১৭ টি দিন ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে অলৌকিকভাবে রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের পর আনন্দে ভুলেই গিয়েছিলাম আমরা বাংগালী/বাংলাদেশী। অবশেষে মুন্নী সাহার নেতৃত্বে একদল মানুষের "সুচারু বিশ্লেষনের (!)" পর যখন যুগান্তকারী মহা আবিষ্কারটি হলো যে "এসব সাজানো নাটক" তখন আবার মনে পড়ে গেল আমরা সেই মহান বাংগালী/বাংলাদেশী জাতি।
যে মুন্নী সাহারে দিনরাত গালিগালাজ করে ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করা হতো, সেই আজ উনাদের স্বপ্নের নায়িকা।
হায়রে রেশমা, তুমি এর আগেই কেন গলায় দড়ি দিলেনা? তাহলে আমরা যে কতটুকু নষ্ট হয়ে গেছি তা মনে পড়তো না।
কথায় বলে যে দোজখে বাংগালী/বাংলাদেশী থাকবে, সেই দোজখে নাকি দারোয়ানের ভ্যাকেন্সি নেই। কারন বাংগালী/বাংলাদেশীরা আগে বের হওয়ার জন্য নাকি একজন আরেকজনকে টেনে ধরবে এবং আল্টিমেটলি কেউই বের হতে পারবে না।
হে মহান মুন্নী সাহার মহান বিশ্বাসীদল, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা না থাকলে মনে পড়তো না যে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপের নীচে লাশগুলো পঁচে গলে যাওয়ার অনেক আগেই এই জাতিটার বিবেক পঁচে গলে গেছে।