ড. ইউনুসকে ঘিরে আমার কোন আবেগ নেই। ব্যক্তিগতভাবে সুদভিত্তিক কার্যক্রমকে অপছন্দ করি বলে তার ব্যাংকিং বিষয়ে খুব একটা জানতে যাই নি কখনো। তবে মনে মনে ভেবেছি- যা-ই হোক না কেন, যদি তার কোন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের একজন মানুষেরও ভাগ্য পরিবর্তন হয় তাতে মন্দ কি।
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা শুনিয়ে ড. ইউনুস নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন কি-না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে সেদিন গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দেয প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখে মনে হয়েছে- এখনকার যা অভিযোগ ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে তা ঐ সময়ের সাপেক্ষে কোন বড় ঘটনা ছিলো না।
ড. ইউনুসের ঘাড়ে চেপে নরওয়ের প্রতিস্ঠানগুলো এদেশে ব্যবসা করেছে, এদেশকে শোষন করেছে- এখন হয়তো ড. ইউনুসের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে তাদের কাছে। এখন হয়তো আওয়ামীলীগের হানিফের মতো অপ্রকৃতস্থ লোককে তারা পেয়েছে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। তাই এবার চরিত্রহননে নেমেছে তার।
আর আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এমন জাতি- আমরা নিজেদের রক্ত মাংস দিয়ে প্রতিদিন পানাহার না করলে মন ভরে না। তৃষ্ণা মেটে না। তাই সুযোগ পেলেই আমরা হামলে পড়ি আমাদের উপর। ড. ইউনুসের ক্ষেত্রেও তাই দেখা গেলো।
একটি বিদেশী টিভির রিপোর্টারকে দেবতুল্য জ্ঞান করে দেশের জন্য এতবড় গর্ব বয়ে আনা একজন মানুষকে যতটা সম্ভব সম্ভ্রমহানী করতে এতটুকু বাধছে না আমাদের, আমাদের সরকারের।
আজ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পড়ে আরেকবার বাক্যহারা হলাম। জানি না নিজে কেন এতদিন নোবেল জিতেন নি বলে কি-না, ড. ইউনুসের বিষয়ে তার কথাগুলোকে বড্ড বেশী ঈর্ষা ও জিঘাংসামূলক মনে হয়েছে।
কর্কট বাঙালিকে ক্ষমা করুন ড. ইউনুস।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০