বাংলাদেশের সম্ভাবনা, ভবিষ্যত ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করার সময় আমাদের দেশের মন্ত্রীদের ঢের আছে, আমি এসব নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। আমার আগ্রহ হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববেদ্যালয় থেকে প্রতি বছর বের হওয়া বিভিন্ন বিষয়ের ছাত্রদের নিয়ে।শিক্ষিত এসব যুবকরা হতে পারে দেশের অর্থনীতির হাতিয়ার।
সবার প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে একটি চাকরি নামক সোনার হরিণ পাওয়া। আমি জানি এবং বেশ ভালো করেই জানি কেন এই পরিস্থিতি। তবুও চাকরিকেই শেষ আশ্রয় হিসেবে দেখার পক্ষপাতি আমি নই। আমার ব্যক্তিগত মনোভাব বরাবরই চাকরির বিপক্ষে। চাকরি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অভিগ্গতা অর্জনের উপায় হিসেবে আমি দেখি। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সামনের দিকে যাচ্ছে সেহেতু ব্যাবসায় মনোযোগী সবারই উচিত অন্তত আগামী কয়েকটি বছর চোখ কান খোলা রেখে বিশ্ব অর্থনীতির খবর রাখা। খুব শীঘ্রই এদেশে অন্তত নতুন কয়েকটি সফল শিল্পের বিকাশ হতে পারে। এখনো অনেক শিল্প উদ্যোক্তার অভাবে বিদেশে সুনাম অর্জন করতে পারছেনি। উদ্যোক্তার অভাব কেন সেটা বলতে নিলে আরও একটি পোষ্ট লাগার সম্ভাবনা আছে।
যেহেতু, পুরনো শিল্পের নতুন বাজার খোজা হচ্ছে সেহেতু এই সময়ে আরো কয়েকটি নতুন রপ্তানিমুখি শিল্পের সম্প্রসারণ করার কথও ভেবে দেখা দরকার। তরুণদের উচিট স্বল্প পরিসরে হলেও ব্যবসায় মনযোগ দেয়া উচিত। এর ফলে ধীরে ধীরে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে আবার কর্মসংস্থানও বাড়বে। নতুন কি কি শিল্প নিয়ে কাজ করা যায় তা নিয়ে অন্যদিন লিখব।
আমাদের দেশের তথ্য-প্রযুক্তি যদি আরও উন্নত হয় তখন এই সম্ভাবনা হয়ত বাস্তব হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আমি নিজেও।