প্রিয় কবিতা
হেমন্তের শুভেচ্ছা নিস। একটু আগে সন্ধারাণী আকাশের মেঘের সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছে। চারদিকে আলোছায়ার লুকোচুরির খেলা। হেমন্তের এই ক্ষণটিতে অনেকটা উদ্দেশ্যহীনভাবেই তোকে লিখতে বসেছি। যদিও জানি এ চিঠির প্রতি উত্তর কোনোদিনই আমার ব্যক্তিগত পোস্ট বক্সে জমা হবে না। সেই কবে শৈশবের চঞ্চলতা হারিয়েছি। তারপর জীবনের আরেকটি অধ্যায়ও আজ পেরুতে বসেছি। উঠনে ঐ যে আমের একটা শিশু গাছ ছিল না! তার পাশে গন্ধরাজ ফুলের সুশোভিত বাগান? নিশ্চয়ই তেরা মনে আছে, ঠিক তো? সেই রাত্রিতে পূর্ণিমার চাঁদ ঈর্ষা করেছিল। তারা ছিল কিনা জানিনা, তবে একটা ঔজ্জ্বল্য ছিল। বোধহয় সেটা ধুমকেতুর। আমি আর তুই মিলে যে, হেমন্তের সেই রাত্রিতে আনন্দ খচিত অনুপম মধুরতার মিশেল যুগিয়ে আড্ডার আসর পেতে ছিলাম! আর উপভোগ করে ছিলামহেমন্তের সৌন্দর্য। মনে পড়ে তোর? হয়তো চির অক্ষয় হবে। তবে আর একটি বার পাব না তাই দুঃখ হয়। কিন্ত আমি যে নিরূপায়! আমার কখনো গম্ভীরতা ছিল না, থাকলে তুই বলতি ব্যক্তিত্ব এসেছে। অথচ আজ সময় আমাকে জোর করে গম্ভীর বানালো। কেড়ে নিল কৈশোরের চঞ্চলতা আর মিষ্টি দুষ্টুমীর সুপ্ত প্রবণতা। জানিস আজ আমার কিছুই নেই। সজীব স্বপ্নেরা কবেই আমায় ছেড়েছে। অথচ এইতো সেদিনও সহস্র আনন্দ ছুঁয়ে যেত মন। আর আজ বিষণ্ণতাই যেন জীবন। বলছি বটে কাঁদিস না তুই। হেমন্ত এসেছে, তাই তোকে ভীষণ মনে পড়ছে ইদানিং। এ চিঠির লক্ষ তোর কাছ থেকে ছাড়পত্র। পারলে ক্ষমা করিস।