‘যারা আমার চিঠি পড়বেন, তাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মতো আর কারো জীবনই যেন নষ্ট না হয়, এইসব বখাটে ছেলের কবলে যেন আমার মতো আর কারো শিকার হতে না হয়’। মৃত্যুর আগে এভাবেই ডায়রিতে চিঠি লিখে শেষ করেছেন কালকিনি উপজেলার সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের মানবিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী চৈতি আক্তার (১৭)।
নিজ শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রোববার সন্ধ্যায় আত্মাহত্যা করেছেন চৈতি। পুলিশ গতকাল সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। চৈতি কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন শিকদারের মেয়ে। তার বাড়ি কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ কৃষ্ণনগর গ্রামে।
ডায়েরিতে চৈতি আরো লিখেছেন, ‘আমার জীবনের মায়া ত্যাগ করলাম শুধু একটি ছেলের জন্য। তার নাম সাগর। একটা মেয়ের জীবনে যা অমূল্য ধন হিসেবে তোলা থাকে তা আমার থেকে ঐ ছেলেটা অনেক ছলে-বলে কৌশলে আদায় করে নিয়েছে। এমনকি আমার বোনকে নষ্ট করার জন্য হুমকি দিয়েছে। তাই আমি ভাবলাম আমার জীবন নষ্ট হয়েছে কিন্তু আমার বোনের জীবন নষ্ট হতে দেব না। আমার এত কষ্ট, আমি এই কথাগুলো কাউকে বলতে পারতাম না। পরে শেষে আমার বোন চাঁদনীর কাছে বলেছিলাম। আমার বাবা খুব রাগী, তাকে খুব সম্মান করি। তাই তার কাছে বলার মতো সাহসও হয়নি। পরে চাঁদনী ছোট মামির কাছে ব্যাপারটা জানায়। কিছুদিন আগে সাগর অতিরিক্ত ভয় দেখিয়ে উত্ত্যক্ত করায় আমি না বলে আর পারিনি। একটা মেয়ে কখন তার জীবনের মায়া ত্যাগ করে। কিন্তু আমি যে বাঁচব তার কোনো কূলই ছিল না। আমি জানি আত্মহত্যা মহাপাপ। তার পরেও আমাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে।
চৈতির মামা জামাল শিকদার জানান, দক্ষিণ কৃষ্ণনগর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের ছেলে সাগর শিকদার তার ভাগ্নি চৈতিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। তার কারণেই চৈতি আত্মহত্যা করেছে বলে ডায়েরিতে লিখে গেছে। সাগর বিবাহিত। তার স্ত্রী বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। চৈতির অভিভাবক যদি মামলা দেয় তাহলে আমরা মামলা নেব। সাগর শিকদার ৪ বছর আগে বিয়ে করেছে। তবে যতদূর শুনেছি চৈতির সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের জের ধরেই চৈতি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা
এখানে
এখানে দেখুন আরো একটি ইভটিজিংয়ের কারনের খবর
যারা আমার চিঠি পড়বেন, তাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার মতো আর কারো জীবনই যেন নষ্ট না হয়
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১১টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়
গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন