রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 11 May 2013, 05:21 PM
শনিবার বিকেলে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল (এনইসি) মিলনায়তনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমন আশঙ্কার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, “মার্চ মাস পর্যন্ত ভালোই ছিল। কিন্তু এরপরে যে অবস্থা তাতে ডোনাররা, বিজনেসম্যানরা আসতে পারছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। খুবই দুরবস্থা।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে গত প্রায় দু'মাস ধরে একের পর এক হরতাল দিয়েছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলাম।
এসব হরতালে সহিংসতায় পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তারা হরতাল বন্ধে আইন করারও সুপারিশ করেছে। অর্থমন্ত্রী নিজেও এর আগে হরতালকে ‘বিদায়’ জানাতে বলেছেন।
মুহিত বলেন, “ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ইতোমধ্যে চলতি অর্বছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে।”
বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ বাজেট সম্পর্কে মুহিত বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কিছু নেই। সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট।”
এ সময় পদ্মা সেতু নিয়েও তিনি বলেন, “আমি বাজেট বক্তৃতাতেও এ বিষয়টা রাখবো। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল সেতুর কাজের দরপত্র চূড়ান্ত হয়ে যাবে।”
এ সময় বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্রবৃদ্ধি সঠিক পদ্ধতিতে নির্ণয়ের সুপারিশ জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি বাজেটে ভর্তুকি কত দেওয়া হয়েছে তা জানতে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার যেন বাজেট পেশের সময়ই ভর্তুকির হিসাব দেওয়া হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাজেটে ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। এটা করতে গিয়ে উন্নয়ন বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ অন্য খাতে যেন ব্যয় না কমে সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে।