somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাহীন ভূইঁয়া
আমার স্বপ্ন ছিল ঘাতক রাজাকারদের বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার জীবদ্দশায় দেখার। আমার আর কোনো চাওয়া নেই তবে জামাতের সব ব্যবসা প্রতিস্ঠান অচিরেই বাংলাদেশে বন্ধকরা উচিত। না হলে ওরা আবার অঙ্কুর উদগম করবে এই মাটিতেই।

ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া....আজ সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী


সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী: ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া

সঞ্জীব চৌধুরী, সাংবাদিক ও সঙ্গীতশিল্পী। তবে তার পরিচয় শুধু সাংবাদিক-গায়ক-সুরকার-গীতিকার হিসেবেই সীমিত ছিল না। জনপ্রিয় ব্যান্ড দলছুটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গঠনে রয়েছে তার অবদান। রাজনীতিতেও তার ছিল ঘনিষ্ঠতা। আজকের অনেক প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি ‘সঞ্জীব-দা’র কাছে। অকাল প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী ২৫ ডিসেম্বর। জন্মদিনে বাংলানিউজ এই গুণীজনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।

সঞ্জীব চৌধুরী জন্মে ছিলেন ১৯৬২ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং। বাবা ননী গোপাল চৌধুরী এবং মা প্রভাষিনী চৌধুরীর নয় সন্তানের মধ্যে সঞ্জীবের অবস্থান ছিল সপ্তমে।
হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে তিনি বৃত্তি পান। নবম শ্রেণীতে এসে ভর্তি হন ঢাকার বক্শী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউটে। সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীা দিয়ে মেধা তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় অংশ নিয়েও স্থান করে নেন মেধা তালিকায়। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করেন। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। সে সময় প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সঞ্জীব চৌধুরী গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে তাৎক্ষণিক গান লিখে সুর দিতেন আর দলবল নিয়ে রাজপথ কাঁপাতেন কোরাস গান গেয়ে।

ফিচার সাংবাদিকতার ধারা বদলে দেয়া সঞ্জীব চৌধুরীর সাংবাদিকতা শুরু সাপ্তাহিক উত্তরণ পত্রিকা দিয়ে। এরপর দৈনিক আজকের কাগজ হয়ে দৈনিক ভোরের কাগজে। এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় এই দৈনিকটিতে সূচনালগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হয়ে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় পার করে দেন। পাঠক ফোরাম গঠনের আইডিয়াটা প্রথম তার মাথা থেকেই আসে। তার সেই আইডিয়া থেকেই আজ দেশের জনপ্রিয় দৈনিকগুলোতে রয়েছে পাঠকদের সংগঠন। এরপর দৈনিক যায়যায়দিন বাজারে আসার প্রস্তুতি নিলে ফিচার এডিটর হিসেবে যোগ দেনসেখানে । সাংবাদিকতার পাশাপাশি সংগীতেও তিনি মেধার পরিচয় রেখে গেছেন। পারিবারিকভাবেই ছোটবেলায় সঙ্গীত চর্চায় হাতেখড়ি হয়েছিল তার। গান গাওয়ার পাশাপাশি নিজেই গান লিখতেন, সুরও দিতেন। সংগীতজ্ঞ বারীন মজুমদারের ছেলে বাপ্পা মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৯৩ সালে গঠন করেন ব্যান্ড দল দলছুট। দলছুটের অন্যতম ভোকাল সঞ্জীব চৌধুরী বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের ‘গাড়ি চলে না’ গানটি গেয়ে জয় করে সমগ্র দেশ। ‘সাদা ময়লা রঙিলা পালে আউলা বাতাস খেলে’, ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায়’, ‘আগুণের কথা বন্ধুকে বলি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রিক্সা কেন আস্তে চলে না’ প্রভৃতি অসংখ্য মনমতানো গানের স্্রষ্টা তিনি।

২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর সঞ্জীব চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা দেশের সংস্কৃতি অঙ্গন। বেঁচে ছিলেন মাত্র ৪৪ বছর। বেঁচে থাকা অবস্থায় হয়তো তিনি ধারণাও করতে পারেন নি তার এই জনপ্রিয়তা। মৃত্যুকালে সঞ্জীব চৌধুরী স্ত্রী আলেমা নাসরীন শিল্পী আর তিন বছরের একমাত্র কন্যা কিংবদন্তিকে রেখে যান। কিংবদন্তির এখন ছয় বছর, এখনো সে বিশ্বাস করে কোনো এক মধ্যরাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে বাবা তাকে গান শোনাবে। এখনো মধ্যরাতে এফএম রেডিওতে তার সেই হৃদয়ছোঁয়া গান বেজে উঠলে কাঁপন জাগায় হাজারও বোহেমিয়ান অন্তরে ‘আমি তোমাকেই বলে দেব ... ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া’।
বাংলা নিউজ২৪ এর সৌজন্যে
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×