somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উইকিলিকস

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রসঙ্গ উইকিলিকস


বিশ্বব্যাপী হৈচৈ ফেলে দেওয়া উইকিলিকস-এর ঘটনাবলিকে একটু ভিন্নতর পাঠ-এর চেষ্টা এই লেখা। এখনতক আমাদের কাছে এই ঘটনাবলির একটি জনপ্রিয় পাঠ হাজির আছে। এই জনপ্রিয় পাঠ-এর উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো, এখানে সংবাদকে প্রশ্নহীনভাবে কোন সমালোচনা ছাড়াই দলিল আকারে গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ যে কোন সংবাদ ‘প্রচার’ এর রাজনৈতিক দিকটা হল, এটি সম্মতি আদায়ের অস্ত্র, নম চমস্কি যেটাকে মেনুফ্যাকচারিং কনসেন্ট বলেছেন। ‘সংবাদ’ ও ‘সংবাদ প্রচারে’র এই রাজনৈতিক দিকটাকে এড়িয়ে কোন সংবাদ বিশ্লেষণ সম্ভব নয়। আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো এবং বিশ্লেষকরা এই ভুলটি করে যাচ্ছেন উইকিলিকস-এর বেলায়। বলা হচ্ছে, আমেরিকান ফরেন পলিসির সব গোমর ফাঁস করে দিচ্ছে এই সাইট এবং এর কর্ণধার তরুণ। মজার ব্যাপার হলো, ‘কেবল্ রিপোর্ট’ আর ‘ফরেন পলিসি’কে এক করে দেখা হচ্ছে। যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে এ বিষয়ে তারা জানবেন যে, দুটি কোনভাবেই এক নয়। ‘কেবল্ রিপোট’ হলো আন্তঃযোগাযোগের টুকিটাকি, যা কোন পলিসি নির্দেশ করে না। একটি দেশের ফরেন পলিসি ঠিক করার সময় এরকম অসংখ্য বিপরীত এবং সমান্তরাল ‘কেবল রিপোর্ট’ বিবেচনা করা হয়। যেমন ধরা যাক, বর্তমান কেবল রিপোর্ট আমাদেরকে বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি মজার তথ্য জানাতে চাচ্ছে। সেটি হলো, ‘আমেরিকা দুই নেত্রীকে নির্বাচনে চেয়েছিল’। তথ্যটির ভাব এমন, ‘মাইনাস টু’ এর যাবতীয় কর্মযজ্ঞ অন্য কোন ‘ভূত’ এসে করে দিয়ে গেছে। ওরা কস্মিনকালেও দুই নেত্রীকে বাইরে রেখে বাংলাদেশের ক্ষমতার অদলবদল চায় নি। এর মাধ্যমে দুই বছরাধিককাল ধরে বাংলাদেশের উপরে জরুরী অবস্থা ও ‘সুশীল সমাজে’র অধীনে সেনা শাসনের দায়ও অন্য কোন কাল্পনিক ভূতের ঘাড়ে এসে পড়ে। অথচ আমরা এক-এগারোর সময়ে তাদের লম্ফঝম্ফ দেখেছি, তারা কী-ই না করেছে। এই রিপোর্টের আর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এখানে খোদ আমেরিকার মতামতের চেয়ে বরং আমেরিকার অন্য ক্লায়েন্ট যথা অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের ব্যাপারে কী বলছে, কী করছে- তার ফিরিস্তি দেওয়া আছে। এটি এই কেবল রিপোর্ট-এর সবচে গুরুত্বপূর্ণ দিক।

ফলত দেখা যায়, বাংলাদেশের তরুণ এবং অ-তরুণ শ্রেণী, যারা আমেরিকান ফরেন পলিসির বিষয়ে রোমান্টিক ভাবে ক্ষুব্ধ, তাদের কাছে এদেশের জনপ্রিয় মিডিয়া ও বিশ্লেষকরা উইকিলিকস এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জকে ‘বীর’ হিশেবে উপস্থাপন করতে চান, এবং উইকিলিকসকে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একটি যুগান্তকারী ‘জেহাদ’ হিসাবে দেখাতে চায়। ‘বীর’ অবশ্যই একটি জনপ্রিয় ধারণা। ‘জেহাদ’-ও এই শ্রেণীর কাছে একটি রোমান্টিক প্রপঞ্চ। এই বীরত্ব বিভিন্ন রূপকে ভূষিত তাদের দ্বারা, যেমন বলিভিয়ান বিপ্লবী চে-র বর্তমান কর্পোরেট আইকনের সাথে মিলিয়ে কেউ তাকে বলছেন ‘জুলিয়ান চে’, আবার কেউ তাকে অভিহিত করছেন কিংবদন্তীর ‘রবিনহুড’- ইত্যাদি। কেউ কেউ আবার বিপরীতভাবে তুলনা করছেন ‘আল কায়েদা’ নেটওয়ার্কের প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সাথে। তাদের মতে, আমেরিকান এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে ‘সশস্ত্র যুদ্ধ’ ঘোষণাকারী লাদেন এর উত্থান ‘সিআইএর চর’ হিশেবে ঘটেছিল এবং বিপরীতে জুলিয়ান আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘খাঁটি বিপ্লবে’র কর্মটি করছেন। বটে। জুলিয়ান তো ইউরোপিয়ান, কাজেই তাঁর এইসব ‘কাগজ-কলমের বিপ্লব’ একজন ‘আরব বর্বর’ এর পাহাড়ে-গুহায় থেকে জীবন-বিপন্নকারী যুদ্ধ থেকে আলাদা এবং সভ্য হবেই–এটা বেশ স্বাভাবিক। এবং জুলিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পরে বলা হচ্ছে ‘শহীদ জুলিয়ান’। যদিও তিনি এখন জামিনে মুক্ত, আপাতত।



তবে নতুন তথ্য হলো, বাংলাদেশেও জুলিয়ান বা উইকিলিকস হাজিরা দিতে এলো এইবার। দুই হাজার আট সালে আলোচিত এক-এগারোর পর ডিজিএফআই এর কর্মযজ্ঞ নিয়ে মিডিয়াতে উইকিলিকস এর ব্রেকিং নিউজ আসছে রীতিমত। আমাদের মধ্যে যারা জুলিয়ানকে বিপ্লবী ভাবছেন, তাদের জন্য বেশ চমক বা হতাশা অপেক্ষা করছে। ধরে নিলাম জুলিয়ান বা উইকিলিকস বেশ ‘সত্য’ প্রকাশ করতে নেমেছে। সবটাই সত্যিকারের দলিল। যদিও ‘সংবাদে’র ক্ষেত্রে ‘সত্য’ কোন প্রশ্নহীন ধারণা নয়। তারপরও, আমরা কতটুকু ‘সত্য’ জানতে প্রস্তুত? খালেদা জিয়া- যিনি আমাদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী, শেখ হাসিনা- যিনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিডিআর বিদ্রোহ, ২৮ আগষ্টের বোমা হামলা, উদিচী ট্রাজেডি, আরো কতো কিছু আমাদের আগ্রহের বিষয় হতে পারে। আমরা শার্লক হোমস নই। কিন্তু আমাদের আগ্রহ আছে জানার।

স্পষ্ট হওয়া দরকার, উইকিলিকসকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিশেবে চিহ্নিত করা এই আলোচনার উদ্দেশ্য নয়। এই লেখার গন্তব্য হল উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যভাণ্ডারের ‘প্রচারের’ ফলাফল এবং এটি যে রাজনীতি তৈরী করছে তা নিয়ে একটি অজনপ্রিয় আলাপ বা তর্ক-বিতর্কের সূচনা করা। আরো নোট করা দরকার, এই আলোচনার বিষয় হিশেবে স্রেফ উইকিলিকসকে সামনে নিয়ে আসার চেয়ে সাথে সাথে উইকিলিকসে ফাঁসকৃত তথ্যভাণ্ডার ‘প্রচারে’ বিশ্বমিডিয়া যে বিশেষ সংবাদগুলোকে গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছে তাকে, তার রাজনীতিসহ সমালোচনায় হাজির করা। তাই, আমরা বরং উইকিলিকস এর এই গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনাগুলোর ফলাফল কেমন তা পর্যালোচনা করতে চাই এখানে। বাংলাদেশে এবং বিশ্বে। দেখা যাচ্ছে, যেসব দলিলপত্রকে গুরুত্বের সাথে ‘প্রচার’ করা হচ্ছে, তা প্রকাশের পর কোন গুরুত্বপূর্ণ বদল ঘটে না বিশ্বব্যাপী আমেরিকান স্বার্থের। বরং বিশ্ব কিছুদিন পর যে বিষয়গুলো আমেরিকার কাছ থেকেই সরাসরি জেনে নিতে পারত, সেই বিষয়গুলো তার অল্প কিছুদিন আগে, অন্য কোন এজেন্টের মাধ্যমে জানতে পারল। মূলত একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পরাশক্তি আমেরিকা তাদের গোপনীয় দলিলসমূহ প্রকাশ করে বিশ্ববাজারে। এইসব প্রকাশ করে আমেরিকা প্রমাণ করতে চায় যে, বিশ্বরাজনীতিতে আমেরিকার মোড়লিপনা ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। এ হল শক্তি ও আত্ম-অহমিকার উদযাপন, একই সাথে বিশ্বরাজনীতির বর্তমান খেলোয়ারদের জন্য সতর্কীকরণ। এমনকি দলিল ছাড়াও সবাই কম বেশি জানত, যে, এইসব বিষয়গুলো এমনটাই ঘটছে। আবুগারিব কারাগারে কী ঘটছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বহুদিন ধরে তা বলে আসছে। যদিও ঘটনার সময়ে আমেরিকা তা অস্বীকার করে গেছে বরাবরই। তবে, বর্তমান এই ঘটনার বিশেষত্ব হলো, এখানে ঠিক উইকিলিকস এফেয়ার্সে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট অস্বীকারপূর্বক কোন মৃদু প্রতিবাদও দিচ্ছে না। এমনকি যে হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তা বেশ মধুর। এই বিষয়টা বেশ খেয়াল রাখতে হবে এখানে। এমন ভাবার অবকাশ নেই যে, উইকিলিকসের এইসব দলিলাদি চরম সত্য প্রকাশ করে দিয়েছে, তাই তারা প্রতিবাদে অপারগ। কথা হলো, ‘রাষ্ট্রের’ কায়কারবার ‘সত্য’ দিয়ে চলে না। ক্ষমতা এমন সত্যের থোড়াই কেয়ার করে। আবুগারিব কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ‘অস্বীকার’ করাটাই ছিল আমেরিকা রাষ্ট্রেও পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড। এখানে এর ব্যতিক্রম ঘটল কেন? ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’, ‘সভ্যতা’ এইসব শেখানোর ছুতোয় যে আমেরিকা এবং তার সাহাবাগণ আফগানিস্তান এবং ইরাকে বোমার পর বোমা ফেলে শতাব্দির জঘন্য হত্যালীলা ঘটিয়েছে, তারা সেরকম কোন প্রতিক্রিয়া ছাড়াই যে গোমর ফাঁসের ঘটনা মেনে নিচ্ছে–এর বিশ্লেষণ ছাড়া পর্যালোচনা সম্ভব নয়।

তাই, ক্ষতিগ্রস্ত কারা, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে। আমেরিকা যদি তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ এবং কারা এর লাভবান পক্ষ তা খতিয়ে দেখতে হবে। এখানে উইকিলিকসের এই তথ্য ফাঁসের ঘটনাবলি কী ধরনের সম্মতি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিশ্বরাজনীতিতে, তা ক্ষতিয়ে দেখা এটি বিশ্লেষণের জন্য মৌলিক কাজ। লক্ষণীয় বিষয়, এই তথ্য ফাঁস কোন রকম হ্যাকিং দ্বারা হয়েছে তা প্রমাণিত নয়। আমেরিকা রাষ্ট্রের ক্ষমতাকেন্দ্রের ভিতরে ফাংশন করা বিভিন্ন এজেন্সি রয়েছে–রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট, গোয়েন্দা সংস্থা, জায়নিস্ট ইসরায়েলী স্বার্থ–ইত্যাদি প্রচুর মতভিন্নতা। তাদের কাজের পদ্ধতিও বিভিন্ন, আবার পরষ্পর সহযোগীও। তবে, সবটাই আমেরিকান ইন্টারেস্ট সার্ভ করে থাকে। তাদের কোন কোন পক্ষ এই তথ্য ফাঁসের সাথে জড়িত, এমন খবর বেরিয়েছে এবং একজন অভিযুক্তও হয়েছে। তাহলে এই তথ্য ফাঁসের ব্যাপারটির সাথে হ্যাকিং-এর সম্পর্ক দূরবর্তী আপাতত।

এবারে উইকিলিকসে প্রকাশিত এবং মিডিয়া কর্তৃক ’প্রচারিত’ সাম্প্রতিক একটি ছোট তথ্যের উদাহরণ নেয়া যাক। ‘সৌদি আরব আমেরিকাকে ইরানে হামলার জন্য অনুরোধ করেছিল’ এমন তথ্য প্রচার হওয়ার পর আমেরিকা ছাড়া আর যে দুটি পক্ষ এই তথ্যে সংযুক্ত আছে তাদের উপর এই সংবাদ ‘প্রচারে’র প্রভাব গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচ্য। এবং সাথে সাথে জড়িত বাকি বিশ্ব যারা তাদের সাথে বন্ধুত্বে বা বৈরিতায় সম্পর্কিত, যেমন বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এবং ইজরায়েল- তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থাও।

যেমন সৌদি আরবের সাথে ইরানের যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তার অবনতি- যা শুধু দুটি দেশের সম্পর্কের অবনতি নয়, বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেই একটি পরস্পর অবিশ্বাস ও অসম্পর্কের ভিত্তি নির্মাণ করবে। দুটি দেশই এই মুহূর্তে তেল এবং পরমাণু শক্তির বিশ্বরাজনীতিতে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ । অধিকন্তু সৌদি আরবে আছে ইসলামের জন্মভূমি মক্কা আর মদীনা, মুসলমানদের বিশ্বাস-আবেগ-ঐতিহ্য ও ইতিহাসচেতনা এর সাথে জড়িত। আর ইরান হলো এই মুহূর্তের বিশ্ব পরমাণু-রাজনীতির কেন্দ্রস্থল, যাকে ইজরায়েল নিজের জন্য হুমকি হিশেবে ঘোষণা করেছে এবং আমেরিকা তাকে সমর্থন করেছে।

অধিকন্তু, সৌদি আরবের এই অনুরোধ ‘প্রচারের’ মধ্যে ইরান এর অবস্থান বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি একটা হুমকি- এরকম একটি কমন কনসেপ্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। সেটি হল শুধু ইজরায়েল বা আমেরিকা নয়, সৌদি আরবের মতো মুসলিম দেশও ইরানকে হুমকি মনে করে। স্মরণীয়, বহুদিন ধরে আমেরিকা এবং ইজরায়েল ইরানকে ‘শয়তানের অক্ষশক্তি’ আখ্যা দিয়ে ইরানে যে কোন মুহূর্তে হামলার জিকির করছে, উইকিলিকস এর এই তথ্যফাস এর প্রচার কি সেই হামলার ভিত্তিভূমিটিরে আরো সহজ করে দিল? সৌদি আরব, বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাণভূমির শাসকরা যেহেতু হামলার এমন অনুরোধ করেছে–তাহলে ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে আর বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় অত কঠিনভাবে নাও নিতে পারে।

স্মর্তব্য, আমেরিকা কর্তৃক ইরাকে হামলার এমন ভিত্তিভূমি তৈরী করে দিয়েছিল ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যে’র ‘প্রচার’, আফগানিস্থানে মার্কিন হামলার ভিত্তিভূমি তৈরী করে দিয়েছিল ‘ওসামা বিন লাদেনে’র ‘কাল্পনিক অবস্থানে’র ‘প্রচার’। ইরানের ব্যাপারে ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা’র একটা ‘প্রচার’ এতদিন ধরে চাউর আছে, তার মধ্যে সৌদি আরবের এই অনুরোধের ‘প্রচার’ একটি নতুন যুদ্ধের ভিত্তিভূমি তৈরী করতে সক্ষম। যা একটি অন্তর্ঘাতমূলক যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এই ধরণের একটা ফলাফল যদি হয় এই উইকিলিকস এফেয়ারের, তাহলে তো এ খুবই ভয়ঙ্কর।

তাই, বলাই যায়, নাইন ইলেভেন এর পর আল কায়েদার আরব ‘বর্বর’দের সশস্ত্র বা আত্মঘাতী হামলায়-প্রতিরোধে পর্যুদস্ত আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের জন্য এই নতুন ‘প্রচার’ বা ‘তথ্য-ফাঁস’ ভাল অস্ত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।

রিফাত হাসান: লেখক; আইনে স্নাতকোত্তর।

—–
—–


পুনশ্চঃ- আমি শুধু কপি পেস্ট করেছি। জবাব দেওয়ার দায়িত্ব আমার নয়।


সুত্রঃ- বিডি নিউজ২৪.কম/বাংলা/কলামিস্ট/রিফাত-হাসান/
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×