somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধুর চেয়েও একটুখানি বেশি .....(সম্পুর্ন গল্প)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পরীক্ষা শেষ .... সবাই যে যার মত আনন্দ ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে । কিন্তু সুমন কোথাও বের হয় না । সারাদিন মেসের ঐ রুমটার মধ্যে দরজা দিয়ে বসে থাকে ..। সারাদিন ভাবতে থাকে কেন এমন হলো ...। কি দোষ বা ভুল ছিলো তার ..??? কোন উত্তর খুজে পায় না সে।

তামান্নার সাথে ওর রিলেশন ব্রেকআপ হয়েছে মাত্র ২মাস হয়েছে ..। কিন্তু এটাকে ও ব্রেকআপ বলে ভাবতে পারছে না । ও ভাবছে তামান্না হইতো আমার ফিরে আসবে ..... কারণ সুমন তো ওকে নিস্বার্থ ভাবে ভালবাসে ...। কিন্তু সুমন যে মনের অজান্তে ওকে "তারা" নাম দিয়েছিলো ... শেষ পর্যন্ত ও সেই তারা হয়েই সুমনের জীবন থেকে চলে গেলো....

তুহীন আর রনি আসে সুমনকে নিয়ে যেতে ...। কোথায় যেন যাবে ওরা ..
কিন্তু সুমন যেতে চায় না .। তবুও ওরা জোর করে নিয়ে যায় ...।

এর মাঝেই তুহিন তামান্নার ছোট মামার কাছ থেকে সব জানতে পারে ... এবং এও জানতে পারে যে সুমন আর তামান্নার আর কোন দিনই মিলন হবে না । কিন্তু সুমন যা শুরু করেছে তাতে হয় ও বাঁচবে না হয় নষ্ট হয়ে যাবে । এজন্যই ওকে আবার আগের মত সেই সহজ-সরল, হাসি-খুশি , আর প্রাণচঞ্চল সুমন হিসেবে দেখার জন্য বন্ধু হিসেবে সব রকম চেষ্টা করতে থাকে ..।

ওরা তিনজন কফি হাউজের দিকে রওনা হয় ..... এর মাঝে তুহীন কার সাথে যেন মোবাইলে কথা বলে .. এবং ওরা তিনজন আসছে বলে জানায় ....
২০ মিনিটের ভেতরেই ওরা পৌঁছে যায় ওখানে ..। দেখে একটা মেয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে ..। এর আগে সুমন মেয়েটিকে কখনও দেখেনি ..।উজ্জল শ্যামলা রং স্বাভাবিক গড়ন এবং অনেক উচু মেয়েটি । প্রায় ৫'৫" হবে ।তারপর তুহীন মেয়েটিকে সুমনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় ।
মেয়েটির নাম মুক্তা ..। ওদের সাথেই এবার পরীক্ষা দিয়েছে .। এখন কোচিং করবে .... তুহীনের সাথে প্রায় ১ বছরের পরিচয় ...এবং দুজনর খুব মিল মনে হলো....। তবুও এসব বিষয়ে সুমন কোন প্রশ্ন করে না ....।
কলেজের বাচাল উপাধি পাওয়া ছেলে তবুও এখানে অনেক কম কথা বলে সুমন .. । হাই হ্যালো আর দু একটা কথা বলেই সারে ও ..।

ওখান থেকে বের হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় ..... তারপর ও তুহীনদের বিদায় দিয়ে চলে আসে বাসায় ...।

এর ঠিক এক সপ্তাহ পর ওর মোবাইলে কয়েকটা মিসকল আসে একটা আননোন নাম্বার থেকে ...। ও ভাবে হয়তো তামান্না, তাই কল ব্যাক করে । কিন্তু ওপাশ থেকে কলটা কেটে দেওয়া হয় ..। তারপর ঐ নাম্বার থেকে কল আসে ... কিছুক্ষন রিং হবার পর ও রিসিভ করে সালাম দেয় .... তখন ও পাশ থেকে একটি মেয়ে বলে ..
: ভাইয়া সরি , কিছু মনে করবেন না আমি ভুল করে আপনার নাম্বারে মিসকল দিয়ে ফেলেছি ..
: ও আচ্ছা ঠিক আছে ....... খুব নিরাসক্ত কণ্ঠে বলে সুমন ....।
মেয়েটি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সুমন তার আগেই কেটে দেয় কলটি ।
পরের দিন , ঐ একই সময়ে আবার মিসকল আসে ঐ নাম্বার থেকে । কিন্তু সুমন নাম্বারটি সেভ করেনি আর তামান্না ভেবে সব মিসকলই ব্যাক করার অভ্যাস থেকেই ও কল ব্যাক করে .... রিসিভ হবার সাথে সাথেই ওপাশ থেকে ঐ মেয়েটি বলে.....
: ভাইয়া চিনতে পারছেন ?
: না তো ! কে আপনি ?
: ঐ যে গত কাল আপনাকে মিসকল দিয়েছিলাম .।
: ও আচ্ছা ! তো আজও কি ভুল করে দিয়েছেন .?
: না ভুল করে দেই নি । ইচ্ছে করেই দিয়েছি ..।
: কেন ?
: আমি ভাবতাম ছেলেরা মেয়েদের নাম্বার পেলেই কল বা মিসকল অথবা মেসেজ দিয়ে জালাতন করে , প্রেম করতে, চায় বন্ধু হতে চায় আরও কত কি ..! কিন্তু আপনি সেগুলোর কিছুই করেন নি । এবং আপনি নাম্বারটাও লিখে বা সেভ করে রাখেন নি .।
: আপনার তো অনেক অভিজ্ঞতা দেখছি .....!!! তো আর কি বুঝলেন ..?
: আপনি মনে হয় ভাল ছেলে ... এবং খুব ভদ্র ও শান্ত শিষ্ট ।
: তাই ! এমন মনে হবার কারণ কি আমার কল না করা ? নাকি আপনি আমাকে চেনেন সেই জন্য ?
: না না ভাইয়া আমি আপনাকে চিনি না .....
: আপনার নাম কি......? এবং কি করেন ?
: আমি মালা । ইন্টারমিডিয়েট ২ ইয়ারে পড়ি । আপনি ?
: আমি সুমন এবার এইচ.এস.সি পরিক্ষা দিলাম ।
: ও তা হলে তো আপনি আমার বড় ,,,,,, আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন ।
: দেখুন আমার মোবাইলে অত টাকাও নেও এবং আমার ইচ্ছেও নেই । আমি কি বলছি আপনি মনে হয় বুঝতে পারছেন ......
এই কথা বলার সাথে সাথে ফোন রেখে দেই মেয়েটি ... তারপর নিজেই কল করে ,,,,,,, প্রথম বার রিসিভ করে না সুমন । কিন্তু ২য় বার আবার ফোন করে ....
: আবার কল দিলেন কেন...?
: হ্যা ! কারণ আপনি আমার অপরিচিত ।
: কিন্তু কিছুক্ষন আগেই তো আমরা পরিচিত হলাম !
: এটাই কথা বলার জন্য যথেষ্ট নয় । এবং আমার কথা বলতে ভাল লাগছে না ।
: কিন্তু আমার ভাল লাগছে । আমি প্রতিদিন আপনাকে ফোন দেব । আপনি আমাকে খারাপ মেয়ে ভাবলে ভাবেন .। এখন আমি রাখছি ভাল থাকবেন ।
এই বলে কল কেটে দেয় মেয়েটি ....

এর পর হঠাৎ করে ২ দিন আর কল করে না মেয়েটি ... সুমন ভাবে যাক বাচা গেলো ..। ঝামেলা একটা দুর হলো ...।
এর মাঝে সুমন সবার চাপাচাপিতে এবং বাংলাদেশ ভ্রমণের সুযোগ একটা পাবে ভেবে অনিচ্ছা সত্বেও কোচিং এ ভর্তি হতে যায় । ও ইউনিএইড কোচিং এ ভর্তি হতে যেয়ে দেখে তুহীনের সেই বান্ধবী মুক্তা ও এখানে ভর্তি হতে এসেছে । মেয়েটির সাথে অল্প একটু আলাপ করে সুমন ...।

তারপর বিকালের পর যখন ও বাসায় ফেরে তখন মালা নামের মেয়েটি ওকে কল করে । কয়েকবার রিং হবার পর রিসিভ করে সুমন ।
তখন ওপাশ থেকে মেয়েটি বলে......
: ভাবছিলেন বেঁচে গেলেন তাই না ?
: আচ্ছা মেয়ের পাল্লায় পড়লাম তো ..!
: বুঝতেই যখন পারছেন আমি নাছোড়বান্দা তখন ভাল ভাবে কথা বললেই পারেন ।
হঠাৎ সুমন ঐ মেয়েটির কথার ধরণ শুনে বিস্মিত হয় .... আরে কোচিং এ আজ যে মুক্তার সাথে কথা বললাম তার কথার ধরণ তো এমনই শোনালো ..।
: এই মেয়ে শোন আমি রাখছি আমার একটা কল এসেছে !
এই কথা বলে সুমন ফোন রেখে দেয় । তারপর গত কয়েকদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে ভাবতে থাকে এবং সব কিছু পরিস্কার বুঝতে পারে কাহিনীটা আসলে কি ......
তুহীন ওর বান্ধবী মুক্তাকে মালা সাজিয়ে সুমনের সাথে অভিনয় করতে বলেছে । যাতে করে ওর মন ভাল থাকে আর ভাল করে লেখা পড়া করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় এবং সে কথা শুনে যদি তামান্না আবার ফিরে আসে ওর কাছে । বন্ধু হিসেবে সে অনেক ভালই চায় সুমনের । যার জন্য এত কিছু করা ...।
কিন্তু সুমন যে সব বুঝতে পেরেছে তা ধরা দেই না কারও কাছে । এবং সুমন নিজেই অন্য এক বুদ্ধি আটে । এই বিষয়টাকে ও একটা গেম হিসেবে নেই এবং নিজেও শুরু করে অন্য রকম অভিনয় ।

পরের দিন মেয়েটা ফোন করলে সুমন বলে
: তুমি কি চাও আমার কাছে ?
: আমি আপনার বন্ধু হতে চায় ।
: কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয় । কারন তুমি পড় ১স্ট ইয়ারে আর আমি এইচ.এস.সি পাশ করে ফেলেছি !
: তাতে কি ! ছোট আর বড়তে কি বন্ধুত্ব হয় না ??
: তা হয় ! তবে ছেলে আর মেয়ের বন্ধুত্বটা কেউ ভাল চোখে দেখে না ।
: কেন দেখবে না ! আপনার কি কলেজে কোন মেয়ে বন্ধু ছিলো না ?
: হ্যা ছিলো তবে ......
: তবে আবার কি আমি আপনার বন্ধু এটাই ফাইনাল ....।
: আচ্ছা ঠিক আছে ..। তবে শর্ত আছে .....
: কি শর্ত ?
: তুমি ও আমাকে তুমি করে বলবা ।
: আচ্ছা ঠিক আছে ...... এখন রাখি তা হলে ।
: রাখো ..... আর ভাল থেকো ।
এরপর ফোন টা রেখে দেয় মালা ।
মেয়েটি ভাবে কাজ হয়ে গেছে ...। সুমনকে লাইনে আনতে আর বেশি সময় লাগবে না । এই সাফল্যের কথা মুক্তা(মালা) তুহীন করে ফোন করে জানায় । কিন্তু তার আগেই তুহীন সুমনের সাথে দেখা করতে যায় । এবং তুহীনের কথা বলা শেষ হলে সুমন কিছুক্ষন পর ওর ফোন টা নিয়ে কল লিস্টে মুক্তার নাম্বারটা দেখে পুরোপুরি সিউর হয়ে যায় ।
তারপর তুহীন কে এ কথা না বলে .... তার এই নতুন বন্ধুর কথা বলে খুব সুনিপুণ ভাবে । যার ফলে তুহীন আর কোন সন্দেহ করে না ।

এরপর প্রায় ১মাস কেটে যায় । কোচিং এ ভাল ভাবেই লেখাপড়া করতে থাকে সুমন । কোচিং এর মডেল টেস্টে প্রত্যেকবারই ভাল রেজাল্টও করতে থাকে । আর ঐ মেয়েটির সাথেও কথা বলতে থাকে নিয়মিত ।
এমনকি ঐ মেয়ের মা,বড় আপু ও ছোট ভাই এর সাথেও এর মাঝে কথা বলে ও । মেয়েটির বাবা নেই তাই সুমন ওর প্রতি কঠিন হতে পারে না । আর ওর ফ্যামিলির মানুষগুলোর সাথে কথা বলে বুঝতে পারে এরা খুবই ভাল মানুষ ।
কিন্তু ওদের কথা বলা এতটাই বেড়ে যায় যে , তুহীন ঐ মেয়েকেও ফোন দিয়ে ওয়েটিং পায় আবার সুমনকেও ফোন দিয়ে ওয়েটিং পায় । আর প্রায়ই এমন ঘটতে থাকে এমনকি রাতেও.....।
তারপর তুহীন মেয়েটিকে সুমনের সাথে কথা বলা কমিয়ে দিতে বলে .।
কিন্তু সুমনের সরলতা ও ভদ্রতা এবং কথা বলার ধরণ ও মানুষকে অতি দ্রুত আপন করে নেবার শক্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় ...। এবং অভিনয় করতে করতে কখন যেন ভালও বেসে ফেলে । আর তাই মেয়েটি তুহীনকে বলে .....।
" তুহীন এত দিন তোর প্রয়োজনে কথা বলেছি সুমনের সাথে ,, কিন্তু এখন আমি আমার প্রয়োজনে কথা বলি ওর সাথে " ।

একথা শুনে তুহীন যা বোঝার বুঝে নেয়। আর কোন কথা না বলে সাথে সাথে ওখান থেকে চলে আসে । কারণ ওখানে দাড়িয়ে আর কথা বলার মত শক্তি ওর ছিলো না সে সময় । বাসায় এসে অনেক কান্নাকাটি করে । কারণ মুক্তাকে তুহীনও ভালবাসে ।
অর্থাৎ বিষয়টা দাড়িয়েছে একটা জটিল সমীকরণের মত ,,, তুহীন ভালবাসে মুক্তাকে , মুক্তা ভালবেসে ফেলেছে সুমনকে , কিন্তু সুমন তো এখনও মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে তামান্নাকে ....।
কিন্তু তুহীন বুঝতে পারেনা সুমন কি ভাবে ওকে ভালবাসতে যাবে । ওর সন্দেহ হয় ... তাই কয়েকদিন পর তুহীন রনিকে নিয়ে যায় সুমনের কাছে । এতদিন যা ঘটেছে রনি তার কিছুই জানতে পারেনি । কিন্তু তুহীন রনিকে সব কথা বলে এবং সুমনকে মুক্তার জীবন থেকে সরানোর জন্য নতুন বুদ্ধি আঁটতে থাকে । কিন্তু বন্ধুত্ব বজায় রেখেই ....।
বিষয়টা এমন " সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না ....." ..।

তাই ওরা সুমনকে ওর আগের প্লান এর কথা সব খুলে বলতে যায় । কিন্তু সুমন ওদের দুজন কে থামিয়ে দিয়ে নিজেই ওদের প্লান বলে দেয় ঠিক ওদের মত করেই । তখন রনি তুহীন কে বলে...
" দাবা খেলায় কলেজ চ্যাম্পিয়ন সুমনকে তুই খুব গাধা ভেবেছিলি ,,তাই আজ নিজেই ওর বুদ্ধি ও ধারণা নামক শক্তির কাছে হেরে গেলি..." ...। এরপর ওরা চলে যাবার আগে সুমন তুহীন কে বলে... " তুহীন আমি জানি তুই মুক্তাকে ভালবাসিস , তাই ভয় পাস না,,আমি নিজেই মুক্তাকে বুঝিয়ে বলবো ..." ।

এরপর কয়েকদিন খুব ব্যস্ত সময় কাটে সুমনের । কোচিং এ বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফর্ম পুরণ করে জমা দিয়ে ও দুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে যায় । তারপর ফিরে এসে ঘটে আসল ঘটনা ....। সুমন যেদিন ফিরে আসে ঐ দিনই মুক্তা দুপুরের পর কাউকে কিছু না বলেই গ্রামের বাড়িতে চলে যায় । এবং মোবাইলেও কোন ভাবেই ওর খোঁজ পাওয়া যায় না ।

সুমনের খুব টেনশন হয় । ও বুঝতে পারে কি ঘটেছে ..। তুহীন কে দেখা করার জন্য বলে সুমন । ১ ঘন্টার ভেতর তুহীন রনির সাথে চলে আসে ওদের নির্দিস্ট স্থানে । সুমন সরাসরি তুহীন এর মোবাইলটা নিয়ে ওর রেকর্ডিং ফাইল চেক করে এবং যা ভেবেছিল তাই ...!!!
তুহীন আর রনি যেদিন সুমনের কাছে সব কিছু ক্লিয়ার বলে দিতে আসে সেদিন ওরা সব কথা রেকর্ডিং করে । এবং পরে মুক্তা চলে যাবার দিন সকালে তা মুক্তাকে গিয়ে শোনায় ।
আর সে কারণেই মুক্তা রাগে দুঃখে এবং ওর ধারণা ভুল প্রমানিত হওয়ার অপমানে আর সুমনের ওপর অভিমান করে বাড়িতে চলে যায় ...।
আর সব থেকে বড় সত্য হলো তুহীন মুক্তাকে মন থেকে ভালবাসেনি কখনই ।
এর পর অনেক চেষ্টা করেও আর মুক্তার সাথে কোন যোগাযোগ হয় না সুমনের । এর মাঝে আবার অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে যাবার নামে সারা বাংলাদেশের প্রায় সবকটা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখার জন্য বের হয় সুমন ..।
প্রায় একমাস পর ফিরে এসে একদিন কোচিং এ গিয়ে এক স্যারের কাছে মুক্তার সর্বশেষ খবর পায় .....মুক্তা নাকি বাড়ি গিয়ে স্লিপিং পিল খেয়ে মরতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহুর রহমতে অল্পের জন্য বেঁচে যায় । তারপর এই কয়েকদিন আগে নাকি ওরই এক খালাতো ভাইয়ের সাথে ওর বিয়ে হয়ে গেছে ।প্রথমে বিয়ে করতে না চাইলেও ওর মা এর জোরাজুরি আর অনুরোধে ও রাজি হয়েছিলো ..।

কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে আজও নিজেকে অপরাধী ভাবে সুমন...। কেন যে সেদিন সব জেনেও কেন যে অভিনয় করতে গেলো ....!!!
হয়তো মেয়েটি ওকে অনেক খারাপ ভাবে এখনও ...!!!
তবে এটাও ঠিক যে খুব একটা খারাপ হয়নি ওটা করে ....। কারণ মেয়েটার জীবন টা বেঁচে গেছে ..। তুহীনের সাথে প্রেম করলে ফলটা ভাল নাও হতে পারতো ..।
আবার তুহীন ও তো ওকে জীবনের পথে ফিরিয়ে আনতে গিয়েই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে । ওরও তো দোষ দেওয়া ঠিক না,,,,,,,,
....
তবে দোষ টা কার ....?????
ওরা যেন সবাই সবার প্রতি বন্ধুর চেয়েও একটু বেশি ভালবাসা দেখিয়েছে ..... ...।
যার ফল এই অবুঝ ভালবাসা........




লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): সবই কপাল..... ;

৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×