somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টিভিতে নয়া প্রতিবেদন: ‘পল্লীফোনের নারীরা উধাও’

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘গ্রামীণফোনের উপকারভোগী নারীরা আর নেই। কথিত ৫০ হাজার গ্রামেও একটি পল্লীফোনের দেখা মেলেনি।’--এই মর্মে নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনআরকে এবার আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়া নরওয়ের প্রতিষ্ঠান ‘টেলিনর’ বাংলাদেশ থেকে কীভাবে ‘অলাভজনক প্রতিষ্ঠান’ গ্রামীণ টেলিকমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে তারও একটি বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রতিবেদনটি প্রচার ও ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়। এবারের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন টেলিভিশনটির প্রতিবেদক হারাল্ড এরাকার (Harald Eraker)।

শান্তিতে নোবেল পদক গ্রহণের সময় দেওয়া নোবেল-বক্তৃতায় ড. ইউনূস অসত্য তথ্য দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করে প্রতিবেদনে যুক্তি-তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেদক হারাল্ড এরাকার বাংলাদেশে ২ বছর ঘুরেও সরাসরি পল্লীফোন-এর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন নারীরও দেখা পাননি। অথচ ড. ইউনূস তার নোবেল বক্তৃতায় বলেছিলেন, ৩ লাখ নারী গ্রামীণফোনের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করেছেন।

গ্রামীণফোনের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৩ লাখ ৮১ হাজার পল্লী সিম বিক্রি হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, সিমগুলো গ্রামীণ নারীরা ব্যবহার করছেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রমকে ড. ইউনূস ‘অলাভজনক’ বলে নোবেল বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু গত ৮ বছরে গ্রামীণফোন ও টেলিনর যৌথভাবে ৮৫৫ মিলিয়ন বা ৮৫ কোটি ৫০লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোনার (প্রায় ১ হাজার ১৮ কোটি টাকা) লভ্যাংশ পেয়েছে।

প্রতিবেদনে প্রশ্ন করা হয়, ‘এটা অলাভজনক হলে এতো টাকা আয় হলো কীভাবে?’ প্রকৃত অর্থে এটা একটা স্রেফ একটি লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্যিক ফাঁদ হিসেবে প্রথমত গ্রামীণ নারীদের পল্লীফোন কেনার জন্য একবার ঋণ দেয় গ্রামীণব্যাংক। ওই টাকা কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য। অথচ ফোন-সেট চার্জ করার মতো সব গ্রামে বিদ্যুৎ নেই বাংলাদেশে। সুতরাং পরবর্তী পর্যায়ে গ্রামীণ ব্যাংক আবারও ঋণ দেয় তাদেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীনশক্তি থেকে সোলার প্যানেল কেনার জন্য।

প্রতিবেদনে গ্রামীণ টেলিকমের একজন কর্মকর্তা মাজহারুল হান্নানের লেখা একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘গ্রামীণ নারীদের জন্য গৃহীত পল্লীফোন প্রকল্পটি মৃত নয়, তবে এটি দারিদ্র বিমোচনের কোনো কার্যকর পন্থা হতে পারে না।’

লন্ডনের ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট-এর গবেষক মিলফোর্ড বেইটম্যান এনআরকে টেলিভিশনকে বলেছেন, গরীব নারীরা আরো গরীব হচ্ছেন টেলিফোন ব্যবসার মাধ্যমে।

প্রতিবেদনে এ ব্যবসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়েও অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতিবেদক দাবি করেন, ভিওআইপি’র মাধ্যমে হাজার হাজার কল টার্মিনেট করে কোটি কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। সেসময় গ্রামীণফোনকে ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার (১৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা) জরিমানা গুনতে হয়। ২০০৮ সালে আবার একই কারণে ৩৭ মিলিয়ন ডলার (২৫৯ কোটি টাকা) জরিমানা দেয় গ্রামীণফোন।

এ প্রতিবেদনটির আগে গত ৩০ নভেম্বর ‘ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদে’ শিরোনামে নরওয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনআরকে গ্রামীণব্যাংক ও ড. ইউনূসের ওপর নির্মিত ৪৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে। ডেনমার্কের সাংবাদিক টম হাইনেমান তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন।
মূল
২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×