somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘বিউটি’ কেন ‘ফাকিং’ (১৮+)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেকদিন থেকেই আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কেন ইংরেজ ভাষাভাষীরা তাদের প্রত্যেকটি (প্রায়) কথায় ‘ফাকিং কিংবা ফাক’ শব্দটি যোগ করে। কোনো কিছুর তুলনা করা থেকে শুরু করে কাউকে গালি দেয়া, বিরক্তি প্রকাশ করা কিংবা মুগ্ধতায় এই শব্দটি আসতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের মতো দেশের জনগোষ্ঠির কাছে সেই শব্দ শুনতে যারপরনাই রকমের অস্বস্তি লাগে। পরিবারের কারো সঙ্গে দেখতে বসা কোনো মুভিতে যদি এই শব্দটির পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে তো কথাই নেই। তারা যতোটা সহজে এই শব্দটি তাদের ভাব প্রকাশে ব্যবহার করে তা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে এবং আজন্ম বেড়ে ওঠা পরিবেশের সঙ্গে মেলে না কোনোভাবেই।

এখানে কি তবে নিজেকে ক্ষুদ্র মানসিকতার বলবো? যদি সবকিছুর বিশ্বায়নের কথা চিন্তা করি তবে তো তাই। কিন্তু আমার পরিবেশ আমার সংস্কৃতিকে তো ভুলতে পারবো না কোনোভাবেই। আসলে এই সংস্কৃতি নিয়ে যতটা আবেগ সবই যেন আমাদের মতো মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা মানুষগুলোর মধ্যে রয়েছে। এমন আবেগ সমাজের উপরের মানুষগুলোর মধ্যে নেই।

ধান ভাঙতে শিবের গীত গাইতে বসেছি। প্রশ্ন ছিলো কেন তারা এই শব্দটি ব্যবহার করে? ইংরেজদের এহেন ‘ফাকিং কিংবা ফাক’ শব্দটি ব্যবহারের প্রবণতার পিছনে আমার কিছু ব্যক্তিগত যুক্তি আছে। হতে পারে এই যুক্তি কারো কাছেই পছন্দ হবে না। কিন্তু যুক্তি তো একান্ত নিজের তাই না?

আমাদের এই দেশের সামাজিকতায় আমরা যে জিনিসটির সঙ্গে আজন্ম পরিচিত তা হলো শালীনতা, ভব্যতা। এবং আমাদের মতো শরীর নিয়ে ছুতমার্গ আর কোনো জাতির আছে বলে মনে হয় না। তাই ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ে আমাদের রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ যেমন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তেমনি সামাজিক ভাবেও। এ কারণেই আমাদের দেশের ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়েরই ছোটবেলা থেকে পরম আরাধ্য একটি স্বপ্ন থাকে নিজের একটি সংসারের। এটা যেমন সামাজিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত তেমনই এর সঙ্গে শারীরিক বিষয়টিও জড়িত।



কোনো কোনো মেয়ে কিংবা ছেলেদের বিয়ের আগেই এই স্বাদটি হয়তো পাওয়া হয়ে যায় (এরকম ব্যাপার আসলে সবার জীবনে ঘটে না)। তবে সংখ্যাগুরুরা বিয়ের পরেই দিল্লীর লাড্ডু খেয়ে থাকে। কিন্তু ঠিক এর উল্টো চিত্রটি পাশ্চাত্যে। তাদের জীবনে বেশির ভাগেরই দৈহিক মিলনের অভিজ্ঞতা হয় কৈশরে। আর যারা এই অভিজ্ঞতায় বঞ্চিত থেকে যায় তাদেরও এর প্রাপ্তিযোগ ঘটে যৌবনের শুরুতেই।

এখানেই হলো আসল বিষয়টি। পাশ্চাত্যের সবারই একদম বাস্তবিক ‘ফাকিং’ এর সঙ্গে পরিচয় ঘটে খুব সহজেই। তাই তাদের কাছে সবকিছুর চূড়ান্ত রূপটি ঐ ‘ফাকিং’ পর্যন্তই। যে কারণে তাদের কাছে কোনো সুন্দর দৃশ্য দেখলে মনে হয় ‘ফাকিং বিউটি’। মানে হলো দৈহিক মিলনের মতো সুন্দর। তেমনি কারো উপরে রেগে গেলে কিংবা বিরক্ত হলে এই শব্দটির প্রয়োগ হয়ে থাকে খুব সহজেই।

আর এদিক থেকে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বিষয়টি কোনোভাবেই মেলে না। সে কারণে এই চূড়ান্ত রূপটি আমাদের দেখতে অনেকদিন লেগে যায়। তাই আর কোনো কিছুর তুলনায় ‘ফাকিং’ এর ব্যবহার অন্তত আমরা করি না। :):):)

২০টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×