somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আশরাফুলকে চেয়েছিলেন সাকিব-সিডন্স!!!!!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ম্যাচ জয়ের পর সবাই ভালো ভালো কথাই বলেন। পরশু সাকিব আল হাসান যেমন বললেন। কিন্তু প্রথম ওয়ানডের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেটাও যদি হেরে যেত বাংলাদেশ, অধিনায়ক আরেকটা বোমাই হয়তো ফাটাতেন। দল জিতলেও এই ম্যাচেও যে খেলেননি সাকিব আর কোচ জেমি সিডন্সের পছন্দের খেলোয়াড়েরা!
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে মোহাম্মদ আশরাফুলকে আরেকটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন কোচ ও অধিনায়ক। তাঁদের চিন্তাভাবনায় আশরাফুলের জন্য বিকল্প জায়গাও ছিল। পাওয়ার প্লের ব্যাটিংয়ে যেহেতু রান তোলার উদ্দেশ্যটা প্রতি ম্যাচেই ব্যাহত হচ্ছে, সিডন্স চেয়েছিলেন আশরাফুলের শট খেলার প্রবণতাকে ওই জায়গায় কাজে লাগাতে। চার নম্বর থেকে নামিয়ে আশরাফুলকে তাই প্রয়োজনে সাত নম্বরে খেলানোর পরিকল্পনা করেছিলেন কোচ। সে ক্ষেত্রে রকিবুল দলে এলেও মাহমুদউল্লাহর জায়গা নিয়ে থেকে যেতেন আশরাফুল, দলে আসতেন না নাঈম ইসলাম। এমন পরিকল্পনায় সায় ছিল সাকিবেরও। কিন্তু বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন ও প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের ‘পরামর্শে’ শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরে রাখা হয় আশরাফুলকেই। প্রথম ম্যাচে আশরাফুলের বাজে শট খেলে আউট হওয়াটাকে ক্ষমার অযোগ্য মনে হয়েছিল তাঁদের কাছে।
সিরিজের শুরুতে সিডন্স আশরাফুলকে জানিয়েছিলেন, সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে অন্তত প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলানো হবে তাঁকে। নিজের সে কথা রাখতেই হয়তো কোচ আশরাফুলকে আরেকটি সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। সাকিবও মনে করেছেন, এক ম্যাচ খেলিয়েই বাদ দিলে আশরাফুলের ওপর অবিচার করা হয়। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে না পেরে কিছুটা বিব্রত বোধ করে থাকতে পারেন সাকিব-সিডন্স। হয়তো সে কারণেই নিজে না বলে ম্যাচের আগের রাতে দলের আরেক খেলোয়াড়কে দিয়ে ফোনে আশরাফুলের কাছে বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অধিনায়ক।
কোচ সিডন্স সে কাজটাই করতে চেয়েছিলেন পরদিন, মানে দ্বিতীয় ওয়ানডের দিন সকালে। কিন্তু কোচের কথা বলার আহ্বানে আশরাফুল সাড়া তো দেনইনি, উল্টো নাকি রূঢ় ভাষায় শুনিয়ে দিয়েছেন কিছু কটু কথা। কারন যাই হোক, তিন ম্যাচ খেলানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে কোচ এক ম্যাচ পরই দল থেকে কাউকে বাদ দিয়ে দেন, তাঁর প্রতি তো ক্ষুব্ধ হওয়ারই কথা! বাদ পড়া নিয়ে সাকিবের ওপর কোনো রাগ নেই আশরাফুলের। তবে একটি সূত্রের দাবি, কোচ চাইলেও আশরাফুলকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে নীরব ছিলেন সাকিব।
বিসিবির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল দুই দিন আগেই বলেছিলেন, একাদশ নির্বাচন হয় কোচ-অধিনায়কের ইচ্ছাতে এবং ভবিষ্যতেও তা-ই হবে। এ কথা বলার এক দিন পরই যখন সাকিব-সিডন্স পছন্দমতো দল পেলেন না, দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কাল এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম, ‘সিরিজ চলছে। আমাদের এখন সামনে তাকাতে হবে। এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাকিবও। তবে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযোগটা, ‘কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে সর্বসম্মতিতেই একাদশ নির্বাচিত হয়েছে এবং আমি মনে করি, দ্বিতীয় ওয়ানডের দলে পরিবর্তন আনাতে ভালোই হয়েছে।’
আশরাফুলের জায়গায় সুযোগ পেয়ে গত ম্যাচে রকিবুল রান পেয়েছেন। এদিক দিয়ে আশরাফুলকে বাদ দিয়ে হয়তো বাহবাই কুড়াচ্ছেন নির্বাচকেরা। কিন্তু প্রশ্নটা সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণের নয়, দল নির্বাচনে অধিনায়ক-কোচের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর। বাইরে থেকে বদলে দেওয়া দল জিতেছে বলেই এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না, নইলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া দল অধিনায়ককে কেমন প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলে, সেটা তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরই দেখা গেছে।
আগামীকালের তৃতীয় ওয়ানডের দল নিয়ে কাল কোনো কথা বলতে রাজি হননি কোচ, অধিনায়ক কিংবা নির্বাচকেরা। তবে এ ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোনো অদলবদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বোলারদের মধ্যেও আলোচনায় কেবল পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। অ্যাঙ্কেল ইনজুরি থেকে ফেরার পর প্রথম দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেও কোচ-অধিনায়ক কালকের ম্যাচেও খেলাতে চান মাশরাফিকে। সিডন্স তো বললেনও, পুরোপুরি ছন্দে আসতে আরও কয়েকটা ম্যাচ আর প্র্যাকটিস সেশন দরকার মাশরাফির।
কী অদ্ভুত! যেন যুদ্ধ করে করে যুদ্ধ শেখা! মহড়ার দরকার নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামার আগে মাশরাফির যে ম্যাচ প্র্যাকটিসেরও দরকার, সেটা কি ভুলেই ছিলেন সবাই? কবে যে তারা নাটকের শুটিং শেষ করবে...............!!
প্রথম আলো
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×