শাহারুখ খান বাংলাদেশে আসবে । হালকায়ে ঝাপসা নাচগান এবং খানাপিনা হবে।কিন্তু বাংলাদেশের কিছু তাদের দাবী মতে দেশীয় সংস্কৃতির সেবক এর বিরুদ্ধে তাদের কর্মসুচী চালিয়ে যাচ্ছেন।তাদের যুক্তি গুলোর মধ্যে অন্যতম হোল-
১। জাতীয় তাৎপর্যপুর্নময় মাসে বিজাতীয় নাচগান করে তাকে কে অপমান করা যাবে না।
তাইলে কি যে সমস্ত মাসের তেমন কোন তাৎসীমান্তেপর্য নাই,সেই সব মাসে উনি(শাহারুখ খান) আসতে পারবেন
২। প্রতিদিন ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলি করে মারছে। কিন্তু আমরা আবার তাদের সংস্কৃতিতেই মেতে থাকি। শাহরুখের অনুষ্ঠান নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলছে। অথচ আমাদের দেশে অনেক শিল্পী অনাহারে আছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। তাদের সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসছে না। কারণ এখানে কোনো ব্যবসা নেই।' (শিল্পী আসিফ আকবর)
ভাল কথা,কিন্তু ভাইর বাসার ডিশ লাইনে ,ভাই কি দেশী বাংলা চ্যানেল ছাড়া আর কোন চ্যানেল দেখেন না?আর তার কথায় দেলোয়ার হোসেনের জুনিয়ার ভাব আছে।উনি যেই দলে আছেন ,উনারা তো বেঈমান গো গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়াইছেন পত পত করে।
৩। নাট্যকার ও নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, 'আমাদের দেশে দিনে দুপুরে লালনের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলা হয়। সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। আমার ভাবতে অবাক লাগছে, যে দেশে লালনের ভাস্কর্য উপড়ে ফেলা হয় সেই দেশে শাহরুখদের নাচ-গান হবে।'
এইটা দিয়া উনি কি বুঝাইলেন?লালনের ভাস্কর্য ভেঙে যে ক্ষত আমাদের বুকে তৈরী করছে,সেই খত কি শাহারুখ খান প্রোগ্রাম না করতে পারলে শুকিয়ে যাবে।
৪। ভাস্বর রাশা বলেন, 'আমাদের ঘাড়ে অপসংস্কৃতি চেপে বসেছে। এতদিন দূরে বসেই আমাদের ঘাড়ে তারা চাপ দিচ্ছিল। এখন ঘাড় মটকে খেতে আমাদের মাটিতেই আসছে। এ অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।'
এই কথাটা ভাল লাগছে।
আসলে আমাদের তথাকথিত কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আছে যারা সব সময় ভারত জুজু তুলবে।এক সময় একই জায়গায় জুনুন প্রোগ্রাম করে গেলেও সেই কথা চামে চেপে যাচ্চে। কারন এইটা করতে হলে মার্কেটে তাগো থিউরি ফ্লপ মারবে গলাবাজি পুরা বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের কালচার কালচার খেলা টা পুরা বন্ধ হয়ে যাবে।।তাদের গলা আছে গলাবাজি করুক কিন্তু সেটা যদি জাতীয় তাৎপর্যপুর্নময় কোন ঘটণা বা সময়কে সাইনবোর্ড করে সেই ক্ষেত্রে এদের মোটিভ বোঝা খুবই জরুরি।।
শাহারুখ খান বাংলাদেশে এসে নাচবে এটা আমারো খারাপ লাগছে।কারন এই দেশে সামনে শীত কাল, উত্তরের অবস্থা তো আগে থেকেই খারাপ।নতুন যোগ হইছে সিডর আর আইলার পর দক্ষিনের অসংখ ঘরহারা মানুষ।খাবারের অভাবের কথা তো বাদই দিলাম।আর সেই একই দেশের কিছু মানুষ কয়েক ঘন্টার একটা প্রোগ্রাম দেখতে খরচ করবে ১৫,২০ হাজার টাকা!!!!আমি এই প্রোগ্রামের টিকিট কাটছেন এইরকম একজন ভদ্রলোকেরে চিনি,যিনি আমারে ৫০০ টাকা,আর ৪,৫ টা পুরানো শীত বস্ত্রের জন্য আজকে ৭ দিন ঘুরাচ্ছেন(আরো ১০ দিন ঘুরতে হবে), আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি উনি আমারে বড়জোড় একটা পুরান জামা আর ১০০ টাকা দিবেন,,তার পরো যাব এবং আনব কারণ আগের বার একই কাজ করতে জেয়ে দেখছি কত কষ্টে আছে মানুষ।তখন নিজেদের সামথ্যের সীমা টের পেয়ে মাথার চুল ছিড়ছি ,কেনো আরো একবার- যারা সাহায্য করবে কথা দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাইছে,পরে রাগে আর তাদের কাছে যাই নাই।কিছু যদি পাইতাম তাও তো কাজে লাগত।তাও এই ভাই কিছু দিবেন,কিন্তু এমন অনেকেই ওখানে যাবেন যারা কিছুই কোথাও এই মানুষ গুলোর জন্য দিবেন না।তাই কেমন জানি লাগে!!!