বাংলা দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশিত একটি জনমত জরিপের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কাগজটি মাইনাস টু থিওরির পক্ষে ছিল।
Published : 11 May 2013, 04:52 PM
শনিবার প্রকাশিত এক জরিপে প্রথম আলো দাবি করেছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে আছে ৬৪ শতাংশ লোক।
রাজধানীতে শনিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “প্রথম আলো কাদেরকে দিয়ে এই জরিপ করিয়েছে। তাদের একটা রাজনৈতিক দিক দর্শন আছে। তারা মোটেও নিরপেক্ষ না।”
পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “উনি প্রথমে একটি পক্ষকে টার্গেট করেন এবং এক একটা তীর উনি নিক্ষেপ করেন।"
“২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেও তারা এ ধরনের কথা বলেছে। মাইনাস টু থিওরির পক্ষেও এই কাগজটি ছিল।”
নিউ ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিবিসির সংলাপ অনুষ্ঠানে মতিয়া বলেন, “সংবিধানসম্মতভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
সম্প্রতি শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে প্রথম আলোর গল্প প্রকাশ এবং পরে তা প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ করার ঘটনা প্রতি ইঙ্গিত করে মতিয়া বলেন, “যারা নোংরা একটা বক্তব্য ছাপায়। ….আপনার শার্টটা পুড়ে গেল কারো সিগারেটের আগুনে। তারপর বললেন স্যরি। এই স্যরির কোনো মূল্য নাই।”
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক আলোচক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অ স ম হান্নান শাহ বলেন, “জরিপ টরিপ কিছু চাই না। গণভোট দেন। গণভোট দেন।”
এর আগে তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল প্রসঙ্গে বিএনপির ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম সরকার প্রত্যাখান করার পর সংলাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল কিনা-এমন এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান শাহ বলেন, “আমি একজন আশাবাদী ব্যক্তি। সংলাপের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায় নি।”
এ প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “আলাপ আলোচনার পথ আমরা কোনোদিন বন্ধ করি নাই।”
সংলাপের অপর দুই প্যানেল আলোচক ছিলেন ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. এম এ হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহাবুবউল্লাহ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিবিসি বাংলার সাংবাদিক আকবর হোসেন।