প্রিয় উষা,
আজ পৃথিবীর সমস্ত বাগানে ফোটা লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিও।তোমাকে লেখা আমার প্রথম চিঠি এটা তুমি যদি গ্রহণ করো আমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। উষা,তোমার কথা ভাবলেই আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।আমি কতদিন ভেবেছি,তোমাকে ভুলে যাব।পাগল মন যে কথা শুনে না।তুমি আমার এমন ক্ষতি কেন করলে।তুমি এখন আমার জীবন-মরণ।
আমি প্রথম যেদিন তোমাকে দেখি,তুমি বাগানের মাঝে খালি পায়ে হাটছিলে।শীতের শিশির গুলো তোমার পায়ে ছুয়ে ধন্য হয়েছিলো।শিশির গুলোকে আমার সেদিন খুব হিংসে হয়েছিলো।কি সুন্দর দেখাচ্ছিলো তোমায়।তোমাকে মনে হচ্ছিল আকাশ থেকে নেমে আশা কোন পরী।যে মনের আনন্দে বাগানে ফুলের মাঝে হাটছিলে।আমি জানি সেদিন বাগানের ফুল গুলো তোমাকে দেখে লজ্জা পেয়েছিলো।তুমি এত সুন্দর।
উষা,তুমি আমার জীবনের প্রথম সূর্য,প্রথম দেখা আলো।তুমি জানো আমি কি পাগলের মত তোমাকে ভালোবাসি।আমার জন্ম শুধু তোমার জন্য।তুমি একবার শুধু একবার আমার ডাকে সারা দাও।আমি তোমার পানে চেয়ে মরণ কেও হাসি মুখে গ্রহণ করতে পারি।তোমার ঐ রুপে কি যাদু ! যেদিকে তাকাই শুধু তোমাকে দেখি।তুমি সুন্দর ও আমার প্রিয়তমা।
সৃষ্টিকর্তাকে কোটি সালাম যে তোমাকে এত সুন্দর করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
কিন্তু উষা,
এ তুমি কি করলে।আমার ভালোবাসার মূল্য দিলে না।আমি তোমাকে দেখে তোমার ভিতর টা বুজতে পারিনি।তুমি আমার ভালোবাসাকে অপমান করলে।করবেই তো তুমি যে পরিবারে জন্মনিয়েছো,এর চেয়ে বেশি আর কি শিখবে।তোমার মত এমন বেয়াদব মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি।একটা গাধা কোথাকার।তুমি এত নিচ! ছি: ছি:
শোন তুমি আর কোন দিন আমার সামনে আসবা না।তাহলে থাবড়াই তোমার দাঁত কেলিয়ে হাসা বের করে দিব।বলদের বলদ।তোরে আমি ভালোবাসতে চাইছিলাম।আর তুই কিনা,আমার ভালোবাসার মানে বুজলি না।তুই নিজেরে কি মনে করিস।চুন্নি কোথাকার।নিজের পেত্নির মত চেহারা।আবার সিনেমার নাইকার মত কলা করিস।আহাম্মক মাইয়ালোক।বেতমিজ,বেহায়া,বেশরম মাইয়া।
আমার এই চিঠি পাওয়ার পরে আর যদি আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করিস আমি তোর টেংরি ভাইংয়া হাতে ধরাই দিমু।
না বুজে তোকে যে মনে মনে যে ভালবাসা দিয়েছি পারলে ফিরাইয়া দিস।