somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

তুমি আমরণ আমার পাশেই থাকো

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে আমারে ধরে রাখতে পারবে আমি তার কাছেই থাকব।জীবন কোন দিকে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না।তবে খুব বুঝতে পারছি রমনীর মন হচ্ছে- রত্ন।আর যে কোনো রত্নই তো অর্থ দিয়ে কেনা যায়।আসলে এ দেশের সমস্ত নারীই পন্যা।একজন ধনী মানুষ ইচ্ছা করলেই কোনোও রুপসী নারীকে সে নিজের ঘরনী করতে পারে।একজন কেন এরকম একাধিক রমনীকেও যদি সে নিজের অধীনে রাখতে চায় তাহলে সমাজ তাকে বাঁধা দিবে না।ধর্ম তো নয়-ই।আবার ভাবি,অর্থ থাকলে রমনীরত্ন যত খুশি ক্রয় করা যায়।কিন্তু তাদের মন জয় করা যে কত কঠীন,তা ক'জন জানে?অনেকে মনের খবরই রাখে না।অথচ মন না পাওয়া গেলে শরীরেও ঠিক স্বাধ পাওয়া যায় না।
আকাশে তারা ভরা।নির্মেঘ।বেশ শীত পড়েছে।স্রোতের শ্যাওলার মতোন আমি ভেসে হেসে বেড়াচ্ছি।বেশ বুঝতে পারছি আমার জীবন সম্পূর্ন অর্থহীন,উদ্দেশ্যহীন।কোথাও আমি স্থির হয়ে থাকতে পারি না।কখন কি করব আগে থেকে কখনও ভাবতে পারি না।অথচ আমি সন্ন্যাসী বা নাস্তিক নই।তবুও বুঝি নিরাকার ঈশ্বরের কাছে কিছু প্রার্থনা করা যায় না।চোখ বুঁঝে যার কোনোও রুপ কল্পনা করা যায় না,তার কাছে কি কিছু চাওয়া যায়?আসলে এ জীবনে আমি সুখ পাবো না,এটাই আমার নিয়তি।যখনই আমি এক বুক আশা নিয়ে একটা সুস্থির জীবন পেতে চাই,তখনই সব কিছু এলোমেলো, তছনছ হয়ে যায়।শীতের মধ্যেও আমি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ঘেমে যায়।আমি কি উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি?না,না আমি উন্মাদ-দশা চাই না,আমি রাজিব নূর,আমি নিউটনের সুত্র জানি,যেমন জানি বাংলা,অংক,ধর্ম,অর্থনীতি,ভূগোল আর লজিক।

দশ বছর ধরে আমার মন বিকল হয়ে আছে।বিশেষ কোনো ভালো লাগা মন্দ লাগা নেই।আমি সব সময়ই নারী জাতির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলি।নারীরা আমার জীবনে শুধু ঝামেলাই ডেকে আনে এবং তারাও ঝামেলায় পড়ে।ভবিষৎ সম্পর্কে আমার কোনোও পরিকল্পনা নেই।নিজেকে আমি সমাজ ছাড়া মনে করলেও সমাজ আমাকে ছাড়ে না।পৃথিবীর কাছে আমার আর কোনো প্রত্যাশা নেই।সুখ আর রাজিব নূর এ যেন পরস্পরের বিপরীত।মাঝে মাঝে বুকের ভেতরে টনটন করে ব্যথা করে।খুব ব্যথা হয়,তবে ব্যথাও যেন একটা নেশা।নেশাটা আমি অনেক উপভোগ করি।পুরোপুরি সুস্থতা নিয়ে আমি কি করবো?সুস্থ মানুষের অনেক রকম ব্যস্ততা থাকে,আমার তো কিছুই নেই।ইচ্ছে করে সব সম্পর্ক শেষ করে দূরে কোথাও চলে যাই।আমার ড্রয়ারে একটা লাইটার আছে।প্রতিদিন সকালে আমি লাইটার দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষন চুপ করে বসে থাকি।আমার সমস্ত ব্যথা-বেদনা-আনন্দ আমি এই লাইটারটিকেই নিবেদন করি।এক একদিন মাঝ রাতে হঠাৎ করে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।তখন সমস্ত শরীরে ছটফটানি ভাব আসে।এক আকাশ দারুন নিঃসঙ্গতা যেন ভূতের মতন চেপে ধরে।আবার কোনোও রাতে হিমিকে স্বপ্ন দেখলেও এমন হয় কিন্তু সেই লাইটারটি আমাকে হিমির কথা ভুলিয়ে দেয়।কিন্তু আমি খুব ভালো করেই জানি, যতই দূরত্ব হোক- বন্ধন কিছুতেই মুছে ফেলা যায় না।আমি তো নির্বোধ নই।সবই বুঝি।কারো কারো সাথে দূর থেকেই বন্ধুত্ব করাই ভালো।

বেশিক্ষন গুরুগম্ভীর মুখ করে থাকতে পারি না।হাসাহাসি না করে থাকতে পারি না।কেউ কেউ আমার রসিকতা একদম সহ্য করতে পারে না,আমি তাদেরকে বলি- আমি বঙ্গ সন্তান,বিরস মুখে থাকব কেন?হা হা হা...।আগে মানুষকে অন্নদান,তারপর বিদ্যাদান,তারপর ধর্ম।আমি ঠিক যেমনটি চাই,তেমনটিই হওয়া চাই।যদি সার্থকথায় ভাসি- সে আমার বুদ্ধিতেই হবে।আর যদি ব্যর্থতায় ডুবি তো নিজের বুদ্ধিতেই ডুববো।অন্য কারো বুদ্ধিতে চলার পাত্র আমি নই।আমি লক্ষ্য করেছি ধনী কন্যাদের মুখে একটা সারল্যের ভাব থাকে,তারা টাকা পয়সার হিসেব বোঝে না।বাস্তব রুক্ষতার সাথে পরিচয় না থাকার ফলে তাদের দৃষ্টিতে থাকে বিস্ময়ে ভরা,আর গরীর ঘরের মেয়েদের সেই ভাবটি বোঝাই সম্ভব নয়।যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে,তার সবই সুষ্ঠভাবে সম্পূন্ন হয়।

"মরননীশি আসিবে যখন
সুখের জলে ভরিবে নয়ন
থেমে যাবে সব জীবনের
যত কলরব।সেই মুহুর্তে
তোমাকে পাশে চাই।
বিদায় বেলায় নয়ন ভরে
শুধু তোমাকে দেখতে চাই।"

৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×