somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিব্রত ঈশ্বর এবং ধ্যাত শালা মিস হয়া গেল (ফান পোস্ট)..

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিব্রত ঈশ্বর

অর্পিতা অসম্ভব রুপবতী। অর্পিতা ওর পিতার আদরের কণ্যা আর ওর মাতার চোখের মনি। তারা কখনও ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন না। শাসনের বিধি নিষেধও নেই।

অসম্ভব সুন্দরী মেয়ে একটা অযোগ্য গোয়াড় ছেলের প্রেমে পড়বেনা এটা বাঙালী সমাজে অসম্ভব। আর ষোল বছর বয়সে সব কিছুই রঙিন ও স্বপ্নময়। সেই স্বপ্নের মোহজালে বিদ্ধ অর্পিতা সেই অযোগ্য ছেলের হাত ধরে পালিয়েছে। গাঢ় প্রেমের টানে গোপন পলায়ন।

আর দশটা বাঙালী মেয়ের মত অর্পিতা চিঠি লিখে গেছে। বাবা আর মাকে চিন্তা করতে না করেছে। তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। তাদের সুখের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে বলেছে।

চিঠি পড়ে বাবা মা হতভম্ব। আদরের সন্তানের এমন কৃতকর্মের জন্য দুজনই গভীর দু:খে আপ্লুত। দুজন বিলাপ করছেন। অর্পিতার বাবা বিলাপ করছেন,”হা ঈশ্বর তুমি এটা কি করলে…হা ঈশ্বর তুমি এটা কি করলে…”। অর্পিতার মা অশ্রু বিসর্জন করছেন আর মাঝে মাঝে বলে উঠছেন, “মা অর্পিতা, ফিরে আয় মা.. ঈশ্বর এই ছিলো তোমার মনে… তুমি আমার মেয়ে কে ফিরিয়ে দাও.. ঈশ্বর তুমি অর্পিতাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও…”।

অর্পিতার বাবা-মার বিলাপে ঈশ্বরের দরবার বারবার প্রকম্পিত হচ্ছে। দেবদূতরা সন্দেহজনক দৃষ্টি নিয়ে ঈশ্বরের দিকে তাকাচ্ছেন। তাদের দৃষ্টির ভাষা ঈশ্বর বুঝতে পারছেন। তারা যেন বলতে চাইছে , “হা ঈশ্বর আপনিও… ছি: ছি: ছি:..”।

সংসার সাজানোর স্বপ্ন নিয়ে অর্পিতা চলছে। অর্পিতার বাবা-মার বিলাপ চলছে। ঈশ্বরের প্রতি দেবদূতদের দৃষ্টিপাত চলছে। শুধু ঈশ্বর ভাবছেন অর্পিতার বাবা-মা কেন তাকে দোষারোপ করছেন!! তিনি তো তাদের মেয়েকে নিয়ে পলায়ন করেন নাই।

অর্পিতার বাবা-মা’র বিলাপ নিয়ে ঈশ্বর ব্রিবত বোধ করছেন। দেবদূতদের দৃষ্টিবাণ তাকে চরম বিব্রত করছে।



ধ্যাত শালা মিস হয়া গেল

অনেক দিন পরে দুই বন্ধুর দেখা। একজন আজ নিবেদিত প্রাণ ধর্মযাজক। অন্যজন সফল ব্যবসায়ী। দু’জনের পছন্দের খেলা গলফ। বহুদিন পর দেখা হবার পরে দুজনের তুমুল আলোচনা। আগের দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন।

স্মৃতিতাড়িত দুজন পুরানো দিনের মত গলফ খেলতে গেলেন। গলফ কোর্টে ব্যবসায়ী অতি উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি অশালীন বাক্য আওড়ান। এটি তার পুরানো অভ্যাস। তাই ধর্মযাজক বন্ধু তাকে সাবধান করে দিলেন অশালীন কথা না বলার জন্য। কারন ঈশ্বর অশালীন বাক্যকে অপছন্দ করেন।

খেলার মাঠের চিত্র অনেকটা এরকম। ব্যবসায়ী প্রথমবার ব্যর্থ হলেন। আস্তে করে বলে উঠলেন, ‘ধ্যাত শালা .. মিস হয়ে গেল।” ধর্মযাজক তাকে সাবধান করে দিলেন অশালীন কথা না বলবার জন্য। আবার ব্যবসায়ী ব্যর্থ হলেন এবং বলে উঠলেন,” ধ্যাত কুত্তর বাচ্চা বল… যা শালা মিস হয়ে গেল।” আবার ধর্মযাজক তাকে সাবধান করে দিলেন। ব্যবসায়ী অনেক দিনের অনভ্যাসের কারনে আবার ব্যর্থ হলেন এবং চিৎকার করে উঠলেন, “শুয়োরের বাচ্ছা বল… কুত্তার বাচ্চা স্টিক… মামদার পো কোর্ট ….। যা শালা…আবার মিস হয়ে গেল।” এবার ধর্মযাজক বললেন, “তুমি আর একবার অশালীন কথা বললে আমি ঈশ্বরের কাছে তোমাকে শাস্তি দেবার জন্য প্রার্থনা করবো। ব্যবসায়ী তুমুল উত্তেজিত হয়ে আরো অশালীন গালিগালাজ শুরু করলেন।

ধর্মযাজক প্রার্থনা করছেন, “ঈশ্বর, তুমি এই অশালীন বাক্য বর্ষনকারীকে শাস্তি দাও। ঈশ্বর তুমি এই অশালীণ বাক্য ব্যবহারকারীর হাত হতে আমাদের রক্ষা কর।” ধর্মযাজকের প্রার্থনায় ঈশ্বর সাড়া দিলেন। গলফ কোর্টের উপরের আকাশে ভয়ানক কালো এক টুকরো মেঘ উড়ে এলো। বিজলী চমকাচ্ছে। সেই বিজলী থেকে আকাশ কাঁপিয়ে বজ্রপাত। বজ্রপাতে ধর্মযাজক মৃত্যুবরন করলেন। ব্যবসায়ী বন্ধু অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন।

গলফ কোর্টে উপস্থিত সকলে গায়েবী আওয়াজ শুনলেন…” ধ্যাত শালা মিস…হয়া গেল….”
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×