বাংলাদেশ।যে দেশে হাজারো সমস্যায় মানুষ প্রতিনিয়ত জর্জরিত।প্রতি বছর বন্যা,নদীভাঙ্গন,ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে মানুষ হচ্ছে আশ্রয়হীন,গৃহহীন।সামাজিক অবক্ষয় আমাদের জীবনে এমন এক পর্যায়ে নেমে এসেছে যখন মানুষ হয়েছে সবচেয়ে অসহায়।হত্যা,চুরি ডাকাতি,নারীর প্রতি সহিংসতা এই সব প্রায়ই মনে করিয়ে দেয় আইয়্যামে জাহেলিয়াতের কথা।সাম্প্রতিক সময়ে ইভটিজিং নামক যে শব্দটির সাথে পরিচিত হয়ে আমরা আঁতকে উঠি, তার আজকেরই নমুনা হলো বখাটেদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছুরির আঘাতে কিশোরী মেয়ের নাড়িভুড়ি বের হয়ে যাওয়া।দুঃখজনক হলেও সত্য আক্রমনের খবরগুলোযেভাবে যেভাবে পত্রিকায় আলোচিত,ইভটিজারদের শাস্তি কিংবা প্রতিরোধের খবর সেভাবেই উপেক্ষিত।এবং নারী সংগঠনগুলোর ভূমিকাও (!) চোখে পড়ার মতো।
ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পরিবার ও সমাজজীবন হচ্ছে নানান সমস্যায় জর্জরিত।
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস।আবার শীত মৌসুমের শুরু।প্রকৃতির খেয়ালী আচরনের শিকার আমরা।শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং শীতবস্ত্রের অভাবের কারণে প্রতি বছর আমরা হারাচ্ছি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রাণ।
প্রিয় ব্লগাররা, আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে আমরা ছোটবেলায় টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় ঢুকতাম জীবজন্তু দেখার জন্য।আজ আমরা শাহরুখ খান নামক আজব চিজকে দেখার ১০হাজার,২০হাজার টাকা খরচ করে টিকিট কাটছি।কি আনন্দ এক দংগল অর্ধ-উলঙ্গ নারীর সাথে অশ্লীল নৃত্য দেখায়?শীতার্ত মানুষগুলোর গায়ে গরম কাপড় দিয়ে তাদের তৃপ্তিমাখা মুখখানি দেখে কি আমরা তার চেয়েও বেশী আনন্দ পেতাম না?
প্রিয় ব্লগাররা, আসুন না সত্যিকারের আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টির সেরা জীব) হয়ে পরম করুণাময়ের সৃষ্টির সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দিই।আর মহান বিজয়ের মাসে আরেকবার বিজয়ী হই বিজাতীয় অশ্লীল সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, এবং এগিয়ে যাই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির দিকে।জয় আমাদের হবেই।