somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিত্যপণ্যের মূল্য আকাশ ছোয়া....................ডিজিটালের ডিজি শেষ টাল আছে!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১০ সালের শুরুতে প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হত ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে। সেসময় ভালো মানের সরু চাল (নাজির ও মিনিকেট) বিক্রি হত ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায়। এখন মোটা চাল ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা এবং সরু চাল ৫২ থেকে ৫৭ টাকা কেজি। ২০১০ সালে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে এক কেজি চালের দামই ছিল গত এক বছরের বাড়তি দামের সমান। সে সময় ১৬-১৭ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হয়েছে।

শুধু যে ২০১০ সালে চালের দরই চড়া ছিল তা নয়। টিসিবি নিত্যপ্রয়োজনীয় ৪২টি দ্রব্যের নিয়মিত বাজারমূল্য মনিটরিং করে থাকে। এর মধ্যে ২০১০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দর বেড়েছে ৩৩টি পণ্যের। বাকি ৯টি পণ্যের একটি পণ্য (লেখার সাদা কাগজ) দামের দিক থেকে বাড়েনি বা কমেওনি (অপরিবর্তিত ছিল)। সামান্য মূল্য কমেছে ৮টি পণ্যের।

বছরের শুরুতে মোটা চালের যে দর ছিল, শেষেরদিকে এসে তার সঙ্গে প্রতি কেজিতে আরও ১০-১২ টাকা যোগ হয়ে বর্তমানে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা বা চায়না ইরি) বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা দরে। টিসিবির হিসাবে পয়লা জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোটা চালের দর বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

বাজারে বর্তমানে এক কেজি খোলা আটার দর (নিম্নমানের) ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। অবশ্য প্যাকেটজাত আটা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪১ টাকা কেজি দরে
২০১০ সালের শুরুর দিন বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৩ টাকা দরে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকায়। এক বছরে খোলা আটার দর বেড়েছে কেজিপ্রতি ১১ টাকা। প্যাকেটজাত আটা বছরের শুরুতে বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে প্যাকেটজাত আটার দর ঠেকেছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়।

বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি ময়দার দর (খোলা) ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা। তবে বছরের শুরুতে ময়দা ছিল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা

বাজারে এখন প্রতিলিটার সয়াবিন (খোলা) বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০৪ টাকা দরে। টিসিবি জানিয়েছে, গতকালও ভোজ্যতেলের দর লিটারপ্রতি ২ টাকা বেড়ে এখন ৯৬ টাকা দরে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য ২০০৬ সালেও সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা দরে।
২০১০ সালের পয়লা জানুয়ারি বাজারে প্রতিলিটার সয়াবিন (লুজ) বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা দরে। সেসময় পামঅয়েলের দর ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। বর্তমানে পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা দরে। পামঅয়েলের দর গত প্রায় ১২ মাসে ৪৮ শতাংশ বেড়েছে বলে টিসিবির বাজারদর তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এসময় সয়াবিন তেলের দর বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বছরের প্রথমদিন প্রতিকেজি পেঁয়াজের দর ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এটা বলবত্ থাকবে। এ খবরেই বেসামাল হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার।

গত ২০ ডিসেম্বর ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ২১ ডিসেম্বর সকালে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়। রাতেই দর বেড়ে হয় ৪৬ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫৫-৫৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বছরের শুরুতে রসুনের দর ছিল প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা, বর্তমানে ১৮০ টাকা। হলুদের দর পয়লা জানুয়ারি ১৪০ টাকা ছিল, যা এখন ৩২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা ২০১০ সালের পয়লা জানুয়ারিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। বর্তমানে তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে টিসিবি।

পয়লা জানুয়ারি রাজধানীর মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। বর্তমানে রুই ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে রুই মাছের দর এ সময়ে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দর বছরের শুরুতে যেখানে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

২০০৯ সালের পয়লা জানুয়ারি যেখানে এক কেজি চিনির দর ৩১ থেকে ৩৪ টাকা ছিল, সেখানে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ৫৮ থেকে ৫৯ টাকায় গিয়ে ঠেকে। টিসিবি জানিয়েছে, গতকাল আরেক দফা চিনির দর বেড়ে বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা দরে। তবে কারওয়ান বাজারে গিয়ে জানা গেছে, চিনির দর এখন ৫৯ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

এখন কি বলবেন আমাদের স্বঘোষিত সাধু বাণিজ্যমন্ত্রী। অবশ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তার টু-পাইস ইনকাম নাকি ভালই হচ্ছে বলে নিন্দুকেরা বলে। আমরা যদিও তা মানতে নারাজ। কেননা এভাবে না চললে কি আর দেশটাকে (ডিজি) টাল করা যাবে।

#তথ্যসূত্র: আজকের দৈনিকসমূহ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×