somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম সমাজে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৪র্থ পর্ব
অন্যের ভুল-ভ্রান্তিকে উপেক্ষা করা ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা মানুষের একটা বিশেষ গুন যা জন্তুদের নেই। কেউ যদি অন্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়াই হলো মহত্বের লক্ষণ। ক্ষমার আনন্দানুভূতি উপভোগ করার মধ্যে যে আত্মিক প্রশান্তি থাকে, তা এক কথায় অলৌকিক। কিন্তু তারপরও মানুষ হিংসুক হয়, পরশ্রীকাতর হয়, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়। এই পাশবিক গুনটি যেন আমাদের ভেতরে বাসা না বাঁধে, সে ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া উচিত। হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতা থেকে মানুষ নিন্দুক হয়ে ওঠে। গীবত চর্চা করে তারা অন্যের ক্ষতি করতে উদ্যত হয়। কোন পরিবারে যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্ক থাকে, নিন্দুকেরা তাদের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে তৎপর হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে নিন্দুকেরা এমনসব গুজব ছড়ায়, যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রয়োজন ঠাণ্ডা মাথায় সংবেদনশীল মন নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মাঝে বিষয়টি আলোচনা করা। জিজ্ঞাসাবাদ নয় বরং সত্য আবিস্কারের ব্যাপারে উভয়কে আন্তরিক হওয়া উচিত। কোন রকম রূঢ় মনোভঙ্গী এ ক্ষেত্রে বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
আমি আমার স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদসহ একত্রে থাকি। প্রথম প্রথম স্বামীর সাথে ভালোই কেটেছে আমার। একটা মধুর দাম্পত্য জীবন আমরা কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের এই সুখ কারো কারো অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্যে আমার স্বামীর কাছে আমাকে অপ্রিয় করে তোলার জন্য আমার সম্পর্কে নানারকম গুজব স্বামীর কানে দেয়া হয়। সেসব গুজব এমন লোকদের কাছ থেকে শোনানো হয় যে স্বামীর পক্ষে তা অবিশ্বাস করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্নকারী জানতে চাইলো-কী ধরণের গুজব একটু বলবেন ? ভদ্র মহিলা বললেন, আমার শ্বাশুড়ী চব্বিশটা ঘন্টাই আমার খুঁত ধরতে ওঁৎ পেতে থাকে। নানা ছলছুতায় আমার সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতে চায়। স্বভাবে এমনিতেই তিনি ভীষণ বদমেজাজী। আমার সাথে ঝগড়া করতে না পারলে আমার ব্যাপারে উল্টো-পাল্টা কথা বলে স্বামীর সাথে আমার ঝগড়া বাঁধিয়ে দিতে চেষ্টা করে। সেদিন আমি কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলাম। রাস্তায় ভীষণ জ্যাম ছিল। বাসায় ফেরার পর শ্বাশুড়ী আমাকে জেরা শুরু করে দিলেন। কেন দেরী হলো, কোথায় গেছো, কার সাথে পিরিতি করে বেড়াও? ইত্যাদি সব বাজে কথা।
আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা মানবতাকে স্তব্ধ করে দেয়। ধরা যাক এরকম একটি চিত্র: দেখা গেল-একটা ঘরে হঠাৎ আগুন, সাথে চীৎকার চেঁচামেচি। পাড়া-প্রতিবেশীরা ঐ চীৎকার শুনে এগিয়ে এলো। যেই রুমের ভেতরে আগুন, সেরুমের দরজা খুলে ভেতরে দেখলো ঐ বাসার সুন্দরী বধূটির গায়ে আগুন জ্বলছে। তাড়াহুড়া করে আগুন নিভিয়ে বধূটিকে নিয়ে গেল মেডিকেলে। সৌভাগ্যবশত: বধূটি প্রাণে বেঁচে গেল। সুস্থ হবার পর গৃহবধূটিকে বাসায় যেতে বললে সে বললো, বাসায় যাবো না। প্রশ্ন করা হলো কেন যাবেন না? ভদ্র মহিলা বললো, ঐ বাসায় যাতে থাকতে না হয় সেজন্যেই তো মরতে চেয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করা হলো কেন থাকতে চান না ঐ বাসায়? জবাবে বধূটি বললো, সে অনেক কথা। প্রশ্নকারী আবার বললো, বলুন! আমরা শুনবো। তারপর ভদ্রমহিলা বলতে শুরু করলেন। অবশেষে আমার স্বামী যখন বাসায় ফিরলেন, শ্বাশুড়ী কান্নাকাটি করে তার ছেলেকে সব ঘটনা বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলার পর বললো, কোন মাংস বিক্রেতার সাথে নাকি আমার বাজে সম্পর্ক আছে। একথা শুনে আমার স্বামী স্বাভাবিকভাবেই রেগে গেলেন। আমিও রাগে-দুঃখে ভেঙ্গে পড়লাম। আমি নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এই বলে বধূটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
যে ঘটনাটি এতোক্ষণ আমরা শুনলাম, এধরনের ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। এধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে পারিবারিক কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়বে। পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করার জন্য তাই সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে। এই ঘটনাটিতে একদিকে রয়েছে মা-বোন, অন্যদিকে স্ত্রী। উভয়ের প্রতিই স্বামী পুরুষটির দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বামী পুরুষটিকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। কোন রকম বোকামীর পরিচয় দিলেই সমূহ বিপদের আশঙ্কা দেখা দেবে। যে ঘটনাটি আমরা একটু আগে জানলাম, এধরনের ঘটনা অনেক পরিবারেই অহরহ ঘটছে। এর যে কী সমাধান তা অনেকেই ভেবে কুল পান না। অথচ ইসলাম এসব ব্যাপারে চমৎকার সমাধান দিয়েছে। এবারে সে সম্পর্কেই আলোচনা করা যাক।
প্রতিটি ছেলেই বিয়ের আগে বাবা মায়ের আশ্রয়ে বড় হয়ে ওঠে। ছোট বেলা থেকেই সন্তানেরা বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকে। বাবা-মা যেহেতু ছেলেকে লালন-পালন করে বড়ো করে তোলেন, সেহেতু তারা স্বাভাবিকভাবেই আশা করেন যে, বড়ো হয়ে ছেলে তাদের দেখাশোনা করবে। কিন্তু বিয়ে করার পর বাবা-মা যখন দেখেন যে, ছেলে তার নতুন সংসার তথা স্ত্রীর প্রতিই বেশী যত্নশীল হয়ে পড়ছে, তখন বাবা-মা কষ্ট পান। ছেলেকে বিয়ে দিয়ে তারা আপাতত দৃষ্টিতে স্বাধীন করে দিলেও মনে মনে ঠিকই প্রত্যাশা করেন যে, ছেলে তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাবে। কিন্তু বাস্তবে তা না দেখতে পেয়ে ভাবেন পুত্রবধূটিই এই পরিস্থিতির কারণ। সেজন্যেই তারা পুত্রবধূর ওপর থেকে ছেলের মনোযোগ কমাতে নববধূটির পেছনে লেগে পড়েন। আর বাবা-মায়ের এই দুঃখজনক আচরণ ছেলের নতুন জীবনের জন্যে মোটেই কল্যাণকর নয়। তাই ছেলেকে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে যার যার অধিকার বুঝিয়ে দেয়াই হবে যুক্তিযুক্ত। বাবা-মা ছেলের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে যে, ছেলে উপার্জনক্ষম হলে তাদের প্রতি ছেলে লক্ষ্য রাখবে। বাবা-মায়ের এই প্রত্যাশা তাদের অনিবার্য অধিকার। এই অধিকার বিয়ের পরও যথাযথভাবেই অটুট থাকে। ফলে স্ত্রীর প্রতি মনোযোগী হবার পাশাপাশি বাবা-মায়ের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ব পালনেও সক্রিয় হতে হবে। বাবা-মায়ের আর্থিক সংকট মেটানো উপার্জনক্ষম সন্তানের অন্যতম কর্তব্য। তাই আগের মতোই বাবা-মায়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা ছেলের কর্তব্য। এই কর্তব্য যদি ছেলে পালন করে, তাহলে বাবা-মা ছেলের বৌ এবং সংসারের মঙ্গল কামনা করবে। সে ক্ষেত্রে ছেলের বৌ-এর পেছনে লাগার কোন কারণ আর ঘটবে না। কিন্তু তারপরও ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটে থাকে, সেসব ঘটনার ক্ষেত্রে ছেলেকে গভীরভাবে ভাবতে হবে-বাবা-মায়ের কথা কতোটা ন্যায্য। অন্যায় বা অধর্মীয় কোন আদেশ মানতে ছেলে বাধ্য নয়-একথা বাবা-মা এবং ছেলে সবারই জানা থাকা উচিত। বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলা প্রদর্শনের কারণেই যদি তারা বৌকে অন্তরায় ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে, ছেলের উচিত হবে-বাবা-মায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা। বাবা-মাকে তার ঘরে ডেকে আনা, বাচ্চাদের বলা তারা যেন দাদা-দাদীকে সম্মান করে চলে। স্ত্রীকেও বলতে হবে সে যদি শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে সম্মান করে চলে, শ্বশুর-শ্বাশুড়ীও ছেলের বৌ-এর বিরুদ্ধে লেগে পড়ার পরিবর্তে বরং বৌকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, পুত্র বধূকে তারা সকল ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে।
এখানে যে কথাটি উল্লেখ করা দরকার তাহলো, বাবা-মাকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে স্বামী স্ত্রীমুখী হয়ে পড়ুক-স্ত্রীদের এ ধরনের চিন্তা একেবারেই অন্যায্য। এ ধরনের দাবী না ন্যায়সঙ্গত না বাস্তবসম্মত। বরং স্ত্রীরা কৌশলে বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সাথে এমন আচরণ করতে পারে, যাতে তারা ভাবে যে বৌ তাদের সংসারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য। তাতে উভয়কূল রক্ষা পাবে। মনে রাখতে হবে, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবা যত্নের মধ্যে সন্তানের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। বাবা-মায়ের বাইরেও পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকে ঈর্ষুক থাকতে পারে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো, তাহলো বাবা-মা সাধারণত ছেলের অমঙ্গল কামনা করে না। তারা যদি ছেলের সংসারে ঝামেলা ঘটানোর কোন কারণও হয়, তা কেবল তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য। ছেলে যদি তাদের অধিকার ঠিকমতো আদয় করে, তাহলে বাবা-মা ছেলের কল্যাণকামী হয়ে ওঠে। কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশীরা হিংসা করে যদি কোন গীবত চর্চা করে, তাহলে তা খুবই ভয়ঙ্কর। তাদের কথায় হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই বোকামীপূর্ণ কাজ হবে। মনে রাখতে হবে বৌ আপনার জীবন সঙ্গী। সেও রক্ত-মাংশের মানুষ। পৃথিবীর কোন মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। বৌ-এর ব্যাপারে কেউ যদি আপনার কানে কথা লাগায়, তাহলে ধীরে-সুস্থে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে ঠান্ডা মাথায় তা প্রতিহত করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কোনভাবেই বাইরের লোকের কুৎসা রটনাকে পাত্তা দেয়া যাবে না। বৌ-এর সাথে ভালোবাসাপূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে আলোচনা করার পর যদি মনে হয় যে, সত্যিই বৌ কোন অন্যায় করে ফেলেছে, তাহলে বৌ-এর ঐ অন্যায়কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখাই হবে বড় মনের পরিচয়। যুক্তি দিয়ে বৌকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন-এর ফলে তাদের কী ক্ষতি হতে পারে, স্ত্রীকে হুট করেই কোন শাস্তি দেয়া একেবারেই ঠিক নয়। তাকে বুঝিয়ে বলার পর নিশ্চয় তার ভেতরে অনুশোচনাবোধ কাজ করবে। এর ফলে ভুলের পুনরাবৃত্তি আর নাও হতে পারে। অন্যদিকে আপনার স্ত্রী কৃতজ্ঞতায় আপনার প্রতি সব সময় সশ্রদ্ধ থাকবে। পরিণতিতে পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলা থাকবে অক্ষুন্ন। ক্রোধ খুবই মারাত্মক জিনিস। ক্রোধের আগুনে পুড়ে বহু সুন্দর সংসার ছারখার হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাবার পর ক্রুদ্ধরা কিন্তু অনুতপ্ত হয়। ফলে ক্রোধ নয়, ধৈর্য্যরে পরিচয় দিন। আল্লাহ ধৈর্য্য ধারনকারীদের সাথে রয়েছেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×