somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রানজিট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবাসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে ঢুকছে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুত্র: প্রথম আলো
স্থলবন্দরে অনীহা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে চোরাই পণ্যের বাজার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি | তারিখ: ১২-১২-২০১০
কক্সবাজারের টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবাসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে ঢুকছে। রাজস্ব দেওয়ার নিয়ম না থাকায় চোরাকারবারিরা এটি নিরাপদ ঘাট হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে টেকনাফ স্থলবন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আর পুলিশ, বিডিআর ও শুল্ক কর্মকর্তাদের নামে চাঁদা আদায় করে লাভবান হচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি।
বিডিআর ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালে টেকনাফ ও মিয়ানমারের মংডু শহরের লোকজনের (আত্মীয়স্বজনের) দেখা-সাক্ষাতের জন্য এই ট্রানজিটটি চালু করা হয়। প্রতিদিন সকালে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের লোকজন মংডুতে এবং মংডুর লোকজন টেকনাফে এসে আবার বিকেলে ফিরে যায়। এ সময় প্রতিজন সর্বোচ্চ ৮০০ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের মালামাল পরিবহনের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ অংশে ট্রানজিট তদারক করেন বিডিআরের ৪২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের টেকনাফ সদর ফাঁড়ির সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ এই ট্রানজিট দিয়ে টেকনাফ-মংডু আসা-যাওয়া করলেও কেউ আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে না। টেকনাফ থেকে মিয়ানমারে যারা যায়, তারা বহন করে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের সামগ্রী, বিস্কুট, কোমলপানীয়, ওষুধ, গুঁড়া দুধ, প্রসাধনসামগ্রী, জন্মনিয়ন্ত্রণ-সামগ্রী, গেঞ্জি, শীতের কাপড়, ভোজ্যতেল, চিনি, টিউবওয়েল, পানির ফিল্টার, স্যুটকেস, সিডি ক্যাসেট, সাইকেলের রিং, টায়ার ইত্যাদি। আর মংডু থেকে যারা আসে তারা বহন করে লুঙ্গি, কম্বল, আদা, হলুদ, মরিচ, আচার, স্যান্ডেল, ছাতাসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও খেলনাসামগ্রী। এ সময় ইয়াবার চালান পাচার হয়।
ট্রানজিট ঘাটের অদূরে (লামার বাজারে ঢোকার আগে) পুলিশ, বিডিআর, শুল্ক বিভাগের নামে কিছু ব্যক্তিকে জনপ্রতি ১২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ট্রানজিট যাত্রী জানান, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা কেউই মিয়ানমারে যান না। মিয়ানমারের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এই যাতায়াত মূলত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য। ৮০০ টাকার মালামাল এনে পোষায় না, তাই বেশি মালামালের বিপরীতে মাথাপিছু ১২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, কতিপয় চোরাকারবারি এই ট্রানজিট নিষিদ্ধ ইয়াবা বড়ি পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। আগে মালামালের ভেতর লুকিয়ে ইয়াবার চালান টেকনাফ নিয়ে আসা হতো। বিডিআর ও পুলিশের সদস্যরা সতর্ক হওয়ায় এখন মানুষের দেহের স্পর্শকাতর জায়গা আর ফলমুল, তরকারি ও মুরগির পেটে ভরে আনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রানজিট ঘাট এলাকার ছৈয়দ হোসেন, মো. ফারুক, হাসান আলীসহ ১০ জনের একটি চক্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। চাঁদা না দিলে তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়। মিয়ানমারের ট্রানজিট যাত্রী লাইসা, চিন চিন, মা লা জানান, ৫০০ টাকা চাঁদা দিলে ট্রানজিট দিয়ে ২০ হাজার টাকার মালামালও নিয়ে আসা যায়। আর চাঁদা না দিলে ৩০০ টাকার মালামালও আনতে দেওয়া হয় না।
তবে চক্রের সদস্য মো. ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে তাঁরা ইজারার টাকা তোলেন। এ ছাড়া মালমাল ভ্যানগাড়িতে তুলে দিলে যাত্রীরা খুশি হয়ে যা দেন, তাঁরা তা-ই নেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগ নাকচ করে টেকনাফ সদর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, বিডিআরের নামে কেউ চাঁদাবাজি করে কি না তা তাঁর জানা নেই। করলে চাঁদাবাজকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে অনুরোধ করেন তিনি। একই কথা বলেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেম।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগের সুপার আনোয়ার মাসুদ জানান, দুই দেশের মানুষের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের একসময়ের এই ট্রানজিট এখন মালামাল সরবরাহের ঘাটে পরিণত হয়েছে। এতে স্থলবন্দরের রাজস্ব আয় কমে যাচ্ছে। গত মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
Click This Link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×