অনেকদিন থেকেই বিষয়গুলো দৃষ্টীকটু লাগছিল।লিখব লিখব করেও লিখছিলাম না,মনে মনে ভাবছিলাম নাহ,আমরা মনে হয় এতটা খারাপ না।কিন্তু কালকে সত্যিই মনটা ভেঙ্গে গেল।মন খারাপ এর শুরু শিমুল মুস্তাফার কবিতার আসর থেকে।কিছুটা আফসোস ই লাগল বেচারার জণ্য।সারাটা সন্ধ্যা ৫০ টার মত কবিতা আবৃত্তি করলেন।কিন্তু সেটা শোনার মানুষ কই?জীবনানন্দ দাস ,হেলাল হাফিয এর কবিতা যেখানে হৃদ্য় ,মন চাঙ্গা করার কথা সেখানে,শ্রোতাদের মুখ দেখে মনে হল তারা মোটামুটি বিরক্ত,কানে যদিও কবিতার গুঞ্জুন ভেসে আসছে কিন্তু সবার মুখের একতাই কথা,সবার মনের উড়ে চলেছে কয়েক কিলমিটার দূরে আর্মি ষ্টেডিয়াম এ। তার ও আগে সকাল বেলা যখন পেপার পড়ছিলাম,মনটা আরো বিষন্ন হয়ে উঠেছিল।৩১ জন বাংলাদেশি নাবিক সোমালিয়ায় জলদস্যূদের হাতে বন্দি কিন্তু ,কয়েকটি দৈনিক এ নিয়ে কিছু লিখা ছাড়া তেমন কিছু নজরে পড়ল না,আর টিভী মিডীয়ার কথা কি বলব।দেশের সকল সমস্যা ভুলে তারা বাদশা কে নিয়ে ব্যস্ত।যেহেতু আমি আন্তরজাতিক সম্পরকের ছাত্র,আন্তরজাতিক খোজ়খবর রাখাটা একটা অভ্যাসেই পরিনত হয়েছে বলা যায়।মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ূ সম্মেলন হচ্ছে,বাদশা খানকে নিয়ে এত নাচ গান আর হাসিনা বেগম এর খালেদার সম্পত্তির হিসাবের কৌতুক নিয়ে সবাই এতই ব্যস্ত,আমাদের নজরেই পড়ল না যে আমাদের দুরবলতার কারনে কানকুনে শত শত কোটি ডলার হারাচ্ছি।ভারতের সাথে ঋৃন চুক্তিতে বাংলাদেশকে যে ভারতীয় সরকার এবং এক্সিম ব্যাংক চপেটাঘাত করল সেটা নিয়ে কার কন ভ্রুক্ষেপ নেই।আজব এক মুল্যবোধ আমাদের।একটা দেশাত্তবোধক গান গাওয়ার সময় চোখে দেশ প্রেমের অস্রু বাধা মানে না,কিন্তু আগের দিন অপমানিত হবার পরেও পরেরদিন তাবেদারি করতে আমাদের গায়ে লাগে না। আমি যতদুর জানি,কোলকাতাতেও বাংলাদেশের অনুষ্ঠান প্রচার করতে দেয় না, আর বাংলাদেশি কোন শিল্পীকে নিয়ে এতটা মাতামাতি ত দুরের কথা।আমাদের এতোই টাকা হয়েছে যে ২৫০০০ টাকা দিয়ে ৩ ঘন্টার বিনোদন নিতে পারি,কিন্তু এই শীতে মঙ্গা এলাকায় একটা সোয়েটার কিনে দিতে কুন্ঠাবোধ হয়। আমি অবাক,দেশে বিরাজমান এত গুলা জ়াজল্যমান সমস্যা থাকার পরেও আমরা নিরবিকার।হাসিনা খালেদার সাড়ী আর বাড়ী নিয়ে ব্যস্ত,কিছু কুপমুন্ডূক ব্যস্ত বাদশা খান কে নিয়ে(পত্রিকা মতে তিনি নাকি কুমার বিশ্যজিত এবং সাকিব খান এর সাথে একসাথে অংশগ্রহনে রাজি হননি,তাও আমাদের লজ্জা হয় না।) নিয়ে।কানকুনে পৃথিবির দরিদ্র তম দেশ হিসাবে আমরা যুক্তি তরকে কতটুকু সফল,জলবায়ূ ক্ষতিপুরন হিসেবে কত টাকা আনতে পারলাম তা নিয়ে কারই মাথা ব্যথা নাই।কার কি একবার ও মনে হয়নি যে ৩১ জন নাবিক নিখোজ় তাদের পরিবারের কি অবস্থা।তারা কি বাদশা খান কে দেখে হাত তালি দেয়ার মত মানসিক অবস্থায় আছে,নাকি এমন বিপদে হাসিনার ,খালেদাকে নিয়ে ছোটলোকের মত কটূক্তি তাদের তাদের আরতনাদ আর চিন্তা প্রশমন করবে। ধিক্কারজনক মনে হয়ছে টীভী মিডীয়ার একজন ব্যক্তিকে নিয়ে লাফালাফী(বাদশাহ খান)।এমন পরিস্থিতিকেই মনে হয় বলে রসাতলে যাওয়া। বৃটিশদের লাথি খেয়ছি ২০০ বছর,পাকিস্তানিরা কি করেছে সেটা না হয় না এ বা বললাম।মুক্তির ৪০ বছর পর আজ ২০১০ এ এসে ভারতীয় উচ্ছিষ্ট না খেলেই কি নয়?এম্নিতেই দেশটা হাড্ডীসাড় তার উপর যদি ,২০ কোটী(বাদশান খান এর বাংলাদেশে অনুষ্ঠান করার নাকি খরচ এটা) টাকার বিলাসিতা করি,তা কি খুব একটা মানায় আমাদের। এমানিতেই হিন্দী সিরিয়াল এর জালায় টীভী দেখা দায়,তার উপর যদি দাওয়াত দিয়ে এভাবে নিয়ে আসা যায়,তাহলে তাহলে মাতৃভাষা হিন্দী চাই,কবে জানি এই রব উঠে। ডিসেম্বর মাস,বিজয়ের মাস,এই মাসে প্রতিটা তা ছাদে পতাকা উড়ে।কি লাভ?ঘরের ছাদে পতাকা ,আর্মি ষ্টেডীয়াম এ হিন্দী গানের সাথে উদ্দাম নাচ,খালেদা ,হাসিনার সাড়ী ধরে টানাটানি,৩১ নাবিক পরিবারের হাহাকার।ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংক এর কাছে কোটী কোটী ডলার এর ঋৃন গচ্ছা দেয়া।আর কানকুন সম্মেলনের ব্য ্রথতা। দেশপ্রেমবোধ না ই বা থাকল,দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের আত্মম ্জাদা বোধ থাকাটা ত জরুরি।নাকি সেটাতেও আজকাল কম পরেছে।কম পরলে প্রতিবেশি দেশ মনে হয় কঠোর শ্্রতে সেটাও ধার দিতে রাজী.।আর হাসিনা খালেদা কথা আর বলতে ইচ্ছা করতেছে না্।সুধু এই প্রার্থনা ৩১ নাবিক এর পরিবার যেন ভাল থাকে।আমাদের কি একটু বাঙালি হওয়া প্রয়োজন না,আরেকটূ বেশি কি বাংলাদশি হওয়া প্রয়োজ়ন না?
আমার কংকালসাড় দেহ,আমার ঘর নাই,আমি অন্যকে ধার করে আনি আমাকে হেয় করার জন্যে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু
খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!
নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস
ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?
শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন