না, এ ব্যাপারে ওর কোনো হাত নেই। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি তো দুর্নিতির অভিযোগে বিদেশে পলাতক ছিলেন। সামনের মাসেই তিনি দেশে ফিরে আসছেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১০
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×