১৯৭১ সালে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেলাম স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে আজ থেকে ৪০ বছর আগে। কিন্তু একটা প্রশ্ন-স্বাধীনতা পেয়ে আমরা কি পেলাম। আজ আমাদের দেশ দূর্নীতিতে ভরপুর। স্বাধীনতার সাথে পেয়েছি চোরের খনি।
গত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জোট সরকারের দূর্নীতি খতিয়ান নিয়ে তারেক-কোকোর অবৈধ অর্থকরি নিযে কতই না প্রচার-প্রসার করে ভোট চাওয়ার ময়দানে নেমেছিল। নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলো। কিন্তু দেশে এখনতো তারেক-কোকোও নাই তবে কেন দূর্নীতির মাত্রা ক্রমশই বাড়ছে। দূর্নীতির সূচক কেন মহাজোট সরকারে বাড়ছে। তবে কি মহাজোট দূর্নীতিতে লিপ্ত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিচালিত ‘সেবাখাতের দুর্নীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০১০’-এ ২০০৭ সালের তুলনায় ২০১০ সালে বিচার বিভাগ, ভূমি প্রশাসন ও বিদ্যুত্ খাতে দুর্নীতি ও হয়রানি বৃদ্ধি পেলেও পুলিশ, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কমেছে। তবে ২০০৭ সালের তুলনায় ২০১০ সালে সার্বিকভাবে দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েছে বলে জরিপে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিচার বিভাগে দুর্নীতির মাত্রা ছিল সর্বাধিক:
জরিপের খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিচার বিভাগে দুর্নীতির মাত্রা ছিল সর্বাধিক। বিচার বিভাগের দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হয়েছে ৮৮ শতাংশ খানা। ২০০৭ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৭.৭ শতাংশ। অর্থাত্ ২০০৭ সালের তুলনায় বিচার বিভাগে দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ। বিচার বিভাগের সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫৯.৬ শতাংশ খানাকে। ৬৮.৯ শতাংশ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে, ৫৮.৪ শতাংশ জজকোর্টে, ৭৩.৬ শতাংশ খানাকে হাইকোর্টে ঘুষ দিতে হয়েছে। অনিয়ম ও হয়রানির ক্ষেত্র হিসেবে ৪১ শতাংশ মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতাকে হয়রানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বিচারপ্রার্থী খানার মধ্যে উকিল কর্তৃক ৩৯.৭ শতাংশ, আদালতের কর্মচারী কর্তৃক ২৪.৫ শতাংশ, ১৬.৯ শতাংশ মুহুরী কর্তৃক, দালাল কর্তৃক ২.৭ শতাংশ হয়রানির শিকার হয়েছেন। রায় বা আদেশের কপি বা কোনো কাগজপত্র উত্তোলনে ৯.১ শতাংশ এবং ৩.৯ শতাংশ প্রতারণা, নোটিশ বা সমন না পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়েছেন। আবার ৫৬.৩ শতাংশ খানা শুনানি দ্রুত করানোর জন্য, ৬.৩ শতাংশ খানা শুনানির তারিখ পেছানো, ৩২.৭ খানা মামলার রায়কে প্রভাবিত করতে, ২২.২ শতাংশ ডকুমেন্ট উত্তোলন, ১ শতাংশ নথি গায়েবের জন্য এবং অন্যান্য কারণে ৮.৯ শতাংশ খানা ঘুষ বা অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছে।
দেশের আলোচিত বিষয় হচ্ছে আমাদের বিচার ব্যবস্থা। অতি সাম্প্রতি কয়েকটি মামলায় আদালতের রায় খুবই চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। সত্য-মিথ্যা বিচার্য বিষয় নহে, আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষাই বিচার্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারকরা। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার তারপর উপর্যপুরি রিমান্ড মঞ্জুর করা এখন আদালতরে কমন কাজে পরিনত হয়েছে।
সত্য-মিথ্যা বিচার্য বিষয় নহে, আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষাই বিচার্য বিষয়....এবং টিআইবি'র রিপোর্ট
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন