জেলেদের উদ্ধৃতি দিয়ে নাজিম উদ্দিন জানান, টেকনাফের লম্বরীপাড়ার জেলে সর্দার তজির আহমদ তজুর নেতৃত্বে ২৮ জন জেলে বুধবার সকাল ১০টা-১১টার দিকে সৈকতে টানা জাল ফেলেন। দুপুরের দিকে মাছের একটি বিশাল ঝাঁক হঠাৎ করে জালে আটকা পড়ে। ঝাঁকে এত মাছ ছিল যে জেলেরা জাল টেনে সৈকতে তুলতে পারছিলেন না। মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় গ্রামবাসী এসে জেলেদের সঙ্গে হাত লাগায়। দীর্ঘ জাল পানি থেকে তোলার পর লাল কোরালে ঢেকে যায় সৈকতের বালি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাশ কালের কণ্ঠকে জানান, লাল কোরাল মাছ স্থানীয়ভাবে 'রাঙ্গা চৈ' নামে পরিচিত। বুধবার ধরা পড়া রাঙ্গা চৈয়ের সংখ্যা সাত হাজারের কম হবে না। জাল টানায় সহায়তাকারীদের মধ্যে বিলি করার পর কয়েকজন ব্যাপারীর কাছে ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ছয় হাজার ২৪০টি মাছ বিক্রি করেন জেলেরা। প্রতিটি মাছের ওজন চার থেকে পাঁচ কেজি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বলেন, 'বিপুলসংখ্যক মাছ ধরা পড়ার খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় আমি সৈকতে ছুটে যাই। একসঙ্গে এত মাছ ধরা পড়ার দৃশ্য আমি আর কখনো দেখিনি, শুনিওনি। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই মুশকিল হতো।'
কঙ্বাজার সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জলিলুর রহমান জানান, বুধবার যে প্রজাতির কোরাল ধরা পড়েছে ইংরেজিতে সেগুলোকে বলে Red snapper। এ প্রজাতির মাছ সাধারণত গভীর সাগরে ঝাঁক বেঁধে থাকে। সৈকতের কাছে একসঙ্গে এত মাছ সাধারণত ধরা পড়ে না জানিয়ে তিনি বলেন, হয়তো সাগরে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় মাছের ঝাঁক তীরের কাছাকাছি এসেছিল। সে সময়ই সেগুলো জালে আটকা পড়ে।
অবশ্য জেলে সর্দার তজির আহমদ তজু এর পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন ভাগ্যকে। তাঁর ভাষায়, 'বাইগ্যত থাইলে মাছ ফুয়ানত আই ধরা দেয়।' অর্থাৎ ভাগ্যে থাকলে মাছ ডাঙায় এসেও ধরা দেয়।কালের কন্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮