somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ যেন দেখার কেউ নেই............................

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি যখন ছোটবেল পত্রিকা পড়তাম, তখন পত্রিকার চিঠিপত্র কলামতো ভুলেও কখনও পড়তামনা। প্রথম প্রথম অবশ্য জানতামও না যে চিঠিপত্র কলাম কি বা কারা লিখে? পরে যখন জেনেছি তখন মাঝেমধ্যে ওখানে চোখ বুলাতাম। দেখতাম সমাজের নানা অসঙ্গতি প্রায়ই চিঠিপত্র কলামে লিখা হতো এবং লিখতেন যারা এর ভুক্তভোগি। কিন্তু সেই লেখাগুলো আসলে যাদেরকে উদ্দেশ্য করে লিখা হতো তারা কখনো পড়তেন কিনা কিংবা পড়লেও সেসব সমস্যার কোন সমাধান উনারা দিতেন কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহ সবসময়ই আমার ছিল এবং এখনো আছে।

তখন দেখতাম চিঠিপত্র কলামে অনেকে রাস্তায় ধুলাবালি সম্পর্কে নানান ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা লিখতেন। আরো লিখতেন রাস্তায় যানবাহনের হর্নের ব্যাপারে।

বর্তমান সময়ে দেখা যায় রাস্তায় ধূলাবালির পরিমাণ এতোটাই অসহ্য রকমের বেড়ে গিয়েছে যে, যতক্ষণ রাস্তাদিয়ে চলাফেরা করতে হয় ততক্ষণই নাকে রুমাল চেপে রাখতে হয়। আর যেহেতু আমরা ছেলে, আমাদের ওড়না পড়ার কোন প্রচলন/নিয়ম/আবশ্যকতা নেই, তাই মাথার চুল ঢাকা যায়না। আর সে কারনে মাথায় প্রচন্ড রকমের খুশকির উদ্ভব হয় ((অনেকে বলতে পারেন টুপি পরে চলাফেরা করতে। কিন্তু ইদানিং আমি আমার মাথার চুলের ষ্টাইল পরিবর্তন করার কারনে সেটা পরা হয়না))। অনেকে আবার বলে থাকেন এই ধূলাবালির জন্য নাকি তাদের চুলও পড়ে যাচ্ছে।

ইদানিং আরো যে ব্যাপারটা বেশী অসহনীয় হয়ে যাচ্ছে, সেটা হলো যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ণ ও বেপরোয়া গতি। এদোটুই প্রধান সড়কগুলোতেতো বটেই চিপা-চাপা/অলি-গলিতে মারাত্মক রকমের বেড়ে গিয়েছে। অথচ এ যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে যানবাহনগুলোর এই বেপরোয়া গতি। আর ট্রাফিক আইনতো কেউ মানতেই চায় না। আমি যখন গাড়ী চালনা শিখেছি, তখন উপলব্ধি করেছি এ দেশে গাড়ী চালানো কতোটা কষ্টকর এবং ধৈর্য্যের ব্যাপার।

আমি আশা করবো এই ব্লগে যদি এমন গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে নিয়োজিত কেউ থেকে থাকেন এবং আমার এই লেখাটি তাদের নজরে আসে, তবে অনুগ্রহপূর্বক এ ব্যাপারগুলোতে একটু নজর দিন ((যদিও আমি হয়েতো লেখাটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি))।

ধন্যবাদ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×