নিহত প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বিশ্বাস
দেশের আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর জনগণের আর ভরশা করার মত কিছু থাকছে না। ২০০৫ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় নিজের বাসায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বিশ্বাস (৫৫)। গুলিতে আহত হয় হামিদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। দুর্বৃত্তরা আলমারি ভেঙে বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী প্রত্যক্ষদর্শী সাঈদা হামিদ বাদী হয়ে প্রতিবেশী ও পরিচিত পাঁচজনসহ ১৫-১৬ জনকে আসামি করে উত্তরা থানায় হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর আসামিদের হুমকি ও চাপে টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাড়ি বিক্রি করে দেশ পর্যন্ত ছাড়তে বাধ্য হন বাদী সাঈদা হামিদ ও তাঁর মেয়েরা। প্রকৌশলী আবদুল হামিদ বিশ্বাস প্রায় ২০ বছর মধ্যপ্রাচ্যে কাটিয়ে ২০০০ সালের দিকে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে যোগ দেন। দক্ষিণখানে জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন হামিদ। কিন্তু সেই বাড়িই কাল হয়ে দাঁড়ায় পরবর্তীতে।
২০০৬ সালে মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যায়। কিন্তু এখন সেই ডাকাতি মামলার আসামিদেরই ‘রাজনৈতিক হয়রানির শিকার’ উল্লেখ করে রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ক্ষমতার অপব্যবহার আর কাকে বলে?
-বিস্তারিত খবর
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪