পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বছর বছর বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছেন আমাদের মহামান্য বাড়িওয়ালা জমিদারগণ। প্রজাদের কিছুই করার নেই। কারণ জমিদারের পক্ষে সরকার থাকেন এটা বহুত সনাতন কথা। আর চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে দাম ভাড়া অর্থনীতির একটি সূত্র। চাহিদা বাড়ার কারণ রাজধানীর ওপর চাপ। আমাদের দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের হেডঅফিস রাজধানীতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, গামেন্টস কারখানা সবকিছু রাজধানী কেন্দ্রিক। সকল মন্ত্রনালয়ের দফতরও ঢাকায়। এ অবস্থার অবসান করা কঠিন নয়, তারপরও কেউ করে না। বস্ত্র মন্ত্রণালয় রাজশাহী, বাণিজ্য চট্টগ্রাম, পর্যটন কক্সবাজার, বন খুলনা এভাবে বিভাজন করলে রাজধানীর ওপর চাপ কসবে। দেশেরও সুষম উন্নয়ন হবে।
আর ভেজাল বিরোধী অভিযানের মতো বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণেও অভিযান চালানো জরুরি। টুলেট দেখে দেখে ছদ্মবেশে গোয়েন্দারা বাড়ি ভাড়া করতে যাবেন। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশী চাইলে জেলজরিমানার করবেন। মাঝে মাঝে মহল্লা মহল্লায় অভিযান চালাবেন। ভাড়ার রসিদ চেক হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিস থাকবে। তাৎক্ষণিক বিবাদ মীমংসার জন্য। কথা হলো বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? যাদের হাতে এ দায়িত্ব তারা নিজেরাই তো বাড়িওয়ালা? তারপরও বলছি রাজধানীতে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যেহেতু ভাড়াটিয়া তাই তাদের দিকে একটু সদয় চোখে তাকান। একটু দয়া করুন, মহামান্যগণ--
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১২