ইন্টারনেটকে অনেকেই অনেক কাজে লাগিয়ে থাকেন। এর ভিতর ১ টি কাজ হচ্ছে অজানা কারও সাথে নিজের ভাব বিনিময় করা। এই ভাব বিনিময় আবার অনেক সময় প্রেমে রুপ নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রেই বিয়েতেউ গড়ায়। এমন অনেক কাহিনিই সবার জানা আছে।কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলা ভুয়া হয়। আমি আমার মামার ১ টা কাহিনি শেয়ার করছি।
আমার মামা নেটে একটু বেশিই ঘুরাফেরা করে। একবার ১ টা ফ্রেন্ডশিপ সাইটে সাইন আপ করে ফেলে। কয়েকদিন পর ইমেইল চেক করতে গিয়ে ওর চোখ আটকে যায়।অফারটা ডিরেক্টলি না। মামা ভাল ইংলিশ জানত না। আর কারও সাথে শেয়ার না করে আমাকে জানায়। আমি ইমেইল টা পরে যা বুযলাম তা হল-----মেয়েটার নাম নান্সি উইলিয়াম,থাকে আফ্রিকার এক যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে। মেয়েটার ভাষ্যমতে, সে খুবই বিপদে আছে।তার হেল্প দরকার। তার বাবার অনেক সম্পত্তি ছিল।এই সম্পত্তির লোভে তার চাচা ওর ফেমিলির সবাইকে মেরে ফেলে। ও কোন রকমে পালিয়ে বাচে। সে এখন ১ টা এতিমখানায় আত্মগোপন করে আছে। ওখানকার ফাদার এর হেল্প নিয়ে সে ঐ সাইটে ১ টা একাউন্ট খুলে যোগ্য জীবনসঙ্গী পাবার আসায়।আমার মামাকে তার যোগ্য মনে হইছে।এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর রোম্যান্টিক মেসেজ মামাকে পাঠান হয়। সে মামাকে বুঝায় সে তার বাবার টাকা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।সে বাংলাদেশে আসতে চায়।সম্পত্তির পরিমান নেহায়েত কম না।৪০ কোটি টাকার মত। আমার মামা কিছুটা ইমোশনাল, তাকে বউ হিসেবে পাবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আর তাকে মনে প্রানে হেল্প করতে চায়। ওখান থেকে মামাকে কল ও করা হইছিল। মামা ইংলিশ এ দুর্বল হওয়ায় কথা বলতে পারে নাই। যাই হোক, কয়েকদিন পর সে মামাকে জানায় সে ওখানে ১ টা উকিল ধরতে যাচ্ছে। তার কাছে কোন ক্যাশ নাই। সে যেন টাকা(১০০০ ডলার) টা পাঠিয়ে তাকে হেল্প করে। সে তার বাবার টাকা থেকে পরে ফেরত দিয়ে দিবে। মামা আমাকে ধরল। আমার কাছ থেকে ধার হিসেবে। এত টাকা তখন আমি কই পাব। সে চেষ্টা করতে থাকে। কোনভাবেই যখন পারল না তখন ১ টা মেসেজ লিখে রিপ্লাই করল।এর পর থেকে ঐ মেয়ে আর কোন মেইল পাঠায় নাই। মামার বুঝতে দেরী হইল যে এগুলা সবই ভাউতাবাজি। সে নান্সিকে নিয়ে কত আকাশকুসুম কল্পনা করল। যার রেসাল্ট হইল জিরো।
মামা একদিন হঠাত জানায় সে ঐ সাইট থেকে অন্য এক মেয়ের কাছ থেকে আবার অফার পাইছে । আমরা ২ জনেই অট্টহাসিতে!!ফেটে পরি। ন্যাড়া বেলতলায় ১ বারই যায়, বারবার না!! :>